Ajker Patrika

ভালো নেই টঙ্গীবাড়ীর মুচি সম্প্রদায়

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৪০
ভালো নেই টঙ্গীবাড়ীর মুচি সম্প্রদায়

‘বাপ-দাদারা জুতা সেলাই করতেন তাদের পরে আমিও একই পেশায় কাজ করছি। এই পেশায় কাজ করে ৫ সদস্যের পরিবার এখন আর চলে না। মানুষের এখন টাকা হয়ে গেছে, কেউ ছেঁড়া জুতা সেলাই করে পায়ে দেয় না।’

কথাগুলো বলছিলেন টঙ্গিবাড়ীর বালিগাঁও বাজারের রঞ্জন দাস। ২০ বছর ধরে জুতা সেলাই পেশায় নিয়োজিত তিনি। মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় তাঁর মতো এমন আরও অনেকেই আছেন, যারা ছেঁড়া জুতা সেলাই করে চলার উপযোগী করে দেন। বর্তমানে খেয়ে না খেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনোরকমে চলছে তাঁদের জীবন।

উপজেলার বালিগাঁও বাজারের মুচি সম্প্রদায়ের (যারা জুতা সেলাই করেন) কয়েকজন জানান, ‘আমাদের মাঝে অনেকেই এই পেশা এখন ছেড়ে দিয়েছেন, সারা দিন কাজ করে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয়। এই টাকায় সংসার চালানো কঠিন।’

উপজেলার বড়লিয়া, বালিগাঁও ও দিঘিরপাড় দাসপাড়া এবং ঋষিবাড়ি এলাকার মুচি সম্প্রদায় মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যারা ছোট বেলা থেকে মুচি হিসেবে কাজ করে আসছেন, কিন্তু এখন অন্য কোনো কাজ করতে পারেন না শুধু তারাই এখনো পুরোনো পেশা ধরে রেখেছেন।

তবে তাঁদের বেশির ভাগই চান না সন্তানরাও এই কাজ শিখুক। দিঘিরপাড় ঋষি বাড়ির জন্টু দাস বলেন, ‘৪০ বছর ধরে এই কাজ করে সংসার চালিয়েছি। কিন্তু এখন আর পারছি না। সারা দিন কাজ করে বাড়িতে যাওয়ার সময় চাল ডাল নিয়ে যেতে পারি না।’

বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজী দুলাল হোসেন বলেন, মুচি সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি পরিবারকে সব সময় সরকারি সাহায্য সহযোগিতা করা হয়। যদি কেউ বাকি থাকে তাঁদেরও সহযোগিতার আওতায় আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত