রংপুর ও তারাগঞ্জ প্রতিনিধি
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর দমকা বাতাসে দুর্ভোগে পড়েছেন রংপুরের মানুষ। ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না তাঁরা। জনসাধারণে চলাচল কমে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের বেগ বেশি থাকায় বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ে। ঠান্ডা বেশি হওয়ার কারণে লোকজন কাজে যেতে পারেননি।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হাট-বাজার, বাসস্ট্যান্ডে লোকসমাগম নেই। নিত্যপণ্যের দোকানগুলোতে তেমন ভিড় ছিল না। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হননি। সকাল ১১টায় গুঁড়ি বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ছাতা মাথা দিয়ে ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছেন রোকছানা-শাহিনুর দম্পতি। শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘ভোর থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। খুব ঠান্ডাও আজ। বাতাসে বাইরে টেকা যাচ্ছে না। স্ত্রী খুব অসুস্থ, তাই ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে এসেছি।’
ছুটির দিনগুলোতে রংপুর মেডিকেল মোড়ে রিকশা-অটোরিকশার ভিড়ে পা ফেলানো দায় হয়ে যায়। কিন্তু গতকালে দৃশ্য ছিল ভিন্ন। যাত্রী নেই, রিকশা-অটোরিকশারও ভিড় নেই। সেখানে কথা হয় রিকশা চালক আবু হেনার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাতে গ্যারেজে ছিলাম। শুক্রবার এমনিতে শহরে ভিড় থাকে। কিন্তু আইজ ৫টা পর্যন্ত চারটি ভাড়াও পায়নি। শীত আর বৃষ্টির কারণে লোকজন কম।’
শুধু মেডিকেল মোড়ই নয়, নগরীর বিভিন্ন মোড় ও উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে। কাজের সন্তানে নগরীতে আসা গঙ্গাচড়া সদরের দিনমজুর পরিমল রায় ঠান্ডায় কুঁকড়ে বাড়ি ফিরেন বিকেল তিনটায়। নগরীর শিমুলবাগে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। পরিমল রায় জানান, বৃষ্টি থেকে যাবে ভেবে পলিথিন শরীরে পেঁচিয়ে শহরে কাজের সন্ধানে আসেন। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি না কমায় তিনি একটি চায়ের দোকানে বসে থেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। সঙ্গে আনা ২০ টাকা চা পান করে শেষ করেছেন। চাল ডাল কি দিয়ে নিয়ে ঘরের ফিরবেন সেই চিন্তায় কাতর তিনি।
তারাগঞ্জের ইকরচালী বাজারে কথা হয় মেনানগর গ্রামের দিনমজুর কালা মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভাই ঠান্ডা বাতাস এত বেশি যে দুই দিন থাকি ঘরের বাইরোত যাবার পাই না। একদিন কাম না করলে ঘরোত খাবার থাকে না। রাইতোত কাম ঠিক করছুনু। সকাল থাকি দ্যাওয়ার পানি আর ঠান্ডা বাতাসের জন্যে যাবার পাও নাই। বউ কওছে ঘরোত চাল, তেল নাই। তাক বাকি নিবার জন্য কাপতে কাপতে হাটোত আনু।’
মাঘের শীত আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে শুধু মানুষই নয় গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। শীতের তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি।
নারায়ণজন গ্রামের দিনমজুর নাজিম মিয়া বলেন, ‘ভাই এবার মাঘ মাসি শীতোত খুব কষ্ট পাওছি। ভাঙা বাড়ি ঘরোত হুহু করি বাতাস সোন্দায়। হামরা ছেঁড়া কাঁথা, কম্বল গাওত দিয়া কোনোরকমে জান বাঁচাই। কিন্তু গরুগুলার খুব দুরবস্থা হইছে। ঠিকমতো খাওন দিবার পাওছিনা, শীত থাকি রক্ষাও হওচে না।’
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘শুক্রবার রংপুরে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের বেগ বেশি ছিল। সকাল পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।’ আজ শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর দমকা বাতাসে দুর্ভোগে পড়েছেন রংপুরের মানুষ। ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না তাঁরা। জনসাধারণে চলাচল কমে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের বেগ বেশি থাকায় বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ে। ঠান্ডা বেশি হওয়ার কারণে লোকজন কাজে যেতে পারেননি।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হাট-বাজার, বাসস্ট্যান্ডে লোকসমাগম নেই। নিত্যপণ্যের দোকানগুলোতে তেমন ভিড় ছিল না। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হননি। সকাল ১১টায় গুঁড়ি বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ছাতা মাথা দিয়ে ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছেন রোকছানা-শাহিনুর দম্পতি। শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘ভোর থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। খুব ঠান্ডাও আজ। বাতাসে বাইরে টেকা যাচ্ছে না। স্ত্রী খুব অসুস্থ, তাই ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে এসেছি।’
ছুটির দিনগুলোতে রংপুর মেডিকেল মোড়ে রিকশা-অটোরিকশার ভিড়ে পা ফেলানো দায় হয়ে যায়। কিন্তু গতকালে দৃশ্য ছিল ভিন্ন। যাত্রী নেই, রিকশা-অটোরিকশারও ভিড় নেই। সেখানে কথা হয় রিকশা চালক আবু হেনার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাতে গ্যারেজে ছিলাম। শুক্রবার এমনিতে শহরে ভিড় থাকে। কিন্তু আইজ ৫টা পর্যন্ত চারটি ভাড়াও পায়নি। শীত আর বৃষ্টির কারণে লোকজন কম।’
শুধু মেডিকেল মোড়ই নয়, নগরীর বিভিন্ন মোড় ও উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে। কাজের সন্তানে নগরীতে আসা গঙ্গাচড়া সদরের দিনমজুর পরিমল রায় ঠান্ডায় কুঁকড়ে বাড়ি ফিরেন বিকেল তিনটায়। নগরীর শিমুলবাগে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। পরিমল রায় জানান, বৃষ্টি থেকে যাবে ভেবে পলিথিন শরীরে পেঁচিয়ে শহরে কাজের সন্ধানে আসেন। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি না কমায় তিনি একটি চায়ের দোকানে বসে থেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। সঙ্গে আনা ২০ টাকা চা পান করে শেষ করেছেন। চাল ডাল কি দিয়ে নিয়ে ঘরের ফিরবেন সেই চিন্তায় কাতর তিনি।
তারাগঞ্জের ইকরচালী বাজারে কথা হয় মেনানগর গ্রামের দিনমজুর কালা মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভাই ঠান্ডা বাতাস এত বেশি যে দুই দিন থাকি ঘরের বাইরোত যাবার পাই না। একদিন কাম না করলে ঘরোত খাবার থাকে না। রাইতোত কাম ঠিক করছুনু। সকাল থাকি দ্যাওয়ার পানি আর ঠান্ডা বাতাসের জন্যে যাবার পাও নাই। বউ কওছে ঘরোত চাল, তেল নাই। তাক বাকি নিবার জন্য কাপতে কাপতে হাটোত আনু।’
মাঘের শীত আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে শুধু মানুষই নয় গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। শীতের তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি।
নারায়ণজন গ্রামের দিনমজুর নাজিম মিয়া বলেন, ‘ভাই এবার মাঘ মাসি শীতোত খুব কষ্ট পাওছি। ভাঙা বাড়ি ঘরোত হুহু করি বাতাস সোন্দায়। হামরা ছেঁড়া কাঁথা, কম্বল গাওত দিয়া কোনোরকমে জান বাঁচাই। কিন্তু গরুগুলার খুব দুরবস্থা হইছে। ঠিকমতো খাওন দিবার পাওছিনা, শীত থাকি রক্ষাও হওচে না।’
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘শুক্রবার রংপুরে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের বেগ বেশি ছিল। সকাল পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।’ আজ শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫