হাসনাত শোয়েব, ঢাকা
আধুনিক ফুটবলের দুই সেরা মস্তিষ্ক পেপ গার্দিওলা ও ইয়ুর্গেন ক্লপ। সাম্প্রতিক সময়ে জাদুর ছোঁয়ায় ফুটবলে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন এই দুজন। যেখানে হাত দিয়েছেন সোনা ফলিয়েছেন। তবে সাফল্যের নিরিখে দুজনের মধ্যে মিল থাকলেও দল সামলানো ও কৌশলে অনেকটাই আলাদা এই দুজন।
যদিও কৌশলে ছোট ছোট কিছু মিলও আছে। গার্দিওলা যেখানে ‘টিকিটাকা’ ছন্দের পাস-নির্ভর ধ্রুপদি ঘরানার ফুটবল খেলান, সেখানে ক্লপের নির্ভরতা ‘হেভিমেটাল প্রেসিংয়ের’ কৌশলে। আর তাঁদের এই বৈপরীত্যই ফুটবলে নিয়ে এসেছে আলাদা সৌন্দর্য।
তিন দিন আগে শেষ হওয়া মৌসুমে ইংলিশ ফুটবলে একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছেন গার্দিওলা ও ক্লপ। দুই ঘরোয়া প্রতিযোগিতা লিগ কাপ ও এফএ কাপ ক্লপের দখলে গেলেও গার্দিওলা জিতেছেন টানা দ্বিতীয় প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। প্রিমিয়ার লিগেও অবশ্য গার্দিওলার সঙ্গে শেষ দিন পর্যন্ত চোখে চোখ রেখে লড়েছেন ক্লপ। অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ২ গোলে পিছিয়ে থেকে সিটির নাটকীয় প্রত্যাবর্তন না হলে সেদিন প্রিমিয়ার লিগও জিততে পারতেন ক্লপ। জার্মান এই কোচের অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে ট্রেবল জেতার সুযোগও এখনো আছে। আর ঘরোয়া সাফল্যের নিরিখে গতকাল ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা কোচও হয়েছেন ক্লপ।
শুধু সাফল্য বা ব্যর্থতার মানদণ্ডে দুই কোচকে বিচার করা কঠিন। সামগ্রিকভাবেই ফুটবলে ভিন্নধর্মী আবহ নিয়ে এসেছেন এ দুজন। দেখিয়েছেন কোচিং সৌন্দর্যের সর্বোচ্চটাও।
বার্সেলোনায় ২০০৮ থেকে ২০১২ সালে টিকিটাকা ছন্দের ফুটবলে কাতালানদের দারুণ সাফল্য এনে দেন গার্দিওলা। ছোট ছোট পাসে বলের দখল ধরে রেখে প্রতিপক্ষকে নাকাল করে ছাড়তেন বার্সা খেলোয়াড়েরা। পজিশনভিত্তিক তাঁর কৌশলের ভিত্তি ছিল ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফের টোটাল ফুটবল। টোটাল ফুটবলের মতো টিকিটাকাও কৌশল হিসেবে দারুণ কার্যকর প্রমাণিত হয়। তবে নিজের এই কৌশল বাস্তবায়নে লিওনেল মেসি, জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাদের মতো দারুণ সব খেলোয়াড়ও পেয়েছিলেন গার্দিওলা। এই কৌশলে একজন খেলোয়াড়কে একাধিক পজিশনেও ব্যবহার করে থাকেন গার্দিওলা।
গার্দিওলার রক্ষণ কৌশলে প্রেসিং ফুটবলের হালকা ব্যবহার দেখা যায়। সেখানে প্রেসিং দিয়ে তিনি মূলত বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চান। আর সেই প্রেসিং ফুটবলকে দিয়ে নিজের গোটা ফুটবল দর্শনকেই প্রতিষ্ঠা করেছেন ক্লপ।
বলা বাহুল্য, ক্লপের প্রেসিং পুরোপুরিই আক্রমণনির্ভর। রালফ রাংনিকের মস্তিষ্কজাত এই কৌশলকে স্বকীয় ও শৈল্পিক উপায়ে ব্যবহার করে সাফল্যের চূড়া স্পর্শ করেছেন ক্লপ। বুন্দেসলিগায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে থাকতে গেগেনপ্রেসিংয়ের বিকাশের মধ্যে দিয়ে ফুটবলে নতুন এক উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ নিয়ে আসেন ক্লপ। ক্লপ বিশ্বাস করেন, যদি প্রতিপক্ষের রক্ষণের আশপাশে বলের দখল নিতে পারলে গোল কারার সম্ভাবনা আরও বেশি বাড়বে। ক্লপ প্রেসিংকে কখনোই পরোক্ষ কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেন না। বরং এই কৌশলেই ম্যাচের রূপ বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
দল গোছাতেও দুজন একে অন্যের বিপরীত। গার্দিওলা ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় কাজ করেছেন প্রতিষ্ঠিত তারকাদের সঙ্গে। তবে মেসি-ইনিয়েস্তাদের বিশ্বসেরা হিসেবে চেনাতে তাঁর সরাসরি ভূমিকা ছিল। বায়ার্ন মিউনিখেও বলা যায় প্রতিষ্ঠিত দল নিয়ে কাজ করেছেন গার্দিওলা। ম্যানসিটিতে দলবদলের বাজারে কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করে পছন্দের খেলোয়াড় নিয়ে এসেছেন গার্দিওলা। এই খেলোয়াড়দের দিয়ে সাফল্যও পেয়েছেন তিনি।
সে তুলনায় ক্লপ বেশ অপরিচিত ও অখ্যাত। তবে সম্ভাবনাময় ফুটবলারদের তৈরি করে নিজের দল বানিয়েছেন। বরুসিয়াতেও এভাবে সাফল্য পেয়েছেন ক্লপ। একইভাবে গৌরব হারিয়ে ধুঁকতে থাকা লিভারপুলকে সাফল্যের চূড়ায় তুলেছেন এই জার্মান কোচ। সালাহ, মানে কিংবা ফিরমিনোদের তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে ক্লপের।
এসব বৈপরীত্য নিয়েই প্রতিনিয়ত ফুটবলে নতুন নতুন রোমাঞ্চের সংযোজন ঘটাচ্ছেন ক্লপ ও গার্দিওলা। খুব যে শিগগিরই দুজনের দাপট থামবে, সে ইঙ্গিত নেই। আর দ্রুত থামুক, এটা মনে হয় ফুটবলপ্রেমীরাও চাইবেন না।
আধুনিক ফুটবলের দুই সেরা মস্তিষ্ক পেপ গার্দিওলা ও ইয়ুর্গেন ক্লপ। সাম্প্রতিক সময়ে জাদুর ছোঁয়ায় ফুটবলে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন এই দুজন। যেখানে হাত দিয়েছেন সোনা ফলিয়েছেন। তবে সাফল্যের নিরিখে দুজনের মধ্যে মিল থাকলেও দল সামলানো ও কৌশলে অনেকটাই আলাদা এই দুজন।
যদিও কৌশলে ছোট ছোট কিছু মিলও আছে। গার্দিওলা যেখানে ‘টিকিটাকা’ ছন্দের পাস-নির্ভর ধ্রুপদি ঘরানার ফুটবল খেলান, সেখানে ক্লপের নির্ভরতা ‘হেভিমেটাল প্রেসিংয়ের’ কৌশলে। আর তাঁদের এই বৈপরীত্যই ফুটবলে নিয়ে এসেছে আলাদা সৌন্দর্য।
তিন দিন আগে শেষ হওয়া মৌসুমে ইংলিশ ফুটবলে একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছেন গার্দিওলা ও ক্লপ। দুই ঘরোয়া প্রতিযোগিতা লিগ কাপ ও এফএ কাপ ক্লপের দখলে গেলেও গার্দিওলা জিতেছেন টানা দ্বিতীয় প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। প্রিমিয়ার লিগেও অবশ্য গার্দিওলার সঙ্গে শেষ দিন পর্যন্ত চোখে চোখ রেখে লড়েছেন ক্লপ। অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ২ গোলে পিছিয়ে থেকে সিটির নাটকীয় প্রত্যাবর্তন না হলে সেদিন প্রিমিয়ার লিগও জিততে পারতেন ক্লপ। জার্মান এই কোচের অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে ট্রেবল জেতার সুযোগও এখনো আছে। আর ঘরোয়া সাফল্যের নিরিখে গতকাল ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা কোচও হয়েছেন ক্লপ।
শুধু সাফল্য বা ব্যর্থতার মানদণ্ডে দুই কোচকে বিচার করা কঠিন। সামগ্রিকভাবেই ফুটবলে ভিন্নধর্মী আবহ নিয়ে এসেছেন এ দুজন। দেখিয়েছেন কোচিং সৌন্দর্যের সর্বোচ্চটাও।
বার্সেলোনায় ২০০৮ থেকে ২০১২ সালে টিকিটাকা ছন্দের ফুটবলে কাতালানদের দারুণ সাফল্য এনে দেন গার্দিওলা। ছোট ছোট পাসে বলের দখল ধরে রেখে প্রতিপক্ষকে নাকাল করে ছাড়তেন বার্সা খেলোয়াড়েরা। পজিশনভিত্তিক তাঁর কৌশলের ভিত্তি ছিল ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফের টোটাল ফুটবল। টোটাল ফুটবলের মতো টিকিটাকাও কৌশল হিসেবে দারুণ কার্যকর প্রমাণিত হয়। তবে নিজের এই কৌশল বাস্তবায়নে লিওনেল মেসি, জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাদের মতো দারুণ সব খেলোয়াড়ও পেয়েছিলেন গার্দিওলা। এই কৌশলে একজন খেলোয়াড়কে একাধিক পজিশনেও ব্যবহার করে থাকেন গার্দিওলা।
গার্দিওলার রক্ষণ কৌশলে প্রেসিং ফুটবলের হালকা ব্যবহার দেখা যায়। সেখানে প্রেসিং দিয়ে তিনি মূলত বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চান। আর সেই প্রেসিং ফুটবলকে দিয়ে নিজের গোটা ফুটবল দর্শনকেই প্রতিষ্ঠা করেছেন ক্লপ।
বলা বাহুল্য, ক্লপের প্রেসিং পুরোপুরিই আক্রমণনির্ভর। রালফ রাংনিকের মস্তিষ্কজাত এই কৌশলকে স্বকীয় ও শৈল্পিক উপায়ে ব্যবহার করে সাফল্যের চূড়া স্পর্শ করেছেন ক্লপ। বুন্দেসলিগায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে থাকতে গেগেনপ্রেসিংয়ের বিকাশের মধ্যে দিয়ে ফুটবলে নতুন এক উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ নিয়ে আসেন ক্লপ। ক্লপ বিশ্বাস করেন, যদি প্রতিপক্ষের রক্ষণের আশপাশে বলের দখল নিতে পারলে গোল কারার সম্ভাবনা আরও বেশি বাড়বে। ক্লপ প্রেসিংকে কখনোই পরোক্ষ কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেন না। বরং এই কৌশলেই ম্যাচের রূপ বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
দল গোছাতেও দুজন একে অন্যের বিপরীত। গার্দিওলা ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় কাজ করেছেন প্রতিষ্ঠিত তারকাদের সঙ্গে। তবে মেসি-ইনিয়েস্তাদের বিশ্বসেরা হিসেবে চেনাতে তাঁর সরাসরি ভূমিকা ছিল। বায়ার্ন মিউনিখেও বলা যায় প্রতিষ্ঠিত দল নিয়ে কাজ করেছেন গার্দিওলা। ম্যানসিটিতে দলবদলের বাজারে কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করে পছন্দের খেলোয়াড় নিয়ে এসেছেন গার্দিওলা। এই খেলোয়াড়দের দিয়ে সাফল্যও পেয়েছেন তিনি।
সে তুলনায় ক্লপ বেশ অপরিচিত ও অখ্যাত। তবে সম্ভাবনাময় ফুটবলারদের তৈরি করে নিজের দল বানিয়েছেন। বরুসিয়াতেও এভাবে সাফল্য পেয়েছেন ক্লপ। একইভাবে গৌরব হারিয়ে ধুঁকতে থাকা লিভারপুলকে সাফল্যের চূড়ায় তুলেছেন এই জার্মান কোচ। সালাহ, মানে কিংবা ফিরমিনোদের তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে ক্লপের।
এসব বৈপরীত্য নিয়েই প্রতিনিয়ত ফুটবলে নতুন নতুন রোমাঞ্চের সংযোজন ঘটাচ্ছেন ক্লপ ও গার্দিওলা। খুব যে শিগগিরই দুজনের দাপট থামবে, সে ইঙ্গিত নেই। আর দ্রুত থামুক, এটা মনে হয় ফুটবলপ্রেমীরাও চাইবেন না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪