Ajker Patrika

চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ২৮
চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন মৃত রোগীর স্বজনরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহরের পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকার বাসিন্দা ও বড় বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফরিদ হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে তাঁর বড়ভাই কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন শহরের বড় বাজারে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাঁকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তমাল হালদার ও সেবক (ব্রাদার) সমর চক্রবর্তী রক্তচাপ মেপে ফারুক হোসেন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন বলে জানান। তাঁরা চিকিৎসা না দিয়ে তাঁকে অনেকক্ষণ হাসপাতালে বসিয়ে রাখেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়ার অনুরোধ করা হলে দুর্ব্যবহার করেন অভিযুক্তরা। ফারুককে রক্তচাপ কমার কোনো চিকিৎসা না দিয়ে বরিশালে রেফার করেন ওই চিকিৎসক। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরে তাঁর মৃত্যু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মৃতের পরিবার অভিযোগ করেন, ফারুক হোসেনকে দ্রুত ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে এলেও চিকিৎসক ও সেবক চিকিৎসায় কোনো গুরুত্ব দেননি। এমনকি প্রাথমিক চিকিৎসাও তাঁরা দেননি। উল্টো তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। চিকিৎসকের অবহেলায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাই ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ওই চিকিৎসক ও সেবকের বিচার দাবি করেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৃত ফারুক হোসেনের বাবা লাল মিয়া, বড় বোন জোছনা বেগম। জোছনা বেগম বলেন, ‘আমার ভাই ফারুক হোসেনের স্ত্রী চার বছর আগে দুই মেয়ে রেখে মারা যান। মেয়েদের দেখাশোনা করতেন ওদের বাবা। চিকিৎসকের অবহেলায় ওদের বাবারও মৃত্যু হলো। এ মৃত্যুর জন্য দায়ী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তমাল হালদার ও ব্রাদার সমর চক্রবর্তী। আমি তাদের শাস্তি চাই।’

অভিযুক্ত চিকিৎসক তমাল হালদার বলেন, ‘আমার কর্তৃপক্ষ ছাড়া কারও কাছে কোনো বক্তব্য দেব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত