এস এস শোহান, বাগেরহাট
করোনাকালে বাগেরহাটে আশঙ্কাজনক হারে বাল্যবিবাহ বেড়েছে। বাল্যবিবাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিচ্ছেদও বেড়েছে উপকূলীয় এই জেলায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী করোনাকালীন বাগেরহাটে ৩ হাজার ১৭৮ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। ২০২০ সালে এক বছরে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে ২ হাজার ৭৯৯টি। বাল্যবিবাহ বন্ধ ও পারিবারিক কলহ কমাতে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনা শনাক্তের পর থেকে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ৫২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ১৭৮ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।
এর মধ্যে কচুয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ হয়েছে। এই উপজেলায় ৫১৬টি বাল্যবিবাহ হয়েছে। এর পরই রয়েছে বাগেরহাট সদর উপজেলার অবস্থান। এই উপজেলায় ৪৯৭টি বাল্যবিবাহ হয়েছে। চিতলমারীতে ৪০৭, ফকিরহাটে ৩৯১, মোল্লাহাটে ৩৪৪, মোরেলগঞ্জে ৩৫৫, রামপালে ২৩৭, মোংলায় ২১৮ এবং শরণখোলায় ২১৩টি বাল্যবিবাহ হয়েছে।
এর বাইরে জেলার ৩৪টি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের অপ্রাপ্ত বয়স্ক অনেক শিক্ষার্থীও বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। ঝরে পড়া ও বিদ্যালয়ে না যাওয়া হতদরিদ্র পরিবারের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদেরও বিয়ে হয়েছে। এই দুই খাতে কী পরিমাণ বাল্যবিবাহ হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই কোনো দপ্তরের কাছে।
এদিকে জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ৫ হাজার ৭৩৯টি বিবাহ হয়েছে। অন্যদিকে ২ হাজার ৭৯৯টি তালাক হয়েছে এই সময়ে। নিকাহ নিবন্ধকদের মাধ্যমে সংঘটিত সব বিবাহে সরকার নির্ধারিত বয়স মানা হয়েছে বলে দাবি বাগেরহাট জেলা রেজিস্ট্রারের।
অন্যদিকে করোনাকালীন কী পরিমাণ বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে, সেই তথ্য ১০ দিনেও দিতে পারেননি নারী উন্নয়নে কাজ করা সরকারি প্রতিষ্ঠান মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপপরিচালক মনোয়ারা খানম। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মোবাইল ফোনে তথ্য দেওয়ার কথা বললেও পরে ফোনটি বন্ধ করে রাখেন তিনি।
মাত্র দেড় বছরে বাগেরহাট জেলায় বিপুলসংখ্যক বাল্যবিবাহ হওয়ার বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব বলে মনে করছে সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রথম শ্রেণির একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন কাজ করে। এর সঙ্গে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, নারী সংগঠন, জেলা মহিলা সংস্থা, মহিলা পরিষদসহ নানা সংগঠন রয়েছে। এরপরও একটি জেলায় এতগুলো বাল্যবিবাহ সংঘটিত হলো, তাহলে তাঁরা কী করেছে?
বাগেরহাট মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও নারী অধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট শরিফা খানম বলেন, করোনাকালীন সবকিছু এক ধরনের স্থবির হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত আসক্তি, সচেতনতার অভাব ও দারিদ্র্যের কারণে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
করোনাকালীন এটা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এটা নিয়ে এখন নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য আইনের প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের অভিভাবক ও কিশোরীদের নিয়ে উঠোন বৈঠক করতে হবে। বাল্যবিবাহের নেতিবাচক দিকগুলো ফলাও করে প্রচার করতে হবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজিরাসহ শিক্ষকেরা বিভিন্নভাবে করোনাকালীন বাল্যবিবাহের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। শিক্ষকদের তথ্য অনুযায়ী জেলায় ৫২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ১৭৮ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। ভবিষ্যতে বাল্যবিবাহ থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে তাঁরা নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।
জেলা রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান বলেন, নিবন্ধিত কাজিরা বিয়ে পড়ানোর আগে বয়সের প্রমাণ হিসেবে বৈধ কাগজপত্র দেখে বিয়ে পড়ান। নিকাহ নিবন্ধন বা কাজিদের বাল্যবিবাহ নিবন্ধনের কোনো সুযোগ নেই। এরপরও কোনো কাজি অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বা অবহেলা করে বাল্যবিবাহ নিবন্ধন করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মনিরুল হাসান আরও বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য বিবাহ নিবন্ধনকে ডিজিটালাইজেশন করা প্রয়োজন। ডিজিটালাইজেশন হলে প্রত্যেকটি বিয়ে অনলাইনে নিবন্ধিত হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো অভিভাবক ভুয়া বয়স প্রমাণ দিলে নিকাহ নিবন্ধকেরা সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করতে পারবেন। ডিজিটালাইজেশন হলে বাল্যবিবাহের সঙ্গে সঙ্গে প্রতারণামূলক বিবাহও কমে যাবে বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বাল্যবিবাহের বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। তাঁরা ইতিমধ্যে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বাল্যবিবাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। যেখানেই বাল্যবিবাহের খবর পাবেন, সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে গিয়ে এই বিয়ে বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া নিকাহ নিবন্ধক ও স্থানীয় ইমামদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোনো নিকাহ নিবন্ধক বাল্যবিবাহের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিদের বাল্যবিবাহ বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক।
করোনাকালে বাগেরহাটে আশঙ্কাজনক হারে বাল্যবিবাহ বেড়েছে। বাল্যবিবাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিচ্ছেদও বেড়েছে উপকূলীয় এই জেলায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী করোনাকালীন বাগেরহাটে ৩ হাজার ১৭৮ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। ২০২০ সালে এক বছরে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে ২ হাজার ৭৯৯টি। বাল্যবিবাহ বন্ধ ও পারিবারিক কলহ কমাতে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনা শনাক্তের পর থেকে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ৫২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ১৭৮ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।
এর মধ্যে কচুয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ হয়েছে। এই উপজেলায় ৫১৬টি বাল্যবিবাহ হয়েছে। এর পরই রয়েছে বাগেরহাট সদর উপজেলার অবস্থান। এই উপজেলায় ৪৯৭টি বাল্যবিবাহ হয়েছে। চিতলমারীতে ৪০৭, ফকিরহাটে ৩৯১, মোল্লাহাটে ৩৪৪, মোরেলগঞ্জে ৩৫৫, রামপালে ২৩৭, মোংলায় ২১৮ এবং শরণখোলায় ২১৩টি বাল্যবিবাহ হয়েছে।
এর বাইরে জেলার ৩৪টি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের অপ্রাপ্ত বয়স্ক অনেক শিক্ষার্থীও বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। ঝরে পড়া ও বিদ্যালয়ে না যাওয়া হতদরিদ্র পরিবারের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদেরও বিয়ে হয়েছে। এই দুই খাতে কী পরিমাণ বাল্যবিবাহ হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই কোনো দপ্তরের কাছে।
এদিকে জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ৫ হাজার ৭৩৯টি বিবাহ হয়েছে। অন্যদিকে ২ হাজার ৭৯৯টি তালাক হয়েছে এই সময়ে। নিকাহ নিবন্ধকদের মাধ্যমে সংঘটিত সব বিবাহে সরকার নির্ধারিত বয়স মানা হয়েছে বলে দাবি বাগেরহাট জেলা রেজিস্ট্রারের।
অন্যদিকে করোনাকালীন কী পরিমাণ বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে, সেই তথ্য ১০ দিনেও দিতে পারেননি নারী উন্নয়নে কাজ করা সরকারি প্রতিষ্ঠান মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপপরিচালক মনোয়ারা খানম। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মোবাইল ফোনে তথ্য দেওয়ার কথা বললেও পরে ফোনটি বন্ধ করে রাখেন তিনি।
মাত্র দেড় বছরে বাগেরহাট জেলায় বিপুলসংখ্যক বাল্যবিবাহ হওয়ার বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব বলে মনে করছে সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রথম শ্রেণির একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন কাজ করে। এর সঙ্গে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, নারী সংগঠন, জেলা মহিলা সংস্থা, মহিলা পরিষদসহ নানা সংগঠন রয়েছে। এরপরও একটি জেলায় এতগুলো বাল্যবিবাহ সংঘটিত হলো, তাহলে তাঁরা কী করেছে?
বাগেরহাট মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও নারী অধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট শরিফা খানম বলেন, করোনাকালীন সবকিছু এক ধরনের স্থবির হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত আসক্তি, সচেতনতার অভাব ও দারিদ্র্যের কারণে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
করোনাকালীন এটা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এটা নিয়ে এখন নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য আইনের প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের অভিভাবক ও কিশোরীদের নিয়ে উঠোন বৈঠক করতে হবে। বাল্যবিবাহের নেতিবাচক দিকগুলো ফলাও করে প্রচার করতে হবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজিরাসহ শিক্ষকেরা বিভিন্নভাবে করোনাকালীন বাল্যবিবাহের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। শিক্ষকদের তথ্য অনুযায়ী জেলায় ৫২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ১৭৮ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। ভবিষ্যতে বাল্যবিবাহ থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে তাঁরা নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।
জেলা রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান বলেন, নিবন্ধিত কাজিরা বিয়ে পড়ানোর আগে বয়সের প্রমাণ হিসেবে বৈধ কাগজপত্র দেখে বিয়ে পড়ান। নিকাহ নিবন্ধন বা কাজিদের বাল্যবিবাহ নিবন্ধনের কোনো সুযোগ নেই। এরপরও কোনো কাজি অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বা অবহেলা করে বাল্যবিবাহ নিবন্ধন করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মনিরুল হাসান আরও বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য বিবাহ নিবন্ধনকে ডিজিটালাইজেশন করা প্রয়োজন। ডিজিটালাইজেশন হলে প্রত্যেকটি বিয়ে অনলাইনে নিবন্ধিত হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো অভিভাবক ভুয়া বয়স প্রমাণ দিলে নিকাহ নিবন্ধকেরা সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করতে পারবেন। ডিজিটালাইজেশন হলে বাল্যবিবাহের সঙ্গে সঙ্গে প্রতারণামূলক বিবাহও কমে যাবে বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বাল্যবিবাহের বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। তাঁরা ইতিমধ্যে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বাল্যবিবাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। যেখানেই বাল্যবিবাহের খবর পাবেন, সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে গিয়ে এই বিয়ে বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া নিকাহ নিবন্ধক ও স্থানীয় ইমামদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোনো নিকাহ নিবন্ধক বাল্যবিবাহের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিদের বাল্যবিবাহ বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪