আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের এই বিপজ্জনক সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়বে কি না কিংবা তার তীব্রতা কোন পর্যন্ত উঠতে পারে, তা নিয়েই এখন চলছে গুঞ্জন।
ভারতের দাবি, মঙ্গলবার গভীর রাতে তারা পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় সন্ত্রাসী স্থাপনা লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় বাহিনী মসজিদসহ বেসামরিক স্থাপনা এবং সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার হামলা চালিয়েছে। ‘আত্মরক্ষার’ অংশ হিসেবে ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে তারা। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তাঁর দেশের সামরিক বাহিনীকে ‘আত্মরক্ষার জন্য যথোপযুক্ত’ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি ‘নিরপরাধ পাকিস্তানিদের হত্যার প্রতিশোধ’ নিতে বলেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় বাহিনীর হামলায় দেশটির অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে ভারত বলেছে, পাকিস্তানের গোলার আঘাতে সে দেশে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে।
পেহেলগাম থেকে ‘অপারেশন সিঁদুর’
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। এ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক তেতে ওঠে। ভারত এ হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। কাশ্মীর সীমান্তে নিয়মিত গোলাগুলি ও রাজনৈতিক নেতাদের কথার লড়াই চলতে থাকে। ভারত ‘শাস্তি হিসেবে’ পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, কূটনীতিক বহিষ্কার, ভিসা সুবিধা বাতি, আমদানি বন্ধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। পাকিস্তানও ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ, ভিসা সুবিধা বাতিল, কূটনীতিক বহিষ্কারসহ পাল্টা বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। তবে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলকে ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানায়। এমন উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটেই পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালাল ভারতীয় বাহিনী।
‘পেহেলগামের জবাব’ দেওয়ার কথা বলে ভারত বস্তুত ২২ এপ্রিলের পর থেকে পাকিস্তানে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দফায় দফায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, প্রতিরক্ষাসচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত মঙ্গলবার ভারতজুড়ে পরিচালিত হয় যুদ্ধ পরিস্থিতির মহড়া। এরপর মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতেই পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই হামলার নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। নামটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া বলে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানে হামলার পর ভারতের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৯টি সন্ত্রাসী আস্তানা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’ তারা দাবি করেছে, হামলা ছিল নিয়ন্ত্রিত এবং এমনভাবে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে উত্তেজনা না বাড়ে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ অভিযোগ করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে এই হামলা চালিয়েছেন। তিনি এএফপিকে বলেছেন, ‘জবাব দেওয়ার প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমরা খুব বেশি সময় নেব না।’
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, তাঁরা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরসহ সীমান্ত এলাকায় ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছেন। ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একটি সূত্র এএফপিকে বলেছেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে তাঁদের তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানগুলো নিজেদের ত্রুটিতে, নাকি পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষার হামলায় ধ্বংস হয়েছে, তা ভারত বা তৃতীয় কোনো পক্ষ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পাকিস্তানে হামলার পরপরই গতকাল ভারত আবারও যুদ্ধ পরিস্থিতির মহড়া চালিয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ ঝুঁকির এলাকাগুলোয় বেসামরিক নাগরিকদের বিমান হামলার সময় করণীয় শেখাতেও মহড়া চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটি।
পাকিস্তানের যেসব স্থানে হামলা
পাকিস্তানের সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের কাছে আহমেদপুর শারকিয়া, মুরিদকে শহর, শিয়ালকোটের কাছের একটি গ্রাম ও শাকরগড় এবং পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে ভারতীয় বাহিনী হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয়েছে আহমেদপুর শারকিয়ায়। সেখানে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একটি মসজিদের অংশ গুঁড়িয়ে গেছে এবং তিন বছর বয়সী এক শিশুসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে হামলায় দুটি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে, নিহত হয়েছে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী ও ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ।
বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা
এএফপি জানায়, পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রধান শহর মুজাফফরাবাদে গতকাল সেনাসদস্যদের একটি মসজিদ ঘিরে থাকতে দেখা গেছে। তাঁদের দাবি, মসজিদটি ভারতীয় হামলায় ধ্বংস হয়েছে। আশপাশের কয়েকটি বেসামরিক বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হামলায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ সালমান বলেন, ‘রাতে বিকট শব্দে আমরা চমকে জেগে উঠি। সবাই প্রাণ বাঁচাতে দিগ্বিদিক ছুটছিল।’ ২৪ বছর বয়সী তরুণ তারিক মির হামলার সময় আহত হয়েছেন। তাঁর পায়ে বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরা বিদ্ধ হয়েছে। তারিক বলেন, ‘আমরা নিরাপদ জায়গার খোঁজে ছুটছিলাম...আমাদের বাড়িঘর সব গেছে, আমরা এখন গৃহহারা।’
ভারতের পুঞ্চ শহরের বাসিন্দা ফারুক প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) বলেন, ‘গোলাগুলির বিকট শব্দে আমরা জেগে উঠি। বৃষ্টির মতো গোলা এসে পড়ছিল।’ ফারুক মাথায় আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতালে মাথায় ব্যান্ডেজ পরা অবস্থায় তিনি পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলেন।
পুঞ্চের স্থানীয় কর্মকর্তা আজহার মজিদ এএফপিকে বলেন, ওই এলাকায় অন্তত ১২ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছে।
‘জবাব দেবে’ পাকিস্তান
মার্কিন নিউজ টিভি চ্যানেল সিএনএন জানায়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, ভারতের হামলার পর গতকাল জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এ সময় তিনি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে ‘আত্মরক্ষার’ এবং ‘যথোপযুক্ত পদক্ষেপ’ নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে ‘নিরপরাধ পাকিস্তানিদের হত্যার প্রতিশোধ’ নেওয়ারও নির্দেশ দেন।
এনএসসি বৈঠকের পর সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আত্মরক্ষার জন্য নিজেদের পছন্দমতো সময়, জায়গা ও কৌশলে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে বলে বৈঠকে মত দেওয়া হয়। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে উপযুক্ত জবাব দিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জইশ-প্রধানের পরিবারের সদস্য নিহত
জাতিসংঘঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ (জেইএম) এক বিবৃতিতে বলেছে, বাহাওয়ালপুরে সুবহান আল্লাহ মসজিদে ভারতীয় হামলায় সংগঠনটির প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য ও তিন ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে মাসুদ আজহারের বড় বোন ও তাঁর স্বামী, মাসুদের ভাতিজা ও তাঁর স্ত্রী, ভাগনি এবং পরিবারের পাঁচ শিশু রয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামলায় মাসুদ আজহারের তিন সহযোগী ছাড়াও তাঁদের একজনের মা-ও নিহত হয়েছেন।
ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের ইতিহাস
দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব আজকের নয়। ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। স্বাধীনতার পর দুই দেশ এ পর্যন্ত কয়েকবার যুদ্ধ বা বড় সংঘাতে জড়িয়েছে।
মার্কিন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশনসের তথ্যমতে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত কাশ্মীর ঘিরেই। ১৯৪৭ সালে দুই দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই পাকিস্তানের দিক থেকে উপজাতীয় হামলার প্রেক্ষাপটে কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৪৭ সালেই যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের বিরতি ঘটে ১৯৪৯ সালের করাচি চুক্তির মাধ্যমে।
১৯৬৫ সালে আবার সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়ায় দুই প্রতিবেশী। এই যুদ্ধও হয়েছে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে। ১৭ দিনের সেই যুদ্ধের বিরতি ঘটে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায়। এর ছয় বছর পর ১৯৭১ সালে শুরু হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ। বাংলাদেশকে সহায়তার একপর্যায়ে ভারত সরাসরি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ৩ ডিসেম্বর ভারতের কয়েকটি স্থানে পাকিস্তানের বিমান হামলার পর ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়।
১৯৭২ সালে সিমলা চুক্তির মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি)। এরপর দুই বৈরী প্রতিবেশীর সম্পর্কের কিছুটা উন্নতি ঘটে। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানি সেনারা এলওসি অতিক্রম করে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ঢুকে পড়লে শুরু হয় কারগিল যুদ্ধ। এই যুদ্ধেরও আপাতসমাপ্তি ঘটে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে এলওসির কাছে উরিতে ভারতের সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসীর হামলার জেরে দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে। ওই হামলার জবাবে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ঢুকে কথিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ (সুনির্দিষ্ট হামলা) চালায়। তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছিল, এ ধরনের কোনো অভিযানই ভারতীয় বাহিনী চালায়নি। তার পর থেকে দুই বাহিনীর মধ্যে এলওসিতে মাঝেমধ্যেই সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের এই বিপজ্জনক সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়বে কি না কিংবা তার তীব্রতা কোন পর্যন্ত উঠতে পারে, তা নিয়েই এখন চলছে গুঞ্জন।
ভারতের দাবি, মঙ্গলবার গভীর রাতে তারা পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় সন্ত্রাসী স্থাপনা লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় বাহিনী মসজিদসহ বেসামরিক স্থাপনা এবং সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার হামলা চালিয়েছে। ‘আত্মরক্ষার’ অংশ হিসেবে ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে তারা। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তাঁর দেশের সামরিক বাহিনীকে ‘আত্মরক্ষার জন্য যথোপযুক্ত’ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি ‘নিরপরাধ পাকিস্তানিদের হত্যার প্রতিশোধ’ নিতে বলেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় বাহিনীর হামলায় দেশটির অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে ভারত বলেছে, পাকিস্তানের গোলার আঘাতে সে দেশে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে।
পেহেলগাম থেকে ‘অপারেশন সিঁদুর’
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। এ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক তেতে ওঠে। ভারত এ হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। কাশ্মীর সীমান্তে নিয়মিত গোলাগুলি ও রাজনৈতিক নেতাদের কথার লড়াই চলতে থাকে। ভারত ‘শাস্তি হিসেবে’ পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, কূটনীতিক বহিষ্কার, ভিসা সুবিধা বাতি, আমদানি বন্ধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। পাকিস্তানও ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ, ভিসা সুবিধা বাতিল, কূটনীতিক বহিষ্কারসহ পাল্টা বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। তবে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলকে ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানায়। এমন উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটেই পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালাল ভারতীয় বাহিনী।
‘পেহেলগামের জবাব’ দেওয়ার কথা বলে ভারত বস্তুত ২২ এপ্রিলের পর থেকে পাকিস্তানে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দফায় দফায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, প্রতিরক্ষাসচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত মঙ্গলবার ভারতজুড়ে পরিচালিত হয় যুদ্ধ পরিস্থিতির মহড়া। এরপর মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতেই পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই হামলার নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। নামটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া বলে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানে হামলার পর ভারতের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৯টি সন্ত্রাসী আস্তানা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’ তারা দাবি করেছে, হামলা ছিল নিয়ন্ত্রিত এবং এমনভাবে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে উত্তেজনা না বাড়ে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ অভিযোগ করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে এই হামলা চালিয়েছেন। তিনি এএফপিকে বলেছেন, ‘জবাব দেওয়ার প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমরা খুব বেশি সময় নেব না।’
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, তাঁরা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরসহ সীমান্ত এলাকায় ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছেন। ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একটি সূত্র এএফপিকে বলেছেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে তাঁদের তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানগুলো নিজেদের ত্রুটিতে, নাকি পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষার হামলায় ধ্বংস হয়েছে, তা ভারত বা তৃতীয় কোনো পক্ষ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পাকিস্তানে হামলার পরপরই গতকাল ভারত আবারও যুদ্ধ পরিস্থিতির মহড়া চালিয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ ঝুঁকির এলাকাগুলোয় বেসামরিক নাগরিকদের বিমান হামলার সময় করণীয় শেখাতেও মহড়া চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটি।
পাকিস্তানের যেসব স্থানে হামলা
পাকিস্তানের সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের কাছে আহমেদপুর শারকিয়া, মুরিদকে শহর, শিয়ালকোটের কাছের একটি গ্রাম ও শাকরগড় এবং পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে ভারতীয় বাহিনী হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয়েছে আহমেদপুর শারকিয়ায়। সেখানে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একটি মসজিদের অংশ গুঁড়িয়ে গেছে এবং তিন বছর বয়সী এক শিশুসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে হামলায় দুটি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে, নিহত হয়েছে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী ও ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ।
বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা
এএফপি জানায়, পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রধান শহর মুজাফফরাবাদে গতকাল সেনাসদস্যদের একটি মসজিদ ঘিরে থাকতে দেখা গেছে। তাঁদের দাবি, মসজিদটি ভারতীয় হামলায় ধ্বংস হয়েছে। আশপাশের কয়েকটি বেসামরিক বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হামলায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ সালমান বলেন, ‘রাতে বিকট শব্দে আমরা চমকে জেগে উঠি। সবাই প্রাণ বাঁচাতে দিগ্বিদিক ছুটছিল।’ ২৪ বছর বয়সী তরুণ তারিক মির হামলার সময় আহত হয়েছেন। তাঁর পায়ে বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরা বিদ্ধ হয়েছে। তারিক বলেন, ‘আমরা নিরাপদ জায়গার খোঁজে ছুটছিলাম...আমাদের বাড়িঘর সব গেছে, আমরা এখন গৃহহারা।’
ভারতের পুঞ্চ শহরের বাসিন্দা ফারুক প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) বলেন, ‘গোলাগুলির বিকট শব্দে আমরা জেগে উঠি। বৃষ্টির মতো গোলা এসে পড়ছিল।’ ফারুক মাথায় আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতালে মাথায় ব্যান্ডেজ পরা অবস্থায় তিনি পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলেন।
পুঞ্চের স্থানীয় কর্মকর্তা আজহার মজিদ এএফপিকে বলেন, ওই এলাকায় অন্তত ১২ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছে।
‘জবাব দেবে’ পাকিস্তান
মার্কিন নিউজ টিভি চ্যানেল সিএনএন জানায়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, ভারতের হামলার পর গতকাল জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এ সময় তিনি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে ‘আত্মরক্ষার’ এবং ‘যথোপযুক্ত পদক্ষেপ’ নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে ‘নিরপরাধ পাকিস্তানিদের হত্যার প্রতিশোধ’ নেওয়ারও নির্দেশ দেন।
এনএসসি বৈঠকের পর সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আত্মরক্ষার জন্য নিজেদের পছন্দমতো সময়, জায়গা ও কৌশলে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে বলে বৈঠকে মত দেওয়া হয়। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে উপযুক্ত জবাব দিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জইশ-প্রধানের পরিবারের সদস্য নিহত
জাতিসংঘঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ (জেইএম) এক বিবৃতিতে বলেছে, বাহাওয়ালপুরে সুবহান আল্লাহ মসজিদে ভারতীয় হামলায় সংগঠনটির প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য ও তিন ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে মাসুদ আজহারের বড় বোন ও তাঁর স্বামী, মাসুদের ভাতিজা ও তাঁর স্ত্রী, ভাগনি এবং পরিবারের পাঁচ শিশু রয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামলায় মাসুদ আজহারের তিন সহযোগী ছাড়াও তাঁদের একজনের মা-ও নিহত হয়েছেন।
ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের ইতিহাস
দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব আজকের নয়। ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। স্বাধীনতার পর দুই দেশ এ পর্যন্ত কয়েকবার যুদ্ধ বা বড় সংঘাতে জড়িয়েছে।
মার্কিন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশনসের তথ্যমতে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত কাশ্মীর ঘিরেই। ১৯৪৭ সালে দুই দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই পাকিস্তানের দিক থেকে উপজাতীয় হামলার প্রেক্ষাপটে কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৪৭ সালেই যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের বিরতি ঘটে ১৯৪৯ সালের করাচি চুক্তির মাধ্যমে।
১৯৬৫ সালে আবার সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়ায় দুই প্রতিবেশী। এই যুদ্ধও হয়েছে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে। ১৭ দিনের সেই যুদ্ধের বিরতি ঘটে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায়। এর ছয় বছর পর ১৯৭১ সালে শুরু হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ। বাংলাদেশকে সহায়তার একপর্যায়ে ভারত সরাসরি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ৩ ডিসেম্বর ভারতের কয়েকটি স্থানে পাকিস্তানের বিমান হামলার পর ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়।
১৯৭২ সালে সিমলা চুক্তির মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি)। এরপর দুই বৈরী প্রতিবেশীর সম্পর্কের কিছুটা উন্নতি ঘটে। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানি সেনারা এলওসি অতিক্রম করে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ঢুকে পড়লে শুরু হয় কারগিল যুদ্ধ। এই যুদ্ধেরও আপাতসমাপ্তি ঘটে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে এলওসির কাছে উরিতে ভারতের সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসীর হামলার জেরে দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে। ওই হামলার জবাবে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ঢুকে কথিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ (সুনির্দিষ্ট হামলা) চালায়। তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছিল, এ ধরনের কোনো অভিযানই ভারতীয় বাহিনী চালায়নি। তার পর থেকে দুই বাহিনীর মধ্যে এলওসিতে মাঝেমধ্যেই সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
১৪ ঘণ্টা আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫