ঝালকাঠি প্রতিনিধি
উদ্বোধনের সাড়ে তিন বছর পরও প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক ও জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি ঝালকাঠি নার্সিং ইনস্টিটিউটে। প্রয়োজনীয় আসবাব ও যন্ত্রাংশ আসেনি এখনো। এর মধ্যেই শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ১৬ অক্টোবর থেকে ধাত্রীবিদ্যায় ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল ঝালকাঠি নার্সিং ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন সাংসদ আমির হোসেন আমু। প্রতিষ্ঠানটি ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে সাড়ে ৯ কিলোমিটার দূরে কীর্তিপাশা জমিদারবাড়ির কাছে নির্মাণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে ব্যবহারিক শিক্ষা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সরকারি হাসপাতাল থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে নার্সিং ইনস্টিটিউট করার নিয়ম রয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির পাশেই ১০ শয্যার কীর্তিপাশা স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। তবে চিকিৎসক ও নার্সবিহীন জরাজীর্ণ ওই ভবনে চিকিৎসাকার্যক্রম নেই বললেই চলে।
ঝালকাঠি নার্সিং ইনস্টিটিউট ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝালকাঠি নার্সিং ইনস্টিটিউটের নির্মাণ করা হয়। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পোদ্দার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ করেন। ইনস্টিটিউটে চার তলা একাডেমিক ভবন, শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হোস্টেলসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের তিনটি আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে ৪ শয্যার ২৪টি ও ২ শয্যা ১৫৫টি কক্ষ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুতের প্যানেল ও জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে নার্সিং ইনস্টিটিউটে দেখা যায়, একাডেমিক ভবনসহ আবাসিক ভবন এলাকায় সুনসান নীরবতা। একজন হিসাবরক্ষক ও একজন অস্থায়ী নিরাপত্তাপ্রহরী ইনস্টিটিউটের দেখাশোনা করছেন। এ সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ভর্তি বিজ্ঞপ্তির আগেই শিক্ষকসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া উচিত ছিল। প্রতিদিন ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য ৯ কিলোমিটার দূরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আসা-যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বইয়ের পড়া কখন করবে?’
ঝালকাঠি নার্সিং ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ২৫৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষক চাওয়া হয়েছে ১৯৮ জন। বর্তমানে একজন অধ্যক্ষ ও একজন হিসাবরক্ষক দেওয়া হয়েছে। ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি বেসিক ও পোস্ট বেসিক কোর্সে ১০০ জন শিক্ষার্থী ও বিএসসি স্নাতকোত্তর কোর্সে ১১২ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। মিডওয়াইফ ও অন্যান্য কোর্সে বাকি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। সম্প্রতি পুরো দেশে নার্সিং কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে মিডওয়াইফ কোর্সের ২৫ শিক্ষার্থীকে ঝালকাঠি নার্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদের ১৬ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে ভর্তি হতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী ইচ্ছুকরা ভর্তিও হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঝালকাঠি স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী শৈলেন্দ্র নাথ মণ্ডল বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছি। শ্রেণিকক্ষ ও আবাসিক হলের আসবাবসহ পরীক্ষাগারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দেওয়ার দায়িত্ব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের।’
ঝালকাঠি নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শাহিনুর বেগম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি নতুন হওয়ায় প্রথম ব্যাচে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের একটু অসুবিধা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় জনবল ও শিক্ষকের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আসবাবসহ অন্যান্য জিনিসপত্র শিগগির চলে আসবে। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গাড়িতে করে প্রতিদিন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। আবার ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন শেষে আবাসিক হলে ফিরিয়ে আনা হবে।’
উদ্বোধনের সাড়ে তিন বছর পরও প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক ও জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি ঝালকাঠি নার্সিং ইনস্টিটিউটে। প্রয়োজনীয় আসবাব ও যন্ত্রাংশ আসেনি এখনো। এর মধ্যেই শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ১৬ অক্টোবর থেকে ধাত্রীবিদ্যায় ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল ঝালকাঠি নার্সিং ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন সাংসদ আমির হোসেন আমু। প্রতিষ্ঠানটি ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে সাড়ে ৯ কিলোমিটার দূরে কীর্তিপাশা জমিদারবাড়ির কাছে নির্মাণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে ব্যবহারিক শিক্ষা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সরকারি হাসপাতাল থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে নার্সিং ইনস্টিটিউট করার নিয়ম রয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির পাশেই ১০ শয্যার কীর্তিপাশা স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। তবে চিকিৎসক ও নার্সবিহীন জরাজীর্ণ ওই ভবনে চিকিৎসাকার্যক্রম নেই বললেই চলে।
ঝালকাঠি নার্সিং ইনস্টিটিউট ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝালকাঠি নার্সিং ইনস্টিটিউটের নির্মাণ করা হয়। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পোদ্দার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ করেন। ইনস্টিটিউটে চার তলা একাডেমিক ভবন, শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হোস্টেলসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের তিনটি আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে ৪ শয্যার ২৪টি ও ২ শয্যা ১৫৫টি কক্ষ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুতের প্যানেল ও জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে নার্সিং ইনস্টিটিউটে দেখা যায়, একাডেমিক ভবনসহ আবাসিক ভবন এলাকায় সুনসান নীরবতা। একজন হিসাবরক্ষক ও একজন অস্থায়ী নিরাপত্তাপ্রহরী ইনস্টিটিউটের দেখাশোনা করছেন। এ সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ভর্তি বিজ্ঞপ্তির আগেই শিক্ষকসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া উচিত ছিল। প্রতিদিন ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য ৯ কিলোমিটার দূরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আসা-যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বইয়ের পড়া কখন করবে?’
ঝালকাঠি নার্সিং ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ২৫৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষক চাওয়া হয়েছে ১৯৮ জন। বর্তমানে একজন অধ্যক্ষ ও একজন হিসাবরক্ষক দেওয়া হয়েছে। ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি বেসিক ও পোস্ট বেসিক কোর্সে ১০০ জন শিক্ষার্থী ও বিএসসি স্নাতকোত্তর কোর্সে ১১২ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। মিডওয়াইফ ও অন্যান্য কোর্সে বাকি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। সম্প্রতি পুরো দেশে নার্সিং কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে মিডওয়াইফ কোর্সের ২৫ শিক্ষার্থীকে ঝালকাঠি নার্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদের ১৬ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে ভর্তি হতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী ইচ্ছুকরা ভর্তিও হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঝালকাঠি স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী শৈলেন্দ্র নাথ মণ্ডল বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছি। শ্রেণিকক্ষ ও আবাসিক হলের আসবাবসহ পরীক্ষাগারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দেওয়ার দায়িত্ব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের।’
ঝালকাঠি নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শাহিনুর বেগম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি নতুন হওয়ায় প্রথম ব্যাচে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের একটু অসুবিধা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় জনবল ও শিক্ষকের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আসবাবসহ অন্যান্য জিনিসপত্র শিগগির চলে আসবে। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গাড়িতে করে প্রতিদিন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। আবার ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন শেষে আবাসিক হলে ফিরিয়ে আনা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪