সম্পাদকীয়
অজিতকুমার চক্রবর্তী ছিলেন সাহিত্য সমালোচক, ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক এবং রবীন্দ্র-সাহিত্যের একজন প্রধান ব্যাখ্যাকারী।অজিতকুমার চক্রবর্তীর জন্ম ১৮৮৬ সালের ২০ আগস্ট ফরিদপুরের মঠবাড়ি গ্রামে। ১৯০৪ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর তিনি শান্তিনিকেতনে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এখানে তিনি ছিলেন বাংলা, ইংরেজি ও ভূগোলের শিক্ষক। সংগীত শিক্ষকের ভূমিকাও পালন করেছেন। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন গ্রন্থ প্রকাশে তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন অজিতকুমার।
শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দিকে অজিতের শ্রম ও নিষ্ঠার কথা একাধিকবার বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি অজিতকে নিজের লেখা অনুবাদের ভার দিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের অনুরোধে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান অজিত। সেখানে গিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতনের কথা বিলেতবাসীর কাছে প্রচার করেন। ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের অনুবাদ রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলে বিলেতের বিদগ্ধজনদের।
একসময় অজিতকুমারকে যন্ত্রণা নিয়েই শান্তিনিকেতন ছাড়তে হয়েছিল। বিভিন্ন কারণে শান্তিনিকেতনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠেছিল। শান্তিনিকেতন ছেড়ে মহর্ষির জীবনী রচনার জন্য বৃত্তি নিয়ে চলে যান কলকাতায়। তখন তিনি ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন। কিন্তু আশ্রমের প্রতি টান আর রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা অটুট ছিল তাঁর।
তাঁর মৃত্যুর পর জগদীশচন্দ্র বসুকে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘অজিতের অকাল-মৃত্যুতে সাহিত্যের ক্ষতি হবে। তার গুণ ছিল—সে সম্পূর্ণ নির্ভীকভাবে সকল পক্ষের বিরুদ্ধে এবং প্রচলিত মতের বিরুদ্ধে নিজের মত প্রকাশ করতে পারত। ঠিক বর্তমানে সে রকম আর কোনো বাংলা লেখক তো মনে পড়ছে না।’
অজিতকুমার চক্রবর্তীর লিখিত অন্যতম একটি বই হলো ‘রবীন্দ্রনাথ’। যেটা তিনি বিলেত থেকে দেশে ফেরার পরে রচনা করেন। এই বইয়ে তিনি প্রথম কবির অন্তর্জীবন ও কবিতার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন। তিনি মোট ১২টি বই লিখেছেন।
১৯১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় অজিতকুমার চক্রবর্তী মাত্র ৩২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
অজিতকুমার চক্রবর্তী ছিলেন সাহিত্য সমালোচক, ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক এবং রবীন্দ্র-সাহিত্যের একজন প্রধান ব্যাখ্যাকারী।অজিতকুমার চক্রবর্তীর জন্ম ১৮৮৬ সালের ২০ আগস্ট ফরিদপুরের মঠবাড়ি গ্রামে। ১৯০৪ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর তিনি শান্তিনিকেতনে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এখানে তিনি ছিলেন বাংলা, ইংরেজি ও ভূগোলের শিক্ষক। সংগীত শিক্ষকের ভূমিকাও পালন করেছেন। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন গ্রন্থ প্রকাশে তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন অজিতকুমার।
শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দিকে অজিতের শ্রম ও নিষ্ঠার কথা একাধিকবার বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি অজিতকে নিজের লেখা অনুবাদের ভার দিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের অনুরোধে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান অজিত। সেখানে গিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতনের কথা বিলেতবাসীর কাছে প্রচার করেন। ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের অনুবাদ রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলে বিলেতের বিদগ্ধজনদের।
একসময় অজিতকুমারকে যন্ত্রণা নিয়েই শান্তিনিকেতন ছাড়তে হয়েছিল। বিভিন্ন কারণে শান্তিনিকেতনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠেছিল। শান্তিনিকেতন ছেড়ে মহর্ষির জীবনী রচনার জন্য বৃত্তি নিয়ে চলে যান কলকাতায়। তখন তিনি ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন। কিন্তু আশ্রমের প্রতি টান আর রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা অটুট ছিল তাঁর।
তাঁর মৃত্যুর পর জগদীশচন্দ্র বসুকে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘অজিতের অকাল-মৃত্যুতে সাহিত্যের ক্ষতি হবে। তার গুণ ছিল—সে সম্পূর্ণ নির্ভীকভাবে সকল পক্ষের বিরুদ্ধে এবং প্রচলিত মতের বিরুদ্ধে নিজের মত প্রকাশ করতে পারত। ঠিক বর্তমানে সে রকম আর কোনো বাংলা লেখক তো মনে পড়ছে না।’
অজিতকুমার চক্রবর্তীর লিখিত অন্যতম একটি বই হলো ‘রবীন্দ্রনাথ’। যেটা তিনি বিলেত থেকে দেশে ফেরার পরে রচনা করেন। এই বইয়ে তিনি প্রথম কবির অন্তর্জীবন ও কবিতার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন। তিনি মোট ১২টি বই লিখেছেন।
১৯১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় অজিতকুমার চক্রবর্তী মাত্র ৩২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
২ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
২ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫