সুকুমার রায়
একটা নিমন্ত্রণ পেলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। কলকাতার এলগিন রোডের কয়েকজন তরুণ ‘হরবোলা’ নাম দিয়ে একটা দল গড়েছে। তারা লিখেছে, ‘হাসতে ভুলে গেছি বলে দুর্নাম আছে আমাদের (বাঙালির)। সুকুমার রায়কে কেন্দ্র করে সেই দুর্নাম কিছুটা যদি আমরা দূর করতে পারি, তাহলেই এই উদ্যোগ সার্থক হবে।’
তাদের প্রথম পালায় আমন্ত্রণ পেয়েছেন সৈয়দ মুজতবা আলী। তাদের এই থিয়েটার হচ্ছে, তাদের ভাষায় ‘সকের থিয়েডার’, মানে ‘শখের থিয়েটার’।
সুকুমার রায় মানেই হাসির ফোয়ারা। নাট্যমূলে হাস্যরসে টইটম্বুর, সেখানে অভিনয় হবে কী করে? প্রতি শব্দে রস। খানে ‘তিয়েটারি’ করতে গেলেই তো সব কেচে যাবে। অর্থাৎ, সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষায়, ‘করুণকে করুণতর, বীরকে বীরতর, হাস্যরসঘনকে ঘনতর)’ করে ফেললে সেটা চপলতায় পরিণত হয়। ‘সুকুমার রায়ের রচনা হাস্যরসে এতই কানায় কানায় ভরা যে, তাতে কোনো কিছু যোগ দিতে গেলেই সর্বনাশ।
মুজতবা আলী বিশ্বসাহিত্যে সুকুমার রায়ের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো কোনো লোক খুঁজে পেলেন না। এ রকম হাস্যরসিক বাংলা সাহিত্যে তো একটিও নেই; ফরাসি, ইংরেজ, জার্মান সাহিত্যেও নেই। শুধু জার্মান সাহিত্যের ভিলহেলম বুশ সুকুমারের স্ব-শ্রেণি না হলেও ঠিক সুকুমারের মতো অল্প কয়েকটি আঁচড় কেটে খাসা ছবি তৈরি করতে পারেন।
তাঁদের মধ্যে পার্থক্য আছে এক জায়গায়: ভিলহেলম বুশ ঘটনাবহুল গল্প বলেন ছড়ায় ছড়ায়, সেটা লেখা অপেক্ষাকৃত সহজ। কিন্তু সুকুমার? সুকুমারের ‘আবোল-তাবোল’-এ কোনো গল্প নেই। ছড়াগুলো নিজেরাই স্রেফ হাস্যরস, তাতে অ্যাকশন নেই, গল্প নেই, হাসি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো কিছুর স্থান নেই।
ফরাসিরা নাকি এটিকেটের কারণে হাসে না। একদিন প্যারিস শহরে এক ফরাসি ক্যাফেতে সুকুমারের ‘বোম্বাগড়ের রাজা’ অনুবাদ করে শোনালেন মুজতবা আলী। ফরাসিরা এমন হো হো করে হেসেছিল যে তাদের হাসি থামানোর জন্য বারবার অনুরোধ করতে হয়েছিল। সুকুমারের তুলনা সুকুমারই।
সূত্র: রচনাবলি, ২য় খণ্ড, সৈয়দ মুজতবা আলী, পৃষ্ঠা ১৮৭-১৮৮
একটা নিমন্ত্রণ পেলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। কলকাতার এলগিন রোডের কয়েকজন তরুণ ‘হরবোলা’ নাম দিয়ে একটা দল গড়েছে। তারা লিখেছে, ‘হাসতে ভুলে গেছি বলে দুর্নাম আছে আমাদের (বাঙালির)। সুকুমার রায়কে কেন্দ্র করে সেই দুর্নাম কিছুটা যদি আমরা দূর করতে পারি, তাহলেই এই উদ্যোগ সার্থক হবে।’
তাদের প্রথম পালায় আমন্ত্রণ পেয়েছেন সৈয়দ মুজতবা আলী। তাদের এই থিয়েটার হচ্ছে, তাদের ভাষায় ‘সকের থিয়েডার’, মানে ‘শখের থিয়েটার’।
সুকুমার রায় মানেই হাসির ফোয়ারা। নাট্যমূলে হাস্যরসে টইটম্বুর, সেখানে অভিনয় হবে কী করে? প্রতি শব্দে রস। খানে ‘তিয়েটারি’ করতে গেলেই তো সব কেচে যাবে। অর্থাৎ, সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষায়, ‘করুণকে করুণতর, বীরকে বীরতর, হাস্যরসঘনকে ঘনতর)’ করে ফেললে সেটা চপলতায় পরিণত হয়। ‘সুকুমার রায়ের রচনা হাস্যরসে এতই কানায় কানায় ভরা যে, তাতে কোনো কিছু যোগ দিতে গেলেই সর্বনাশ।
মুজতবা আলী বিশ্বসাহিত্যে সুকুমার রায়ের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো কোনো লোক খুঁজে পেলেন না। এ রকম হাস্যরসিক বাংলা সাহিত্যে তো একটিও নেই; ফরাসি, ইংরেজ, জার্মান সাহিত্যেও নেই। শুধু জার্মান সাহিত্যের ভিলহেলম বুশ সুকুমারের স্ব-শ্রেণি না হলেও ঠিক সুকুমারের মতো অল্প কয়েকটি আঁচড় কেটে খাসা ছবি তৈরি করতে পারেন।
তাঁদের মধ্যে পার্থক্য আছে এক জায়গায়: ভিলহেলম বুশ ঘটনাবহুল গল্প বলেন ছড়ায় ছড়ায়, সেটা লেখা অপেক্ষাকৃত সহজ। কিন্তু সুকুমার? সুকুমারের ‘আবোল-তাবোল’-এ কোনো গল্প নেই। ছড়াগুলো নিজেরাই স্রেফ হাস্যরস, তাতে অ্যাকশন নেই, গল্প নেই, হাসি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো কিছুর স্থান নেই।
ফরাসিরা নাকি এটিকেটের কারণে হাসে না। একদিন প্যারিস শহরে এক ফরাসি ক্যাফেতে সুকুমারের ‘বোম্বাগড়ের রাজা’ অনুবাদ করে শোনালেন মুজতবা আলী। ফরাসিরা এমন হো হো করে হেসেছিল যে তাদের হাসি থামানোর জন্য বারবার অনুরোধ করতে হয়েছিল। সুকুমারের তুলনা সুকুমারই।
সূত্র: রচনাবলি, ২য় খণ্ড, সৈয়দ মুজতবা আলী, পৃষ্ঠা ১৮৭-১৮৮
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫