মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ঈদের পরপরই জমা দিতে হবে থিসিস। হাতে সময় কম। সেই ব্যস্ততায় এবার আর ঈদে বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র নাসির উদ্দীনের। কেননা, তাঁর বাড়ি ক্যাম্পাস থেকে বহুদূরের উত্তরবঙ্গের ঠাকুরগাঁওয়ে। প্রথমবারের মতো তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেই ঈদ করবেন তিনি।
ঈদেও পরিবার থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। তাই স্বাভাবিক কারণেই একটু মন খারাপ নাসিরের। তবে তিনি মেনে নিচ্ছেন বাস্তবতা। আজকের পত্রিকাকে বললেন সেটিও, ‘ক্যাম্পাস থেকে বাড়ি যেতে প্রায় এক দিনের মতো সময় লেগে যায়। আসতেও তেমন সময় লাগবে। কিন্তু ঈদের পরপরই আমার থিসিস জমা দিতে হবে। এবার আর তাই বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না। হলেই ঈদ করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী রাগিব শাকিলের গল্পটা অবশ্য ভিন্ন। তিনি শখের বসেই এবার ক্যাম্পাসে ঈদ করবেন। আর কদিন পরেই ছাড়তে হবে প্রিয় ক্যাম্পাস। আবেগ তাই এখনই এসে ভিড় করেছে শাকিলের মনে।
পঞ্চগড় জেলা থেকে পড়তে আসা শাকিল বলেন, ‘প্রায় সাত বছর ধরে আছি এই ক্যাম্পাসে। অনেক অনেক স্মৃতি রয়েছে এখানে। কদিন পরেই ফল বেরোলে ছাড়তে হবে ক্যাম্পাস। সে জন্য স্মৃতির পাতাটাকে আরও একটু সমৃদ্ধ করতে এবারের ঈদটা ক্যাম্পাসেই করব।’
শাকিলের মতো পাওয়া গেল আরেকজনকেও। তিনি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন রুবেল। তাঁর খুব ইচ্ছে ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশে ঈদ করবেন। শাকিল বলেন, ‘বহুজাতিক মানুষ আমরা। হুটহাট শখ-আহ্লাদ সৃষ্টি হয়ে মানুষের মনে। ইচ্ছা করে নিরিবিলি নির্জন একাকী রাস্তায় হাঁটার। এবারের ঈদটা তাই নিরিবিলি নির্জন প্রাকৃতিক পরিবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে করব।’
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ১৭ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর পর থেকে নাড়ির টানে একে একে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন আবাসিক হল ও কটেজে থাকা শিক্ষার্থীরা। শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, ঝুপড়িতে প্রাণোচ্ছল আড্ডা নেই। স্টেশন চত্বরে কালাম মামার দোকান কিংবা জিরো পয়েন্টে নিয়নের আলোর নিচে জটলাও চোখে পড়ে না। সুনসান নীরবতা সবখানে।
মাঝেমধ্যে সেই নীরবতা ভাঙছে ক্যাম্পাসে ঈদ কাটাতে থেকে যাওয়া নাসির, রাগিবদের মতো আরও কিছু শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। সামনে পরীক্ষা, ব্যক্তিগত সমস্যা, দূরত্ব কিংবা নতুন অভিজ্ঞতা নেওয়ার ইচ্ছার কারণে ঈদেও হলে থাকছেন অনেকে।
ক্যাম্পাসে ঈদ কাটানোয় পিছিয়ে নেই মেয়েরাও। শামসুন্নাহার হলে এবার ঈদে ২৩ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করবেন। তাদের জন্য হল কর্তৃপক্ষের থাকবে বিশেষ আয়োজন।
হলের প্রভোস্ট লায়লা খালেদা আঁখি বলেন, আমাদের হলে ২৩ জন শিক্ষার্থী ঈদে থাকবেন। তাদের জন্য আমরা তাদের মতামতের ভিত্তিতে বিশেষ আয়োজন করব।
এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, ‘প্রতিবছর অল্প কিছু শিক্ষার্থী হলে ঈদ করেন। তাদের জন্য সকালে ঈদের সেমাই ও দুপুরে খাবারের আয়োজন করা হয়। এবারও এমনটা করা হবে।’
ঈদের পরপরই জমা দিতে হবে থিসিস। হাতে সময় কম। সেই ব্যস্ততায় এবার আর ঈদে বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র নাসির উদ্দীনের। কেননা, তাঁর বাড়ি ক্যাম্পাস থেকে বহুদূরের উত্তরবঙ্গের ঠাকুরগাঁওয়ে। প্রথমবারের মতো তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেই ঈদ করবেন তিনি।
ঈদেও পরিবার থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। তাই স্বাভাবিক কারণেই একটু মন খারাপ নাসিরের। তবে তিনি মেনে নিচ্ছেন বাস্তবতা। আজকের পত্রিকাকে বললেন সেটিও, ‘ক্যাম্পাস থেকে বাড়ি যেতে প্রায় এক দিনের মতো সময় লেগে যায়। আসতেও তেমন সময় লাগবে। কিন্তু ঈদের পরপরই আমার থিসিস জমা দিতে হবে। এবার আর তাই বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না। হলেই ঈদ করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী রাগিব শাকিলের গল্পটা অবশ্য ভিন্ন। তিনি শখের বসেই এবার ক্যাম্পাসে ঈদ করবেন। আর কদিন পরেই ছাড়তে হবে প্রিয় ক্যাম্পাস। আবেগ তাই এখনই এসে ভিড় করেছে শাকিলের মনে।
পঞ্চগড় জেলা থেকে পড়তে আসা শাকিল বলেন, ‘প্রায় সাত বছর ধরে আছি এই ক্যাম্পাসে। অনেক অনেক স্মৃতি রয়েছে এখানে। কদিন পরেই ফল বেরোলে ছাড়তে হবে ক্যাম্পাস। সে জন্য স্মৃতির পাতাটাকে আরও একটু সমৃদ্ধ করতে এবারের ঈদটা ক্যাম্পাসেই করব।’
শাকিলের মতো পাওয়া গেল আরেকজনকেও। তিনি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন রুবেল। তাঁর খুব ইচ্ছে ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশে ঈদ করবেন। শাকিল বলেন, ‘বহুজাতিক মানুষ আমরা। হুটহাট শখ-আহ্লাদ সৃষ্টি হয়ে মানুষের মনে। ইচ্ছা করে নিরিবিলি নির্জন একাকী রাস্তায় হাঁটার। এবারের ঈদটা তাই নিরিবিলি নির্জন প্রাকৃতিক পরিবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে করব।’
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ১৭ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর পর থেকে নাড়ির টানে একে একে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন আবাসিক হল ও কটেজে থাকা শিক্ষার্থীরা। শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, ঝুপড়িতে প্রাণোচ্ছল আড্ডা নেই। স্টেশন চত্বরে কালাম মামার দোকান কিংবা জিরো পয়েন্টে নিয়নের আলোর নিচে জটলাও চোখে পড়ে না। সুনসান নীরবতা সবখানে।
মাঝেমধ্যে সেই নীরবতা ভাঙছে ক্যাম্পাসে ঈদ কাটাতে থেকে যাওয়া নাসির, রাগিবদের মতো আরও কিছু শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। সামনে পরীক্ষা, ব্যক্তিগত সমস্যা, দূরত্ব কিংবা নতুন অভিজ্ঞতা নেওয়ার ইচ্ছার কারণে ঈদেও হলে থাকছেন অনেকে।
ক্যাম্পাসে ঈদ কাটানোয় পিছিয়ে নেই মেয়েরাও। শামসুন্নাহার হলে এবার ঈদে ২৩ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করবেন। তাদের জন্য হল কর্তৃপক্ষের থাকবে বিশেষ আয়োজন।
হলের প্রভোস্ট লায়লা খালেদা আঁখি বলেন, আমাদের হলে ২৩ জন শিক্ষার্থী ঈদে থাকবেন। তাদের জন্য আমরা তাদের মতামতের ভিত্তিতে বিশেষ আয়োজন করব।
এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, ‘প্রতিবছর অল্প কিছু শিক্ষার্থী হলে ঈদ করেন। তাদের জন্য সকালে ঈদের সেমাই ও দুপুরে খাবারের আয়োজন করা হয়। এবারও এমনটা করা হবে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
১ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
১ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫