Ajker Patrika

আলেকজান্ডার পুশকিন

সম্পাদকীয়
আলেকজান্ডার পুশকিন

আলেকজান্ডার সের্গেয়েভিচ পুশকিন ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার। আধুনিক রুশ সাহিত্যের জনকও বলা হয় তাঁকে।
পুশকিনের জন্ম (নতুন ক্যালেন্ডার অনুযায়ী) ১৭৯৯ সালের ২৬ মে, রাশিয়ার মস্কোর একটি অভিজাত পরিবারে।

অল্প বয়সে তিনি ফরাসি ভাষা শেখেন। ১০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি এই ভাষায় কথা বলতেন। তবে পরিবারের কাজের লোকের মাধ্যমে তিনি রুশ ভাষা রপ্ত করেন। সেন্ট পিটার্সবার্গের মর্যাদাপূর্ণ ইম্পেরিয়াল লাইসিয়াম থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৫ বছর বয়সে আলেকজান্ডার পুশকিনের প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। তিনি উদারনৈতিক ফরাসি চিন্তাবিদ দিদেরো ও ভলতেয়ারের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। ধীরে ধীরে তিনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন এবং তাঁর লেখার মধ্যেও এর প্রভাব পড়ে। বিতর্কিত কবিতা ‘ওডে টু লিবার্টি’ লিখে তিনি জার সরকারের বিরাগভাজন হন। ফলে সেন্ট পিটার্সবার্গ ত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। একসময় তিনি গ্রিক বিপ্লব দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গোপন সংগঠনে যোগ দেন।

প্রবল ব্যক্তিত্ব আর অসাধারণ রোমান্টিকতা দিয়ে তিনি অনেক নারীর মন জয় করেছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ছিলেন কেবলই তাঁর কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা।

জুয়া খেলা ছিল আলেকজান্ডার পুশকিনের নেশা। প্রায়ই তিনি খেলতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়তেন। প্রকাশকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে পরে লেখা দিয়ে ঋণ শোধ করতেন।

একসময় তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। কারণ তাঁর স্ত্রী ফরাসি সেনাবাহিনীর এক অফিসারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই ব্যক্তিকে দ্বন্দ্বযুদ্ধের আহ্বান জানান পুশকিন। কথিত আছে, এই দ্বন্দ্বযুদ্ধে জার সরকারের সংশ্লিষ্টতা ছিল। ১৯৩৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পুশকিনের সঙ্গে সেই ব্যক্তির দ্বন্দ্বযুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি প্রথম গুলি চালিয়ে পুশকিনকে গুরুতর আহত করেন। এর দুই দিন পর ১০ ফেব্রুয়ারি সেন্ট পিটার্সবার্গের নিজ বাড়িতে মারা যান রাশিয়ার খ্যাতনামা এই কবি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত