Ajker Patrika

এমবাপ্পেই দেশমের বাজির ঘোড়া

এমবাপ্পেই দেশমের বাজির ঘোড়া

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে এসেছে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড। দুই দলই শিরোপার দাবিদার। কিন্তু নিয়তি কোয়ার্টার ফাইনালেই তাদের একে অপরের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। কাতারের আল বায়েত স্টেডিয়াম থেকে স্বপ্নভঙ্গের অশ্রু নিয়ে আজ বাড়ি ফিরতে হবে যেকোনো একটি দলকে।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের লক্ষ্য এবারও সোনালি ট্রফি ধরে রাখা। কিন্তু ১৯৬২ বিশ্বকাপের পর টানা কোনো দল দুবার শিরোপা জিততে পারেনি। ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ দিদিয়ের দেশমের বিশ্বাস, সেরাটা দিয়ে তাঁর দল এবারও এগিয়ে যাবে।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে দেশম বললেন, ‘এটা (নকআউট) সব দলের জন্য একই, বিজয়ীরা সব পায়। একজন খুশি হবে, একজন বাড়ি যাবে। আমার খেলোয়াড়রা আরও এগিয়ে যেতে চায়। এটি একটি দারুণ সুযোগ।’

২০০২ বিশ্বকাপ থেকে একটা অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল, চ্যাম্পিয়নরা পরের প্রতিযোগিতায় প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায়। নকআউটে উঠে ফরাসিরা এবার সেই রীতি বদলে দিয়েছে। এবার সেমিফাইনালে চোখ ফরাসি কোচের, ‘আমার অগ্রাধিকারে একমাত্র এই ম্যাচ এবং সেমিফাইনালে যাওয়া।’

গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে ২০১৮ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল এবং গত বছর ইউরোতে রানার্সআপ হয় ইংল্যান্ড। তাঁর কৌশল নিয়ে সংশয় নেই দেশমের, ‘আমি গ্যারেথকে খুব পছন্দ করি। ইংল্যান্ডকে কয়েক বছর ধরে খুব ভালো ফলাফল এনে দিতে সক্ষম করে তুলেছেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি।’

১৯৬৬ সালে নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপ জেতা ইংল্যান্ডে সেমিফাইনালে যাওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হতে পারেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। যিনি এই বিশ্বকাপে ইতিমধ্যে ৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৫ গোল করেছেন। তাঁর সহজাত শক্তি দুর্দান্ত গতিতে মুগ্ধ করে গোল্ডেন বুটের দৌড়েও এগিয়ে এই স্ট্রাইকার। তাঁকে নিয়ে ইংল্যান্ড কোচ যে পরিকল্পনা করছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 দেশমও সেটি ভালো করেই জানেন। তবু তিনি মনে করছেন, এমবাপ্পেই পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। ফ্রান্স কোচ বলেন, ‘কিলিয়ানের জন্য প্রস্তুত ইংল্যান্ড, তবে সে পার্থক্য তৈরি করার জায়গায় রয়েছে। আমাদের আরও খেলোয়াড় আছে, কিন্তু সে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’

গতি, দক্ষতা ও কার্যকারিতা মিলিয়ে একজন ‘কমপ্লিট’ ফুটবলার এমবাপ্পে। ছন্দে থাকা পিএসজি স্ট্রাইকারকে যেন আটকানোর উপায়ই খুঁজে পাচ্ছে না প্রতিপক্ষ। কেউ কেউ মনে করছেন কাজটা করতে পারেন শুধু কাইল ওয়াকার। এই ইংলিশ ডিফেন্ডার নিজেও আত্মবিশ্বাসী। তবে তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ফরাসি ডিফেন্ডার ইউসুফ ফোফানা।

ফোফানা বললেন, ‘কিলিয়ানকে যদি ওয়াকার আটকাতে পারে, তাহলে তাঁর জন্য ভালো। কিলিয়ানের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’

ফ্রান্সের ভয়ের কারণ হতে পারেন হ্যারি কেইন। ফরাসিদের অধিনায়ক ও গোলরক্ষক হুগো লরিস এবং হ্যারি কেইন টটেনহামে একসঙ্গে খেলেন। ইংল্যান্ড অধিনায়ক সম্পর্কে ভালো জানাশোনা তাঁর। বন্ধুই এখন হয়ে যাচ্ছেন শত্রু। লরিস অবশ্য কেইনকে সম্মানই  করছেন, ‘সে (হ্যারি) যেকোনো জায়গা থেকে শট নিতে পারে। ইংল্যান্ডের জন্য সে একজন সত্যিকারের নেতা, একজন শীর্ষ খেলোয়াড়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত