পরাগ মাঝি
ইউরোপের মানুষদের কাছে বহু বছর ধরে সমর্থন পেয়ে এসেছে ইসরায়েল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর হাতে নির্বিচার ইহুদি নিধনের পর এই সমর্থন আরও বেড়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রতি এই সমর্থনে ইউরোপের সব দেশে সমান নয়, বিশেষ করে আয়ারল্যান্ডে। বলা হয়ে থাকে, দেশটির অনেক মানুষই ইসরায়েলকে অনেক ঘৃণার চোখে দেখে। বিশ্লেষণধর্মী গণমাধ্যম দ্য স্পেক্টেটর-এ সেই অভিজ্ঞতারই বর্ণনা দিলেন আইরিশ লেখক রোরি হ্যানরাহান।
সম্প্রতি অক্সফোর্ডে একটি আইরিশ পাবে, দুপুরের নীরব শিফটে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন রোরি। এই পাবেই তিনি কাজ করেন। তবে কাজ বলতে সেদিন তেমন কিছুই ছিল না—মেজাজটাও যেন গির্জার মতো গম্ভীর। ঠিক তখনই এক মহিলা এগিয়ে এলেন বিল মেটাতে। তাঁর উচ্চারণ শুনে রোরির মনে হলো—তিনি হয়তো ডাচ হবেন। ভদ্রতার খাতিরে রোরি ওই মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোথা থেকে এসেছেন আপনি?’
সেই প্রশ্নে যেন কিছুটা দমে গেলেন সেই মহিলা। মুখ শক্ত হয়ে এল তাঁর। কণ্ঠস্বর নামিয়ে প্রায় ফিসফিস করে বললেন—‘ইসরায়েল’।
মহিলার ভঙ্গিটি এমন ছিল, যেন রোরি এখনই ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে রাস্তায় তাড়িয়ে দেবেন। তবে রোরি তাঁকে ‘ভয় নেই’ বলে আশ্বস্ত করলেন। রোরির কথায় মহিলার চোখেমুখে স্বস্তি ফুটে ওঠে। তবে তাঁর বিষণ্ন কৃতজ্ঞ মাখা চেহারায় ছিল গভীর দুঃখ। তিনি একজন শিক্ষাবিদ, এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে এসেছেন। আগের বছরও এসেছিলেন এবং তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। জাতীয়তার কারণে তাঁকে অপমানিত হতে হয়েছিল।
মহিলা হঠাৎ করেই রোরিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আইরিশরা ইসরায়েলকে এত ঘৃণা করে কেন?’
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে রোরির নিজেরও কিছুটা সময় লাগল। বলা হয়ে থাকে—আইরিশদের এমন মনোভাবের পেছনে আছে ইতিহাস, ধর্ম ও একধরনের নৈতিক শ্রেষ্ঠত্ব।
ক্যাথলিক ধর্মে ইহুদিদের ‘খ্রিষ্ট হত্যাকারী’ হিসেবে চিত্রিত করার প্রবণতা আইরিশ সমাজে গভীরভাবে প্রোথিত ছিল। বিশ শতকের মাঝামাঝি এই বিদ্বেষ আরও পুষ্ট হয় দেশটির প্রভাবশালী ধর্মতত্ত্ববিদদের হাত ধরে। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, উদ্বাস্তু ইহুদিদের তীব্রভাবে উপেক্ষা করেছিল আইরিশরা।
তবে সব সময় এমন ছিল না। আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে, আইরিশ ও ইহুদি জাতির মধ্যে একধরনের সহানুভূতি ছিল। কারণ, দুই জাতিই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জন্ম নিয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আইরিশ রিপাবলিকানেরা ফিলিস্তিনিদের নিজেদের প্রতিবিম্ব হিসেবে দেখতে শুরু করল। ১৯৮০-এর দশকে বেলফাস্টের দেয়ালে আঁকা হলো ‘আইআরএ-পিএলও’।
সেই সময়টিতে মূলত আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি (আইআরএ) এবং প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) মধ্যে সহযোগিতার একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই থেকেই ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব আইরিশদের রাজনৈতিক মঞ্চে ঠাঁই পেল।
আরও খবর পড়ুন:
ইউরোপের মানুষদের কাছে বহু বছর ধরে সমর্থন পেয়ে এসেছে ইসরায়েল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর হাতে নির্বিচার ইহুদি নিধনের পর এই সমর্থন আরও বেড়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রতি এই সমর্থনে ইউরোপের সব দেশে সমান নয়, বিশেষ করে আয়ারল্যান্ডে। বলা হয়ে থাকে, দেশটির অনেক মানুষই ইসরায়েলকে অনেক ঘৃণার চোখে দেখে। বিশ্লেষণধর্মী গণমাধ্যম দ্য স্পেক্টেটর-এ সেই অভিজ্ঞতারই বর্ণনা দিলেন আইরিশ লেখক রোরি হ্যানরাহান।
সম্প্রতি অক্সফোর্ডে একটি আইরিশ পাবে, দুপুরের নীরব শিফটে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন রোরি। এই পাবেই তিনি কাজ করেন। তবে কাজ বলতে সেদিন তেমন কিছুই ছিল না—মেজাজটাও যেন গির্জার মতো গম্ভীর। ঠিক তখনই এক মহিলা এগিয়ে এলেন বিল মেটাতে। তাঁর উচ্চারণ শুনে রোরির মনে হলো—তিনি হয়তো ডাচ হবেন। ভদ্রতার খাতিরে রোরি ওই মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোথা থেকে এসেছেন আপনি?’
সেই প্রশ্নে যেন কিছুটা দমে গেলেন সেই মহিলা। মুখ শক্ত হয়ে এল তাঁর। কণ্ঠস্বর নামিয়ে প্রায় ফিসফিস করে বললেন—‘ইসরায়েল’।
মহিলার ভঙ্গিটি এমন ছিল, যেন রোরি এখনই ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে রাস্তায় তাড়িয়ে দেবেন। তবে রোরি তাঁকে ‘ভয় নেই’ বলে আশ্বস্ত করলেন। রোরির কথায় মহিলার চোখেমুখে স্বস্তি ফুটে ওঠে। তবে তাঁর বিষণ্ন কৃতজ্ঞ মাখা চেহারায় ছিল গভীর দুঃখ। তিনি একজন শিক্ষাবিদ, এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে এসেছেন। আগের বছরও এসেছিলেন এবং তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। জাতীয়তার কারণে তাঁকে অপমানিত হতে হয়েছিল।
মহিলা হঠাৎ করেই রোরিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আইরিশরা ইসরায়েলকে এত ঘৃণা করে কেন?’
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে রোরির নিজেরও কিছুটা সময় লাগল। বলা হয়ে থাকে—আইরিশদের এমন মনোভাবের পেছনে আছে ইতিহাস, ধর্ম ও একধরনের নৈতিক শ্রেষ্ঠত্ব।
ক্যাথলিক ধর্মে ইহুদিদের ‘খ্রিষ্ট হত্যাকারী’ হিসেবে চিত্রিত করার প্রবণতা আইরিশ সমাজে গভীরভাবে প্রোথিত ছিল। বিশ শতকের মাঝামাঝি এই বিদ্বেষ আরও পুষ্ট হয় দেশটির প্রভাবশালী ধর্মতত্ত্ববিদদের হাত ধরে। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, উদ্বাস্তু ইহুদিদের তীব্রভাবে উপেক্ষা করেছিল আইরিশরা।
তবে সব সময় এমন ছিল না। আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে, আইরিশ ও ইহুদি জাতির মধ্যে একধরনের সহানুভূতি ছিল। কারণ, দুই জাতিই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জন্ম নিয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আইরিশ রিপাবলিকানেরা ফিলিস্তিনিদের নিজেদের প্রতিবিম্ব হিসেবে দেখতে শুরু করল। ১৯৮০-এর দশকে বেলফাস্টের দেয়ালে আঁকা হলো ‘আইআরএ-পিএলও’।
সেই সময়টিতে মূলত আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি (আইআরএ) এবং প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) মধ্যে সহযোগিতার একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই থেকেই ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব আইরিশদের রাজনৈতিক মঞ্চে ঠাঁই পেল।
আরও খবর পড়ুন:
লাদাখ অ্যাপেক্স বডির সমন্বয়ক জিগমাত পালজোর আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আজ লাদাখের ইতিহাসের রক্তাক্ত দিন। আমাদের তরুণদের হত্যা করা হয়েছে—যাঁরা সাধারণ মানুষ, শুধু অনশনের দাবিকে সমর্থন জানাতে রাস্তায় নেমেছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছর ধরে সরকারের ভুয়া প্রতিশ্রুতিতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।
১৩ ঘণ্টা আগেনেপালের শুরুটা হয়েছিল ভক্তপুর শহরে এক রাজনীতিবিদের মেয়ের বিয়েকে কেন্দ্র করে। সে সময় খবর ছড়ায়—ভিআইপি অতিথিদের জন্য শহরের প্রধান সড়ক ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ ছিল এবং এতে বড় ধরনের যানজট তৈরি হয়।
১ দিন আগেজাতিসংঘের মঞ্চে ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতা রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের স্বীকৃতি শতবর্ষী ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত। তবে এটি এক ধরনের কূটনৈতিক ঝুঁকিও। কারণ, বড় ইউরোপীয় শক্তিগুলো মনে করছে—সংঘাত এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাদের এমন নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রে ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে জায়নবাদী বয়ান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়। এই বয়ান এবং তা দিয়ে জনমত তৈরিতে ভূমিকা রাখছে লবিস্ট, খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারকেরা এবং প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমগুলো। ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা শুরুর আগপর্যন্ত এ বয়ানকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি।
২ দিন আগে