বরিশাল প্রতিনিধি
গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের আবাদ হয়েছে বেশি। নগরের বাজার তাই তরমুজে সয়লাব। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই কিছু বিক্রেতা পিস হিসেবে কেনা তরমুজ কেজিতে বিক্রির নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করায় মাঠে নেমেছে প্রশাসন।
গত বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের সভায় বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কেজিতে নয়, বরং পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের। সভায় সব ধরনের ফল ও পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রমজানজুড়ে বাজার মনিটরিং জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বিভাগের ৬ জেলায় ৪৬ হাজার ৪৫১ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২১ হাজার ৯৭০ হেক্টর বেশি। সূত্রমতে, চলতি মৌসুমে পটুয়াখালী, বরগুনা এবং ভোলা জেলায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালীতে ২২ হাজার ৮৯০ হেক্টর, বরগুনায় ১১ হাজার ৫১২, ভোলায় ১১ হাজার ২৪৯, বরিশালে ৬৪৬, পিরোজপুরে ১০৬ এবং ঝালকাঠিতে ৪৮ হেক্টর।
নগরীর পোর্ট রোড ইলিশ মোকাম এখন তরমুজে সয়লাব। সেখানকার আড়তদার, কর্মচারী ও শ্রমিক মিলিয়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান এখন তরমুজকে ঘিরে। একের পর এক তরমুজ বোঝাই ট্রলার আসছে ভোলা, বাউফল, রাঙ্গাবালী, মেহেন্দীগঞ্জ এলাকা থেকে। ব্যবসায়ীরা ট্রলার থেকেই শ হিসেবে তরমুজ কিনছেন। খুচরা বাজারে তা পিস হিসেবে সরবরাহ করছেন।
কথা হয় ভোলার চরফ্যাশন থেকে তরমুজ নিয়ে আসা চাষি আব্দুর রহিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার ফলন ভালো। সাইজ অনুযায়ী ১০০ তরমুজ সর্বোচ্চ ২২ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছেন।
বাউফলের তরমুজচাষি রজব আলী বলেন, এ বছর এত বেশি তরমুজ হয়েছে যে আশা করছেন ভালোই লাভবান হবেন।
বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক তাওফিকুল আলম জানান, বরিশাল বিভাগে এ বছর তরমুজ উৎপাদনে বিগত দিনের রেকর্ড ভেঙেছে। তা ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের মাটি তরমুজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তিনি আশা করেন এ বছর কৃষক লাভবান হবেন।
এদিকে মৌসুমের শুরুতেই নগরের বটতলা, নতুনবাজার, চৌমাথা, বাংলাবাজারে তরমুজ এবারও কেজিতে বিক্রি শুরু হয়েছিল। প্রতি কেজি তরমুজের দাম ৪৫-৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে। সাধারণত একটি তরমুজ ৩ থেকে ৮ কেজি ওজন হয়। কিন্তু ৩ কেজি ওজনের ওই তরমুজ ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কিনে বিক্রেতা সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন ১৫০ টাকার ওপরে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত নামায় তরমুজের বাজারের সেই নৈরাজ্য পাল্টে গেছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ দত্ত বলেন, তরমুজ নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার মোবাইল কোর্ট নেমে সাফ বলে দিয়েছে, কেজিতে নয়, পিস হিসেবে তরমুজ কিনলে পিস হিসেবেই বিক্রি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে নগরের সব ব্যবসায়ীকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাসের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে রোজায় প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে তরমুজ নিয়ে নৈরাজ্য ঠেকাতে বাজারগুলোর দিকে চোখ রাখতে ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাস সাংবাদিকদের বলেন, তরমুজের দাম নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে বাড়াবাড়ি করায় ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ শুরু করেছে। বরিশালে পিস হিসেবে তরমুজ কিনলে পিস হিসেবেই বিক্রি করতে হবে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের আবাদ হয়েছে বেশি। নগরের বাজার তাই তরমুজে সয়লাব। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই কিছু বিক্রেতা পিস হিসেবে কেনা তরমুজ কেজিতে বিক্রির নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করায় মাঠে নেমেছে প্রশাসন।
গত বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের সভায় বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কেজিতে নয়, বরং পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের। সভায় সব ধরনের ফল ও পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রমজানজুড়ে বাজার মনিটরিং জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বিভাগের ৬ জেলায় ৪৬ হাজার ৪৫১ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২১ হাজার ৯৭০ হেক্টর বেশি। সূত্রমতে, চলতি মৌসুমে পটুয়াখালী, বরগুনা এবং ভোলা জেলায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালীতে ২২ হাজার ৮৯০ হেক্টর, বরগুনায় ১১ হাজার ৫১২, ভোলায় ১১ হাজার ২৪৯, বরিশালে ৬৪৬, পিরোজপুরে ১০৬ এবং ঝালকাঠিতে ৪৮ হেক্টর।
নগরীর পোর্ট রোড ইলিশ মোকাম এখন তরমুজে সয়লাব। সেখানকার আড়তদার, কর্মচারী ও শ্রমিক মিলিয়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান এখন তরমুজকে ঘিরে। একের পর এক তরমুজ বোঝাই ট্রলার আসছে ভোলা, বাউফল, রাঙ্গাবালী, মেহেন্দীগঞ্জ এলাকা থেকে। ব্যবসায়ীরা ট্রলার থেকেই শ হিসেবে তরমুজ কিনছেন। খুচরা বাজারে তা পিস হিসেবে সরবরাহ করছেন।
কথা হয় ভোলার চরফ্যাশন থেকে তরমুজ নিয়ে আসা চাষি আব্দুর রহিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার ফলন ভালো। সাইজ অনুযায়ী ১০০ তরমুজ সর্বোচ্চ ২২ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছেন।
বাউফলের তরমুজচাষি রজব আলী বলেন, এ বছর এত বেশি তরমুজ হয়েছে যে আশা করছেন ভালোই লাভবান হবেন।
বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক তাওফিকুল আলম জানান, বরিশাল বিভাগে এ বছর তরমুজ উৎপাদনে বিগত দিনের রেকর্ড ভেঙেছে। তা ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের মাটি তরমুজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তিনি আশা করেন এ বছর কৃষক লাভবান হবেন।
এদিকে মৌসুমের শুরুতেই নগরের বটতলা, নতুনবাজার, চৌমাথা, বাংলাবাজারে তরমুজ এবারও কেজিতে বিক্রি শুরু হয়েছিল। প্রতি কেজি তরমুজের দাম ৪৫-৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে। সাধারণত একটি তরমুজ ৩ থেকে ৮ কেজি ওজন হয়। কিন্তু ৩ কেজি ওজনের ওই তরমুজ ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কিনে বিক্রেতা সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন ১৫০ টাকার ওপরে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত নামায় তরমুজের বাজারের সেই নৈরাজ্য পাল্টে গেছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ দত্ত বলেন, তরমুজ নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার মোবাইল কোর্ট নেমে সাফ বলে দিয়েছে, কেজিতে নয়, পিস হিসেবে তরমুজ কিনলে পিস হিসেবেই বিক্রি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে নগরের সব ব্যবসায়ীকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাসের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে রোজায় প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে তরমুজ নিয়ে নৈরাজ্য ঠেকাতে বাজারগুলোর দিকে চোখ রাখতে ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাস সাংবাদিকদের বলেন, তরমুজের দাম নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে বাড়াবাড়ি করায় ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ শুরু করেছে। বরিশালে পিস হিসেবে তরমুজ কিনলে পিস হিসেবেই বিক্রি করতে হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪