সম্পাদকীয়
মাঠ দখলের রাজনীতি জমে উঠেছে। শনিবার আজকের পত্রিকায় পাশাপাশি দুটি শিরোনাম ছিল ‘বিএনপি আর মাঠ ছেড়ে যাবে না’ এবং ‘বিএনপিকে পথে একা ছাড়বে না আওয়ামী লীগ’। শনিবারই ঢাকার সব প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিএনপি পুলিশ ও আওয়ামী লীগের যৌথ বাধার সম্মুখীন হয়েছে। অনুমতি না নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় পুলিশ বিএনপিকে বাধা দিতেই পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কেন পুলিশের সঙ্গী হলো?
এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘কর্মসূচির নামে বিএনপির লোকজন জ্বালাও-পোড়াও করছিল। পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছিল। তাই পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্যই আওয়ামী লীগের লোকজন রাস্তায় নেমেছিল।’
এরপর থেকে কি বিএনপির সহিংসতা দমনে পুলিশ আওয়ামী লীগের সহযোগিতা নিতে থাকবে? পুলিশের এই মনোভাব ভালো নয়। পুলিশি ভূমিকায় নামা রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্যও কোনো উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হতে পারে না। আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা সহিংস আচরণ করলে পুলিশ কি বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা নেবে?
শক্তি দিয়ে নয়, যুক্তি দিয়ে পরিস্থিতি নিজ নিজ অনুকূলে রাখার চেষ্টা বুঝি আর রাজনীতিতে দেখা যাবে না। তবে শনিবারের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ছবির পাশাপাশি অন্য দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সংঘর্ষের ছবিতে দেখা যায়, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে বেধড়ক পেটাচ্ছে পুলিশ। এরপর তাঁকে তুলে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধানের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার বিএনপির নেতা আমানউল্লাহ আমানও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন।
কিন্তু এই চিরাচরিত বৈরিতার মধ্যে যে ছবি দুটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে তার একটি হচ্ছে, আমানউল্লাহ আমানকে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিদল ফল নিয়ে দেখতে যাওয়া ও গয়েশ্বর রায়কে ডিবি কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ানো। প্রতিনিধিদলকে দিয়ে আমানকে দেখতে ফলের ঝুড়ি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সোনারগাঁও হোটেল থেকে কয়েক পদের খাবার এনে নিজ কার্যালয়ে গয়েশ্বর রায়কে আপ্যায়ন করেছেন স্বয়ং ডিবিপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রীর এপিএস হাফিজুর রহমান লিকুর বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে, ‘রাজনীতির বাইরেও আমাদের মাঝে একটা মানবিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর জন্য ফল ও খাবার পাঠিয়েছেন। আমানউল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর এসব উপহার গ্রহণ করেন এবং মানবতা ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।’
রাজনীতিতে বিরোধ থাকবে, মতভিন্নতাও থাকবে। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য-কর্মসূচি থাকাও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে যদি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ না থাকে, সামাজিক সম্পর্ক যদি স্বাভাবিক না থাকে, তাহলে অপরাজনীতিই প্রধান হয়ে ওঠে। আমাদের দেশে এখন কার্যত ওই অপরাজনীতির ধারাই প্রধান হয়ে উঠেছে।
আমানউল্লাহ আমানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফল পাঠানো কিংবা গয়েশ্বর রায়কে ডিবি কার্যালয়ে ভূরিভোজ করানো লোকদেখানো কিংবা তাঁদের হেয় করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকলে এই শিষ্টাচার সংঘাতের উসকানি দেওয়ার নামান্তর হবে নাকি?
মাঠ দখলের রাজনীতি জমে উঠেছে। শনিবার আজকের পত্রিকায় পাশাপাশি দুটি শিরোনাম ছিল ‘বিএনপি আর মাঠ ছেড়ে যাবে না’ এবং ‘বিএনপিকে পথে একা ছাড়বে না আওয়ামী লীগ’। শনিবারই ঢাকার সব প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিএনপি পুলিশ ও আওয়ামী লীগের যৌথ বাধার সম্মুখীন হয়েছে। অনুমতি না নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় পুলিশ বিএনপিকে বাধা দিতেই পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কেন পুলিশের সঙ্গী হলো?
এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘কর্মসূচির নামে বিএনপির লোকজন জ্বালাও-পোড়াও করছিল। পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছিল। তাই পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্যই আওয়ামী লীগের লোকজন রাস্তায় নেমেছিল।’
এরপর থেকে কি বিএনপির সহিংসতা দমনে পুলিশ আওয়ামী লীগের সহযোগিতা নিতে থাকবে? পুলিশের এই মনোভাব ভালো নয়। পুলিশি ভূমিকায় নামা রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্যও কোনো উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হতে পারে না। আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা সহিংস আচরণ করলে পুলিশ কি বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা নেবে?
শক্তি দিয়ে নয়, যুক্তি দিয়ে পরিস্থিতি নিজ নিজ অনুকূলে রাখার চেষ্টা বুঝি আর রাজনীতিতে দেখা যাবে না। তবে শনিবারের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ছবির পাশাপাশি অন্য দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সংঘর্ষের ছবিতে দেখা যায়, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে বেধড়ক পেটাচ্ছে পুলিশ। এরপর তাঁকে তুলে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধানের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার বিএনপির নেতা আমানউল্লাহ আমানও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন।
কিন্তু এই চিরাচরিত বৈরিতার মধ্যে যে ছবি দুটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে তার একটি হচ্ছে, আমানউল্লাহ আমানকে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিদল ফল নিয়ে দেখতে যাওয়া ও গয়েশ্বর রায়কে ডিবি কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ানো। প্রতিনিধিদলকে দিয়ে আমানকে দেখতে ফলের ঝুড়ি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সোনারগাঁও হোটেল থেকে কয়েক পদের খাবার এনে নিজ কার্যালয়ে গয়েশ্বর রায়কে আপ্যায়ন করেছেন স্বয়ং ডিবিপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রীর এপিএস হাফিজুর রহমান লিকুর বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে, ‘রাজনীতির বাইরেও আমাদের মাঝে একটা মানবিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর জন্য ফল ও খাবার পাঠিয়েছেন। আমানউল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর এসব উপহার গ্রহণ করেন এবং মানবতা ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।’
রাজনীতিতে বিরোধ থাকবে, মতভিন্নতাও থাকবে। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য-কর্মসূচি থাকাও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে যদি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ না থাকে, সামাজিক সম্পর্ক যদি স্বাভাবিক না থাকে, তাহলে অপরাজনীতিই প্রধান হয়ে ওঠে। আমাদের দেশে এখন কার্যত ওই অপরাজনীতির ধারাই প্রধান হয়ে উঠেছে।
আমানউল্লাহ আমানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফল পাঠানো কিংবা গয়েশ্বর রায়কে ডিবি কার্যালয়ে ভূরিভোজ করানো লোকদেখানো কিংবা তাঁদের হেয় করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকলে এই শিষ্টাচার সংঘাতের উসকানি দেওয়ার নামান্তর হবে নাকি?
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫