রংপুর ও পীরগাছা প্রতিনিধি
পীরগাছার শিশু রিয়া মনি (৭) হত্যা মামলায় দুই আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে-২-এর বিচারক মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পীরগাছার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পরান গ্রামের রাসেল মিয়া এবং সালাউদ্দিন তালুদ। রায় ঘোষণার সময় রাসেল আদালতে উপস্থিত থাকলেও সালাউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে পলাতক। তাঁরা মুক্তিপণের দাবিকৃত টাকা না পেয়ে শিশু রিয়াকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন। পরান গ্রামের আবদুর রহিমের মেয়ে রিয়া স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিয়া ঘটনার দিন ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে বাড়ির সামনে রাস্তায় প্রতিবেশী অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল। এ সময় তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয়। এরপর তার বাবার কাছে ফোন করে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
আবদুর রহিম মেয়েকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও পরে ৩১ ডিসেম্বর মামলা করেন। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়।
মামলার সূত্র ধরে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি রাসেলকে গ্রেপ্তারসহ তাঁর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ। পরে রাসেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তারসহ মুক্তিপণ চাওয়ার জন্য ব্যবহৃত মোবাইল ও জুসের বোতল জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে সেপটিক ট্যাংক থেকে রিয়ার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে সালাউদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি উল্লেখ করেন, অর্থের লোভে রিয়াকে অপহরণ করে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর শ্বাসরোধে হত্যার করে লাশ টয়লেটে গুম করা হয়।
এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২২ জুন ওই দুজনসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। বিচারক ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল রায় ঘোষণা করেন। এতে আসামিদের মধ্যে আবুল কালাম, তাঁর স্ত্রী জহিরন বেগম, আবু জাফর জুয়েল, নয়ন মিয়া ও সাগর মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, ‘বাদীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তবে বাদী আবদুর রহিম অসুস্থ থাকায় আদালত চত্বরে তাঁর ছোট ভাই নুর হোসেন বলেন, ‘যে বাড়িতে রিয়া মনিকে হত্যা, মরদেহ ও আলামত উদ্ধার হলো সেই বাড়ির আসামিরা খালাস পেলেন। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। রায়ের কপি পেলে উচ্চ আদালতে যাব।’
পীরগাছার শিশু রিয়া মনি (৭) হত্যা মামলায় দুই আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে-২-এর বিচারক মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পীরগাছার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পরান গ্রামের রাসেল মিয়া এবং সালাউদ্দিন তালুদ। রায় ঘোষণার সময় রাসেল আদালতে উপস্থিত থাকলেও সালাউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে পলাতক। তাঁরা মুক্তিপণের দাবিকৃত টাকা না পেয়ে শিশু রিয়াকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন। পরান গ্রামের আবদুর রহিমের মেয়ে রিয়া স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিয়া ঘটনার দিন ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে বাড়ির সামনে রাস্তায় প্রতিবেশী অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল। এ সময় তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয়। এরপর তার বাবার কাছে ফোন করে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
আবদুর রহিম মেয়েকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও পরে ৩১ ডিসেম্বর মামলা করেন। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়।
মামলার সূত্র ধরে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি রাসেলকে গ্রেপ্তারসহ তাঁর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ। পরে রাসেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তারসহ মুক্তিপণ চাওয়ার জন্য ব্যবহৃত মোবাইল ও জুসের বোতল জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে সেপটিক ট্যাংক থেকে রিয়ার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে সালাউদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি উল্লেখ করেন, অর্থের লোভে রিয়াকে অপহরণ করে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর শ্বাসরোধে হত্যার করে লাশ টয়লেটে গুম করা হয়।
এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২২ জুন ওই দুজনসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। বিচারক ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল রায় ঘোষণা করেন। এতে আসামিদের মধ্যে আবুল কালাম, তাঁর স্ত্রী জহিরন বেগম, আবু জাফর জুয়েল, নয়ন মিয়া ও সাগর মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, ‘বাদীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তবে বাদী আবদুর রহিম অসুস্থ থাকায় আদালত চত্বরে তাঁর ছোট ভাই নুর হোসেন বলেন, ‘যে বাড়িতে রিয়া মনিকে হত্যা, মরদেহ ও আলামত উদ্ধার হলো সেই বাড়ির আসামিরা খালাস পেলেন। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। রায়ের কপি পেলে উচ্চ আদালতে যাব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪