সম্পাদকীয়
আতাউল গণি ওসমানীর জন্ম ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি। পুরো নাম মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী হলেও তিনি জেনারেল এম এ জি ওসমানী নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন।
বাবার চাকরি সূত্রে আসামের গোহাটিতে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয়। ১৯৩৪ সালে সিলেট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তিনি পুরো ভারতবর্ষে প্রথম হয়েছিলেন। এ জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘প্রাইওটোরিয়া’ পুরস্কার প্রদান করে। আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক পাস করেন। এরপর সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৪২ সালে তিনি ব্রিটিশ সরকারের সর্বকনিষ্ঠ মেজর পদে পদোন্নতি পান। দেশভাগের পর তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক হিসেবে তাঁর হাতেই প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম সেনানিবাস। ১৯৬৭ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন।
আতাউল গণি ওসমানী ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে তাঁকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করেন। বিভিন্ন সেক্টর ও বাহিনীর মাঝে সমন্বয় করা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, অস্ত্রের জোগান নিশ্চিত করা, গেরিলা বাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি কাজে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
দেশ স্বাধীনের পর আবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন ওসমানী। বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে ১৯৭৫ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য পদ এবং আওয়ামী লীগের সদস্য পদও ত্যাগ করেন। তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ সরকারের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পেলেও ৩ নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি ‘জাতীয় জনতা পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।
আজীবন অকৃতদার ওসমানী ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
আতাউল গণি ওসমানীর জন্ম ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি। পুরো নাম মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী হলেও তিনি জেনারেল এম এ জি ওসমানী নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন।
বাবার চাকরি সূত্রে আসামের গোহাটিতে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয়। ১৯৩৪ সালে সিলেট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তিনি পুরো ভারতবর্ষে প্রথম হয়েছিলেন। এ জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘প্রাইওটোরিয়া’ পুরস্কার প্রদান করে। আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক পাস করেন। এরপর সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৪২ সালে তিনি ব্রিটিশ সরকারের সর্বকনিষ্ঠ মেজর পদে পদোন্নতি পান। দেশভাগের পর তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক হিসেবে তাঁর হাতেই প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম সেনানিবাস। ১৯৬৭ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন।
আতাউল গণি ওসমানী ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে তাঁকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করেন। বিভিন্ন সেক্টর ও বাহিনীর মাঝে সমন্বয় করা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, অস্ত্রের জোগান নিশ্চিত করা, গেরিলা বাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি কাজে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
দেশ স্বাধীনের পর আবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন ওসমানী। বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে ১৯৭৫ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য পদ এবং আওয়ামী লীগের সদস্য পদও ত্যাগ করেন। তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ সরকারের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পেলেও ৩ নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি ‘জাতীয় জনতা পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।
আজীবন অকৃতদার ওসমানী ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
২ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫