সম্পাদকীয়
নিকোলাই কারাজিনের ‘দি ক্রেইনস ফ্লাইং সাউথ’ নামের বইটি ইংরেজি থেকে অনুবাদ করা হয়েছে ‘বলাকারা উড়ে যায়’ নামে। অনুবাদক আহসানউল্লাহ। বইটি মূলত রুশ ভাষায় লেখা। বাংলা অনুবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল সম্ভবত গত শতকের সত্তরের দশকে। পরিযায়ী পাখি নিয়ে এ ধরনের চিত্তাকর্ষক উপন্যাস বেশি নেই। সেই সুদূর সাইবেরিয়া থেকে প্রচণ্ড শীতের কারণে বলাকার ঝাঁক উড়ে আসতে থাকে দক্ষিণের উষ্ণ অঞ্চলে। বইটিতে তাদের উপস্থাপন করা হয়েছে একেবারে মানুষের মতো করে। মানুষের প্রেম, ক্রোধ, রাগ ইত্যাদি ধরনের অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে পাখিদের জীবনে। পড়তে বসলে মনে হয়, এ উপন্যাসের চরিত্রগুলো বুঝি মানুষ! রোমাঞ্চকর দক্ষিণ-ভ্রমণে কত কাণ্ডই না ঘটে। পাখিদের জীবনাচরণ নিয়ে লেখা বইটি ধ্রুপদি বইয়ের সম্মান পেয়েছে।
যে পাখিদের জীবনের গল্প রয়েছে কারাজিনের উপন্যাসে, তারাই তো শীতকালে আমাদের দেশে প্রতিবছর বেড়াতে আসে। সাইবেরিয়ায় তুষারপাত শুরু হলে এই পাখিরা বুঝতে পারে, এবার হাওয়া বদলের সময় এসেছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে সাইবেরিয়া, হিমালয়সহ বরফে ঢাকা নানা দেশ থেকে এরা দক্ষিণে পাড়ি জমায়। আমরা এদের নাম দিই অতিথি পাখি। খুবই আদুরে নাম।
‘অতিথি নারায়ণ’ বলে একটা কথা আছে। অতিথিকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার অঙ্গীকার থাকে তাতে। কিন্তু কথাটা আসলে কথার কথা হিসেবেই টিকে আছে, বাস্তব জীবনে তার কোনো প্রতিফলন নেই। অতিথি পাখিদের সঙ্গে আমরা কোন ধরনের আচরণ করি, সেটা সবার জানা আছে। শীত এলেই আমাদের জিহ্বা অতিথি পাখির মাংসে শাণিয়ে নেওয়ার আনন্দ পেতে চায়।
তাই এ বছর শীত পড়া শুরু হতেই খুলনার দাকোপ অঞ্চলে যে অতিথি পাখিরা ভিড় জমাচ্ছে, তারা হচ্ছে পেশাদার শিকারির লালসার শিকার। ইতিমধ্যেই শিকারিরা তৎপর হয়ে উঠেছে। পাখি শিকার করার ব্যাপারে আইনে যে নিষেধ আছে, তাকে পরোয়া করে না শিকারিরা। তাই বালি হাঁস, জলপিপি, কুম্বডাক, সরালি কাস্তে চাড়া, কাদাখোচা, জংকুর, খয়রাসহ নানা জাতের পাখিকে ধরছে এবং বিক্রি করছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এই পাখি ধরা ও হত্যা করার কাজটি নির্বিবাদে চলতে পারছে কী করে? এ তো শুধু খুলনার দাকোপ অঞ্চলেই নয়, সারা দেশ থেকেই পাখি শিকার করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হবে রাজধানীসহ বড় বড় লোকালয়ে! শিকারিরা ঘুরে বেড়ায় মানুষের আশপাশেই, কিন্তু কেউ তাদের চিনতে পারে না। এ এক আজব কারবার! পাখির মাংস খাওয়ার লোভ অথবা যে কোনো ঘটনায় নির্বিকার থাকার অসাধারণ কৌশল আয়ত্ত করে নিয়েছেন আমাদের দেশের নাগরিকেরা। এ কারণেই শীতকাল কাটিয়ে নিজ দেশে ফিরতে পারে না অনেক পাখি।
পাখি শিকারি এবং পাখির মাংস খাওয়া এই হৃদয়হীন মানুষদের তাই নিকোলাই কারাজিনের উপন্যাসটি পড়তে বলি। তাতে জং ধরা পাঠ্যাভ্যাসটা যেমন ফিরে আসবে, তেমনি ফিরে আসবে পাখির প্রতি মমত্ব।
নিকোলাই কারাজিনের ‘দি ক্রেইনস ফ্লাইং সাউথ’ নামের বইটি ইংরেজি থেকে অনুবাদ করা হয়েছে ‘বলাকারা উড়ে যায়’ নামে। অনুবাদক আহসানউল্লাহ। বইটি মূলত রুশ ভাষায় লেখা। বাংলা অনুবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল সম্ভবত গত শতকের সত্তরের দশকে। পরিযায়ী পাখি নিয়ে এ ধরনের চিত্তাকর্ষক উপন্যাস বেশি নেই। সেই সুদূর সাইবেরিয়া থেকে প্রচণ্ড শীতের কারণে বলাকার ঝাঁক উড়ে আসতে থাকে দক্ষিণের উষ্ণ অঞ্চলে। বইটিতে তাদের উপস্থাপন করা হয়েছে একেবারে মানুষের মতো করে। মানুষের প্রেম, ক্রোধ, রাগ ইত্যাদি ধরনের অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে পাখিদের জীবনে। পড়তে বসলে মনে হয়, এ উপন্যাসের চরিত্রগুলো বুঝি মানুষ! রোমাঞ্চকর দক্ষিণ-ভ্রমণে কত কাণ্ডই না ঘটে। পাখিদের জীবনাচরণ নিয়ে লেখা বইটি ধ্রুপদি বইয়ের সম্মান পেয়েছে।
যে পাখিদের জীবনের গল্প রয়েছে কারাজিনের উপন্যাসে, তারাই তো শীতকালে আমাদের দেশে প্রতিবছর বেড়াতে আসে। সাইবেরিয়ায় তুষারপাত শুরু হলে এই পাখিরা বুঝতে পারে, এবার হাওয়া বদলের সময় এসেছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে সাইবেরিয়া, হিমালয়সহ বরফে ঢাকা নানা দেশ থেকে এরা দক্ষিণে পাড়ি জমায়। আমরা এদের নাম দিই অতিথি পাখি। খুবই আদুরে নাম।
‘অতিথি নারায়ণ’ বলে একটা কথা আছে। অতিথিকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার অঙ্গীকার থাকে তাতে। কিন্তু কথাটা আসলে কথার কথা হিসেবেই টিকে আছে, বাস্তব জীবনে তার কোনো প্রতিফলন নেই। অতিথি পাখিদের সঙ্গে আমরা কোন ধরনের আচরণ করি, সেটা সবার জানা আছে। শীত এলেই আমাদের জিহ্বা অতিথি পাখির মাংসে শাণিয়ে নেওয়ার আনন্দ পেতে চায়।
তাই এ বছর শীত পড়া শুরু হতেই খুলনার দাকোপ অঞ্চলে যে অতিথি পাখিরা ভিড় জমাচ্ছে, তারা হচ্ছে পেশাদার শিকারির লালসার শিকার। ইতিমধ্যেই শিকারিরা তৎপর হয়ে উঠেছে। পাখি শিকার করার ব্যাপারে আইনে যে নিষেধ আছে, তাকে পরোয়া করে না শিকারিরা। তাই বালি হাঁস, জলপিপি, কুম্বডাক, সরালি কাস্তে চাড়া, কাদাখোচা, জংকুর, খয়রাসহ নানা জাতের পাখিকে ধরছে এবং বিক্রি করছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এই পাখি ধরা ও হত্যা করার কাজটি নির্বিবাদে চলতে পারছে কী করে? এ তো শুধু খুলনার দাকোপ অঞ্চলেই নয়, সারা দেশ থেকেই পাখি শিকার করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হবে রাজধানীসহ বড় বড় লোকালয়ে! শিকারিরা ঘুরে বেড়ায় মানুষের আশপাশেই, কিন্তু কেউ তাদের চিনতে পারে না। এ এক আজব কারবার! পাখির মাংস খাওয়ার লোভ অথবা যে কোনো ঘটনায় নির্বিকার থাকার অসাধারণ কৌশল আয়ত্ত করে নিয়েছেন আমাদের দেশের নাগরিকেরা। এ কারণেই শীতকাল কাটিয়ে নিজ দেশে ফিরতে পারে না অনেক পাখি।
পাখি শিকারি এবং পাখির মাংস খাওয়া এই হৃদয়হীন মানুষদের তাই নিকোলাই কারাজিনের উপন্যাসটি পড়তে বলি। তাতে জং ধরা পাঠ্যাভ্যাসটা যেমন ফিরে আসবে, তেমনি ফিরে আসবে পাখির প্রতি মমত্ব।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫