Ajker Patrika

যে সড়কে দুর্গন্ধে হাঁটা দায়

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ১৩
যে সড়কে দুর্গন্ধে হাঁটা দায়

ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ার অভিজাত এলাকার মাহাবুব উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম) সড়কে স্থানীয় সাংসদ, জেলা জজ, জেলা যুগ্ম জজ, পুলিশ সুপার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাস। একাধিক সহকারী জজ, জ্যেষ্ঠ সহকারী জজও ভাড়া বাসায় থাকেন এই এলাকায়। বেশ কয়েকজন বড় ব্যবসায়ীর বাসাও রয়েছে সড়কটিতে। আবার পাশের সড়কে রয়েছে ঝিনাইদহ সার্কিট হাউস। কিন্তু এই সড়কটি দিয়ে নাক মুখ চেপে চলাচল করতে হয় চলাচলকারীদের।

রবিউল ইসলামের পাঁচ তলা বাসার ময়লা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় মাঝে মধ্যেই সড়কে প্রবেশ করে। এই পানি সড়কে জমে দুর্গন্ধ ছড়ায়। নোংরা পানি মাড়িয়ে পথচারী থেকে শুরু করে সবাইকে কষ্ট করে চলাচল করতে হচ্ছে। এই অবস্থা দীর্ঘদিনের হলেও প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ঘুরে দেখা গেছে, শহরের চাকলাপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দীন আহম্মদ (বীর বিক্রম) সড়কটি তারেক মোড় থেকে বের হয়ে একটি নবগঙ্গা নদীতে মিশেছে। আরেকটি শাখা পাড়ার মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে চাকলাপাড়া হাটখোলা এলাকায় এসেছে। অন্য আরেকটি শাখা বিহারী পট্টি এলাকায় গিয়ে শেষ হয়েছে। এই সড়কগুলোর দুই পাশে অসংখ্য বহুতল ভবন রয়েছে। রয়েছে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাংসদ তাহজীব আলম সিদ্দিকীর বাসভবন।

এই সড়কেই রয়েছে একটি পাঁচ তলা ভবন। এটির মালিক শৈলকুপার রবিউল ইসলামের। গত ১১–১২ বছর আগে তিনি এই বাড়িটি নির্মাণ করেন। বাড়ির সামনে দুইটি উন্মুক্ত হাউস রয়েছে। বাড়ির পানি নিষ্কাশনের ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে সামনের ওই ছোট ট্যাংক থেকে পানি উপচে সড়কে পড়ছে। ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের রবিউল ইসলামের বাসার সামনে এলেই দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরত হয়।আমিরুল ইসলাম নামে এক পথচারী বলেন, ‘গোটা বর্ষা মৌসুম এই সড়ক দিয়ে কষ্ট করে চলাচল করতে হয়। ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানির মধ্যে দিয়ে হাঁটাও যায় না। তারপরও উপায় না পেয়ে চলাচল করতে হয়।’

আরেক পথচারী রিপন কুমার বসু বলেন, ‘ময়লা পানি মাড়িয়ে চলতে হয় এই বাসার সামনে দিয়ে। এই স্থানে এলেই নাকমুখ চেপে ধরা ছাড়া উপায় থাকে না।’

জেলা জজ আদালতের নাজির শেখ মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়কেই জেলা ও দায়রা জজসহ বেশ কয়েকটি সরকারি কর্মকর্তার বাসভবন। যারা বাসা-বাড়ির ময়লা পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করছেন।’

ভবনের মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় কোনো নালার ব্যবস্থা নেই। এ কারণে মাঝে মধ্যে হাউসে ছাপিয়ে গেলে পানি সড়কে চলে যায়।’

ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের প্রধান কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ওই এলাকাতে পৌরসভার কোনো নালা নেই। তবে নালা নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত