Ajker Patrika

হঠাৎ বেড়েছে জ্বর, সর্দি-কাশি

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ৩৮
হঠাৎ বেড়েছে জ্বর, সর্দি-কাশি

দিনাজপুরে হঠাৎ করেই জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়ে গেছে। দিনাজপুরের জেলা সদরে অবস্থিত জেনারেল হাসপাতাল, এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শিশুদের জন্য বিশেষায়িত অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে সবখানেই জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে ভিড় করছেন অভিভাবকেরা।

দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৩০টি বেডের বিপরীতে ৭১ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই সর্দি-কাশি ও জ্বর নিয়ে ভর্তি।

দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবু রেজা মো. মাহামুদুল হক জানান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৩২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এখানে ভর্তি রোগীর দুই-তৃতীয়াংশই জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত বলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানান।

অপরদিকে জেলার একমাত্র শিশুদের জন্য বিশেষায়িত অরবিন্দ শিশু হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তাহমিনা জানান, এখানের ১২০টি শয্যার মধ্যে ১১৫টি শয্যায় রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।

জেলার হাসপাতালগুলোতে কর্মরত শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলায় হঠাৎ করেই ঠান্ডাজনিত রোগে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই হাসপাতালগুলোতে ৫০-৬০ জন করে শিশু ভর্তি হচ্ছে। এ সময় তাঁরা আরও জানান, অন্যবারের মৌসুমী জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের তুলনায় এবারে আক্রান্ত শিশুদের রোগের ধরনে কিছুটা ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। সাধারণত আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় শিশুদের জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হলে প্যারাসিটামল ও এন্টিহিসটামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ালেই সেরে যায়। কিন্তু এবার আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই জ্বর-সর্দির পাশাপাশি শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে এবং এজন্য তাঁদের অতিরিক্ত ওষুধের প্রয়োজন হচ্ছে।

দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, শিশুদের মধ্যে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্তের হার গত এক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। এবার ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের অনেকে অধিকমাত্রায় শ্বাসকষ্টে ভুগছে। এটা করোনার কোনো উপসর্গ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সন্দেহজনক মনে হওয়ায়, আমরা বেশ কয়েকজন শিশুকে করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছিলাম। দুজনের পরীক্ষার রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছিল, দুটো রেজাল্টই নেগেটিভ।’ বিষয়টি নিয়ে আরও পরীক্ষা-নীরিক্ষা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে দিনের বেলা অসহনীয় গরম আর রাতের শেষ প্রহরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশুদের এ সময় সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন জেলার শিশু বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকেরা বলেন, এ সময় বিশেষ করে রাতের শেষ প্রহরে শিশুদের যেন ঠান্ডা না লাগে সেটি খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি কোনো শিশু জ্বরে আক্রান্ত হলে আতংকিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চন্দ্রগ্রহণের সময় মুমিনের করণীয় আমল

চন্দ্রগ্রহণ চলছে, ব্লাড মুন দেখা যাবে রাত সাড়ে ১১টায়

বেতন চাইলে গৃহকর্মীদের পিস্তল দেখান সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা, ৯৯৯-এ কল পেয়ে গ্রেপ্তার

শেখ হাসিনার শত্রু ছিলাম, তাঁকে বের করেছি, তাঁর ভাগনির চাকরি খেয়েছি: ববি হাজ্জাজ

তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং: বিমানের সঙ্গে থাকবে বিদেশি কোম্পানি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত