Ajker Patrika

ইদু মিয়ার গুড়ের কদর বিদেশেও

আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ১৭
ইদু মিয়ার গুড়ের কদর বিদেশেও

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের তেঁতুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইদু মিয়া। বাবার থেকে কাজ শিখে ৪০ বছর ধরে তিনি আজ গাছি। তাঁর খেজুর গুড়ের কদর এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও। গুড় পাটালি নিতে অগ্রিম টাকা দিচ্ছেন অনেকে। কেউ আবার বাড়িতে বসে থেকে কাঙ্ক্ষিত গুড় ও পাটালি তৈরি করে নিয়ে যাচ্ছেন।

কথা হয় ইদু মিয়ার সঙ্গে। জানান বাবার কাছ থেকে কাজ শিখেছেন। ১৩ বছরের ছেলে আব্দুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে তিনি শীতকালে খেজুর গাছ কাটেন। এ বছর ২৫০টি খেজুর গাছ প্রস্তুত করেছেন। গাছ রেডি করতে একটি গরু বিক্রি করতে হয়েছে। গাছগুলো রস দেওয়ার উপযোগী করতে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

ইদু মিয়া আরও জানান, যাঁদের গাছ তাঁদের বছরে ৪ মণ গুড় দিতে হবে। ৬ / ৭ দিন হলো গাছ থেকে অল্প অল্প রস আসা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ৮ / ১০ কেজি গুড় হচ্ছে। যেদিন পাটালি করা হয় সেদিন পাটালি হয় ৬ / ৭ কেজি। প্রতিকেজি গুড় ২০০ টাকা কেজি ও পাটালি ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বাড়ি থেকে নিয়ে যাচ্ছেন।

কাজে সহযোগিতার জন্য পুরো মৌসুম দুজন কাজ করেন। তাঁদের ৩৫০ ও ৫৫০ টাকা হাজিরা দিতে হয়। সেই সঙ্গে তিন বেলা খাবার দিতে হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ ফোন করে তাঁর গুড় নিতে বাড়ি আসে। ইদু জানান, তাঁর গুড় ইংল্যান্ডেও যায়। যাঁদের আত্মীয়–স্বজন বাইরে থাকেন তাঁরা গুড় সংগ্রহ করে পাঠান।

ইদু মিয়া বলেন, জ্বালানির দাম বেশি, লেবারের হাজিরা বেশি, গাছ মালিককে গুড় দিতে হয় বেশি। বাজারে রয়েছে ভেজাল খেজুরের গুড়। সব মিলিয়ে আর আগের মতো লাভ হচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত