Ajker Patrika

মনিরামপুরে বাল্যবিবাহ বন্ধ পুলিশের তৎপরতায়

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৫৩
মনিরামপুরে বাল্যবিবাহ বন্ধ পুলিশের তৎপরতায়

মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে পাশাপাশি গ্রামে বাড়ি বর ও কনের। দুই পরিবারের মতেই ঠিক হয়েছে বিয়ের দিনক্ষণ। কনের বাড়ি বরযাত্রী যাওয়ার জন্য প্রস্তুত পাঁচটি মাইক্রোবাস। কনের বাড়িও চলছিল ৩০০ লোকের রান্নাবান্নার আয়োজন। আনন্দঘন এত আয়োজন পণ্ড হলো পুলিশের তৎপরতায়। কনের বয়স ১৫ বছর হওয়ায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাটি গতকাল রোববারের যশোরের মনিরামপুরের ঝাঁপা ইউনিয়নের। বরের নাম বিপ্লব হোসেন। তিনি ওই ইউনিয়নের মনোহরপুর বিশ্বাস পাড়ার বাসিন্দা। পেশায় সাইকেল ব্যবসায়ী। কনে একই এলাকার মেয়ে। স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী সে।

এদিকে বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে মনিরামপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমি আক্তার তাঁর দপ্তরের ক্রেডিট সুপারভাইজার শহিদুল ইসলামকে কনের বাড়িতে পাঠিয়েছেন।

শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পাওয়ার আগে পুলিশ এসে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বরপক্ষ আসেননি। কনের বাড়ির আশপাশের লোকজন খাওয়া দাওয়া করছেন। কনের বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার হাঁড়ি ভরে ভ্যানে করে বরের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘কনেপক্ষ আমাদের লিখিত দিয়েছেন মেয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না। কনের অভিভাবকদের মুচলেকা নিয়ে আমরা চলে এসেছি।”

স্থানীয়রা বলেন, মেয়েটির সঙ্গে বিপ্লবের আগ থেকে জানাশোনা ছিল। পরে পরিবারের মতে তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। মেয়েটির বাবা বিদেশে কাজ করেন। মেয়ের নানা ও মা দায়িত্ব নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেন। গতকাল রোববার দুপুরে মেয়ের বাড়ি রান্নাবান্নার কাজ চলছিল। ওই সময় রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ এসে বিয়ে না দেওয়ার জন্য বলেন। পুলিশ আসার খবর পেয়ে বরপক্ষ ভয়ে আর আসেননি।

রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আজমল হোসেন বলেন, ‘বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে আমি হানুয়ার গ্রামে মেয়ের বাড়িতে যাই। মেয়ের নানা ও মা কথা দিয়েছেন তাঁরা এখন মেয়েটির বিয়ে দেবেন না। বরপক্ষকেও নিষেধ করা হয়েছে।’

মনিরামপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমি আক্তার বলেন, ‘শুনেছি পুলিশ বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে বিয়ে বন্ধ করেছে। বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার জন্য অফিস থেকে লোক পাঠিয়েছি। বাল্যবিয়ে না দেওয়ার শর্তে মেয়ের পরিবার লিখিত দিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত