সম্পাদকীয়
আবুল মনসুর আহমদ ছিলেন একাধারে সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, আইনজীবী ও লেখক। ১৮৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি ১৯১৭ সালে নাসিরাবাদ মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯২১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এরপর তিনি কলকাতা রিপন ল কলেজ থেকে আইন পাস করেন। ১৯২৯ সালে তিনি ময়মনসিংহে আইন ব্যবসা শুরু করে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত এ পেশায় নিয়োজিত থাকেন।
আবুল মনসুর আহমদ একজন পেশাদার সাংবাদিক ছিলেন। তিনি যেসব পত্রিকায় কাজ করেন সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সোলতান, মোহাম্মদী, দি মুসলমান, কৃষক, নবযুগ ও ইত্তেহাদ।
তিনি খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। প্রথমে তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হন। তারপর তিনি কৃষক-প্রজা পার্টিতে যোগ দেন। একসময় কংগ্রেসের সদস্যপদ ত্যাগ করে মুসলিম লীগের সঙ্গে যুক্ত হন।
১৯৪৯ সালে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার অন্যতম নেতা ছিলেন এবং ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এর সহসভাপতি ছিলেন। তিনি যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার অন্যতম প্রণেতা ছিলেন। যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে পূর্ববঙ্গ গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে ফজলুল হক মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পরবর্তী সময়ে যুক্তফ্রন্টের শিক্ষামন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন আবুল মনসুর আহমদ।
আইয়ুব খান কর্তৃক সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর তিনি কারারুদ্ধ হন এবং ১৯৬২ সালে মুক্তি পান। এরপর তিনি রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো: হুযুর কেবলা, বাংলাদেশের কালচার, আত্মকথা, আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর ও শেরে বাংলা হইতে বঙ্গবন্ধু ইত্যাদি। তাঁর গল্পগ্রন্থসমূহে তিনি মুসলিম সমাজের গোঁড়ামি, ধর্মান্ধতা, ভণ্ডামিসহ নানা কুসংস্কারকে ব্যঙ্গ করে তুলে ধরেছেন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে।
আবুল মনসুর আহমদ ১৯৭৯ সালের ১৮ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
আবুল মনসুর আহমদ ছিলেন একাধারে সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, আইনজীবী ও লেখক। ১৮৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি ১৯১৭ সালে নাসিরাবাদ মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯২১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এরপর তিনি কলকাতা রিপন ল কলেজ থেকে আইন পাস করেন। ১৯২৯ সালে তিনি ময়মনসিংহে আইন ব্যবসা শুরু করে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত এ পেশায় নিয়োজিত থাকেন।
আবুল মনসুর আহমদ একজন পেশাদার সাংবাদিক ছিলেন। তিনি যেসব পত্রিকায় কাজ করেন সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সোলতান, মোহাম্মদী, দি মুসলমান, কৃষক, নবযুগ ও ইত্তেহাদ।
তিনি খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। প্রথমে তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হন। তারপর তিনি কৃষক-প্রজা পার্টিতে যোগ দেন। একসময় কংগ্রেসের সদস্যপদ ত্যাগ করে মুসলিম লীগের সঙ্গে যুক্ত হন।
১৯৪৯ সালে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার অন্যতম নেতা ছিলেন এবং ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এর সহসভাপতি ছিলেন। তিনি যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার অন্যতম প্রণেতা ছিলেন। যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে পূর্ববঙ্গ গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে ফজলুল হক মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পরবর্তী সময়ে যুক্তফ্রন্টের শিক্ষামন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন আবুল মনসুর আহমদ।
আইয়ুব খান কর্তৃক সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর তিনি কারারুদ্ধ হন এবং ১৯৬২ সালে মুক্তি পান। এরপর তিনি রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো: হুযুর কেবলা, বাংলাদেশের কালচার, আত্মকথা, আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর ও শেরে বাংলা হইতে বঙ্গবন্ধু ইত্যাদি। তাঁর গল্পগ্রন্থসমূহে তিনি মুসলিম সমাজের গোঁড়ামি, ধর্মান্ধতা, ভণ্ডামিসহ নানা কুসংস্কারকে ব্যঙ্গ করে তুলে ধরেছেন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে।
আবুল মনসুর আহমদ ১৯৭৯ সালের ১৮ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
২ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫