Ajker Patrika

ছাদে ক্যাকটাসের বাগান

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ১৭
ছাদে ক্যাকটাসের বাগান

পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম। তাঁর শখ নানা জাতের ক্যাকটাস সংগ্রহ করা। রাজশাহীতে তিনি গড়ে তুলেছেন মরুভূমির ক্যাকটাসের এক বিশাল সংগ্রহ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইতিমধ্যে এই বাগানের ছবি নিয়ে বেশ মাতামাতি হয়েছে। অনেক ক্যাকটাসপ্রেমী বাগান দেখতে ছুটে আসছেন।

তৌহিদুল ইসলাম রাজশাহী নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। রাজশাহী আসার পর শহরের সাহেববাজারে ইসমাইল হোসেন নামের এক নার্সারি ব্যবসায়ীকে সঙ্গে নিয়ে করেন ক্যাকটাসের ছাদবাগান। সেখানে এখন আছে প্রায় ৪০০ জাতের ৫০ হাজারেরও বেশি ক্যাকটাস গাছ। এগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। তবে ক্যাকটাস বিক্রি করেন না তৌহিদুল।

সম্প্রতি তৌহিদুলের ছাদবাগানে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি শেডে টবে টবে সাজিয়ে রেখেছেন ক্যাকটাস। একটি শেডে ক্যাকটাসের বীজ থেকে তৈরি করা হয় চারা। এপিথেলান্থা মাইক্রোমেরিস ক্রিস্টাটা, উবেলম্যানিয়া পেকটিনিফেরা, অ্যাজটেকিয়াম রিটেরি, পিগমেওসিরাস বিবলির মতো দুর্লভ ক্যাকটাস আছে এখানে।

সেদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী এসেছিলেন এই ক্যাকটাস বাগান দেখতে। শ্রাবণী খাতুন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি গাছ ভালোবাসি। ক্যাকটাসের প্রতি আগ্রহটা আরও বেশি। তাই ফেসবুকে বাগান দেখে সশরীরে দেখতে এসেছি। এসে খুবই ভালো লাগল। এত কালেকশন আমি আর দেখিনি।’

তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ২০০০ সালের আগে তিনি তখন স্কুলে পড়েন। তখন থেকেই তাঁর ক্যাকটাস সংগ্রহের নেশা পেয়ে বসে। স্নাতকে (সম্মান) পড়াশোনা করার সময় সংগ্রহে কিছুটা ভাটা পড়ে। পরবর্তী সময়ে চাকরি পাওয়ার পর আবার ক্যাকটাস সংগ্রহ করতে থাকেন। তখন তিনি ঢাকায়। তারপর রাজশাহীতে বদলি হন। এরপর পরিচয় হয় ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে। তাঁর নার্সারি আছে। ক্যাকটাস সম্পর্কেও তাঁর জানাশোনা ভালো। তাই একটি ছাদ ভাড়া নিয়ে দুজন মিলে শুরু করেন ক্যাকটাসের বাগান করা।

তৌহিদুল আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে এই ক্যাকটাস বাগান শুরু করি। যাঁরা বাইরের দেশ থেকে ক্যাকটাস আনেন, তাঁদের কাছ থেকেও সংগ্রহ করি। এখন দেশের বাইরে থেকে ক্যাকটাসের বীজ নিয়ে আসি। এখানে চারা করি। ফলে সংগ্রহ বাড়ছে। আমাদের ক্রস করার কারণেও কিছু নতুন জাত বাড়ছে। এখন প্রায় ৪০০ ধরনের ক্যাকটাস হয়েছে।’

তৌহিদুল জানিয়েছেন, ক্যাকটাসকে সবার কাছে পরিচিত এবং সহজলভ্য করাটাই তাঁর লক্ষ্য। অনেক ক্যাকটাসপ্রেমী তাঁর বাগান দেখতে আসতে চান। তিনি সময় দিতে পারেন না। তাও অনেকে তাঁর ছুটির দিনের সঙ্গে মিলিয়ে আসেন। তাঁর ইচ্ছা, ভবিষ্যতে ক্যাকটাস পার্ক তৈরি করা। যেখানে দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ আসবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত