জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
পরিকল্পনা ছিল নতুন করে নির্মাণের। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালে কক্সবাজারের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের জন্য চট্টগ্রামের পুরোনো জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুটি করা হচ্ছে সংস্কার। বুয়েটের প্রতিবেদন বলছে, সংস্কারের পর এই সেতু টিকবে ১০ বছর। আর এ জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০-৬০ কোটি টাকা। মেয়াদোত্তীর্ণ সেতু সংস্কারে এই অর্থ ব্যয় পুরোটাই অপচয় হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যদিকে এটিকে লুটপাটের আয়োজন বলে মনে করছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে জানান, এ কাজের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে বুয়েটের পরামর্শক দল দুই ধাপে দুটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেতু কীভাবে সংস্কার করতে হবে, সেটির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। পাশাপাশি একটি নকশাও এঁকে দিয়েছে তারা। আরও একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
চলতি বছর দোহাজারী থেকে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল শুরু করতে চায় রেলওয়ে। এ ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় কালুরঘাট সেতু। কারণ, এই সেতু দিয়ে বর্তমানে যেসব ট্রেন যায়, সেগুলো ১১ দশমিক ৯৬ টন এক্সেল লোডবিশিষ্ট অর্থাৎ ছোট লোকোমোটিভ বা হালকা ওজনের কোচের। কিন্তু কক্সবাজারে যেসব ট্রেন নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেসব ট্রেনের ইঞ্জিন ১৫ এক্সেল লোডের। তাই গত বছর বুয়েটের কাছে ২৫ এক্সেল লোডের ট্রেন চালানোর উপযোগী নকশা চেয়েছিল রেলওয়ে।
আর এ জন্যই তড়িঘড়ি করে পুরোনো সেতুটিকে চলার উপযোগী করা হচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুর ওপর এই অর্থ ব্যয় পুরোটা অপচয় হবে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদ ওমর ইমাম। বুয়েট এসব প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগেই তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, সংস্কার করে সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হলেও এটি সর্বোচ্চ এক বছর চলবে এবং তা-ও হবে ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁর নেতৃত্বে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার নিয়ে একটি সম্ভাব্যতা যাচাইমূলক গবেষণা করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, সংস্কার করেও এই সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চালানো যাবে না।
২০২১ সালের অক্টোবরে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের পর্যবেক্ষক দল সেতু পরিদর্শন করে জানালিহাট অংশে আবৃত প্রাচীর এবং সুরক্ষা দেয়ালে ফাটল খুঁজে পায়। এ ছাড়া আরও বড় ধরনের ছয়টি ত্রুটি চিহ্নিত করে। এসবের একটি হলো সেতুর ১ ও ১৫ নম্বর পিলার (ইটের গাঁথুনিতে তৈরি একধরনের কাঠামো, যা মাটির নিচে বা পানির মধ্যে প্রসারিত থাকে)। জাহাজ চলাচলের সময় সংঘর্ষ হলে পিলারগুলো ভেঙে যেতে পারে।
সেতুর গার্ডার, ডেক, অ্যাঙ্গেল, গ্যাসেট প্লেট, রিভেট ও অন্যান্য অংশ ক্ষয়ে গেছে। তাই সেতুটির ভার বহনের ক্ষমতা দিন দিন কমছে। সেতুর ওপরের অংশের অ্যাপ্রোচ (সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়ক) লাইনচ্যুত হওয়ার লক্ষণ দেখতে পান পর্যবেক্ষকেরা। তখন বুয়েটের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেতুতে গার্ডারের ভার বহনকারী ইস্পাতগুলো অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেতুর দুই পাশের কাঠের পাটাতন ও লোহার বেষ্টনী ঠিকঠাকমতো আছে কি না, তা পরীক্ষা করা দরকার। কারণ, এসব যন্ত্রাংশের কাঠামো বেহাল। তবে সেতুর ফাউন্ডেশনে কোনো ত্রুটি পায়নি পর্যবেক্ষক দল।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েট তিনটি রিপোর্টের মধ্যে দুটি দিয়েছে। বাকিটা হয়তো আগামী মাসের মধ্যে পেয়ে যাব। তারপর দ্রুতগতিতে সংস্কার করে চলতি বছরের মধ্যে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানো যাবে।’
লুটপাট করতেই নাজুক এই সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ২০১০ সালে হাতে নেওয়া প্রকল্পটিতে কেন কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি? তখন বিষয়টি প্রকল্পে আনলে বাড়তি এই ব্যয় হতো না। পাশাপাশি নতুন সেতুও হতো, ঠিক সময়ে কক্সবাজার লাইনে ট্রেনও চলত। এটি মূলত তারা ইচ্ছা করেই করে, নতুন কিছু মানেই লুটপাট।
পরিকল্পনা ছিল নতুন করে নির্মাণের। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালে কক্সবাজারের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের জন্য চট্টগ্রামের পুরোনো জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুটি করা হচ্ছে সংস্কার। বুয়েটের প্রতিবেদন বলছে, সংস্কারের পর এই সেতু টিকবে ১০ বছর। আর এ জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০-৬০ কোটি টাকা। মেয়াদোত্তীর্ণ সেতু সংস্কারে এই অর্থ ব্যয় পুরোটাই অপচয় হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যদিকে এটিকে লুটপাটের আয়োজন বলে মনে করছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে জানান, এ কাজের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে বুয়েটের পরামর্শক দল দুই ধাপে দুটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেতু কীভাবে সংস্কার করতে হবে, সেটির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। পাশাপাশি একটি নকশাও এঁকে দিয়েছে তারা। আরও একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
চলতি বছর দোহাজারী থেকে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল শুরু করতে চায় রেলওয়ে। এ ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় কালুরঘাট সেতু। কারণ, এই সেতু দিয়ে বর্তমানে যেসব ট্রেন যায়, সেগুলো ১১ দশমিক ৯৬ টন এক্সেল লোডবিশিষ্ট অর্থাৎ ছোট লোকোমোটিভ বা হালকা ওজনের কোচের। কিন্তু কক্সবাজারে যেসব ট্রেন নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেসব ট্রেনের ইঞ্জিন ১৫ এক্সেল লোডের। তাই গত বছর বুয়েটের কাছে ২৫ এক্সেল লোডের ট্রেন চালানোর উপযোগী নকশা চেয়েছিল রেলওয়ে।
আর এ জন্যই তড়িঘড়ি করে পুরোনো সেতুটিকে চলার উপযোগী করা হচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুর ওপর এই অর্থ ব্যয় পুরোটা অপচয় হবে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদ ওমর ইমাম। বুয়েট এসব প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগেই তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, সংস্কার করে সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হলেও এটি সর্বোচ্চ এক বছর চলবে এবং তা-ও হবে ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁর নেতৃত্বে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার নিয়ে একটি সম্ভাব্যতা যাচাইমূলক গবেষণা করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, সংস্কার করেও এই সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চালানো যাবে না।
২০২১ সালের অক্টোবরে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের পর্যবেক্ষক দল সেতু পরিদর্শন করে জানালিহাট অংশে আবৃত প্রাচীর এবং সুরক্ষা দেয়ালে ফাটল খুঁজে পায়। এ ছাড়া আরও বড় ধরনের ছয়টি ত্রুটি চিহ্নিত করে। এসবের একটি হলো সেতুর ১ ও ১৫ নম্বর পিলার (ইটের গাঁথুনিতে তৈরি একধরনের কাঠামো, যা মাটির নিচে বা পানির মধ্যে প্রসারিত থাকে)। জাহাজ চলাচলের সময় সংঘর্ষ হলে পিলারগুলো ভেঙে যেতে পারে।
সেতুর গার্ডার, ডেক, অ্যাঙ্গেল, গ্যাসেট প্লেট, রিভেট ও অন্যান্য অংশ ক্ষয়ে গেছে। তাই সেতুটির ভার বহনের ক্ষমতা দিন দিন কমছে। সেতুর ওপরের অংশের অ্যাপ্রোচ (সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়ক) লাইনচ্যুত হওয়ার লক্ষণ দেখতে পান পর্যবেক্ষকেরা। তখন বুয়েটের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেতুতে গার্ডারের ভার বহনকারী ইস্পাতগুলো অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেতুর দুই পাশের কাঠের পাটাতন ও লোহার বেষ্টনী ঠিকঠাকমতো আছে কি না, তা পরীক্ষা করা দরকার। কারণ, এসব যন্ত্রাংশের কাঠামো বেহাল। তবে সেতুর ফাউন্ডেশনে কোনো ত্রুটি পায়নি পর্যবেক্ষক দল।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েট তিনটি রিপোর্টের মধ্যে দুটি দিয়েছে। বাকিটা হয়তো আগামী মাসের মধ্যে পেয়ে যাব। তারপর দ্রুতগতিতে সংস্কার করে চলতি বছরের মধ্যে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানো যাবে।’
লুটপাট করতেই নাজুক এই সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ২০১০ সালে হাতে নেওয়া প্রকল্পটিতে কেন কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি? তখন বিষয়টি প্রকল্পে আনলে বাড়তি এই ব্যয় হতো না। পাশাপাশি নতুন সেতুও হতো, ঠিক সময়ে কক্সবাজার লাইনে ট্রেনও চলত। এটি মূলত তারা ইচ্ছা করেই করে, নতুন কিছু মানেই লুটপাট।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫