Ajker Patrika

বোরো ধানে লোকসানের শঙ্কা

ভালুকা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মে ২০২২, ০৯: ২৭
বোরো ধানে লোকসানের শঙ্কা

ময়মনসিংহের ভালুকায় বোরো ধানের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকেরা। টানা বৃষ্টিতে চড়া দামে ধান কেটে ঘরে তুলতে হয়েছে। কৃষকেরা বলছেন, সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ফলন ভালো হলেও উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। বাজারে এখন যে দামে ধান বিক্রি হচ্ছে, তাতে লাভের বদলে উল্টো লোকসানের শঙ্কা তাঁদের।

অন্যদিকে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, শিগগির বোরো ধান সংগ্রহ করা শুরু হবে। এ মৌসুমে প্রতি মণ ধানের দাম ১০৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু ধানের দাম নিয়ে কৃষকেরা শঙ্কিত রয়েছেন।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাঠাপ্রতি জমি চাষ করতে ৩০০ টাকা, ধানের চারা রোপণ ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে মণপ্রতি ধান ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা দামে ধান বিক্রি হচ্ছে।

আগাছা পরিষ্কার, পানি সেচ, সার, বীজ কীটনাশক প্রয়োগ, ধান কাটা ও মাড়াই করার খরচ বাদে কৃষকের লাভ থাকবে না।

কৃষক জাকারিয়া বলেন, ‘কৃষিকাজে এখন আগের মতো লাভ নেই। শ্রমিক-সংকট, সার, বীজ কীটনাশক প্রয়োগ, ধান কাটা ও মাড়াইয়ে খরচ বেশি হয়। এতে খরচ আর উৎপাদিত ফসলের মূল্য সমান হয়ে যায়। ধান সঠিক দামে বিক্রি করতে পারলে আমরা লাভবান হতাম। কিন্তু ধানের দাম কম হওয়ায় কৃষকেরা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।’

এ নিয়ে জানতে চাইলে ধান ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, ‘ধানের প্রকারভেদে আমরা ধান ক্রয় করছি। টানা বৃষ্টি হওয়ায় ধান ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা মণপ্রতি ভেজা ধান ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় ও রোদে শুকানো ধান ৮৫০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকায় কিনছি। আবার বেশি শুকনো ধান ১০০০ টাকাও কিনেছি। কৃষকের খলা থেকে ধান মেপে আনা হয়। গ্রামের অধিকাংশ সড়ক কাঁচা। এতে পরিবহন খরচও বেশি হয়। লাভ তেমন থাকে না।’

আব্দুল মালেক নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘এ বছর ১০ কাঠা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। কাঠাপ্রতি ধান কাটতে খরচ হয়েছে ১০০০ টাকা। ফলন ভালো হলেও খরচ বেশি হয়েছে। আবার বৃষ্টিতে ভিজে ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্য পাইকারেরা ধানের যে দাম কম বলছেন, তাতে আমার খরচ ওঠানো শঙ্কিত আছি।’

এ নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জেসমিন জাহান বলেন, ‘এ বছর ১৮ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় কাঙ্ক্ষিত ফলন হয়েছে। দ্রুতই ধান সংগ্রহ শুরু হবে।’

এ নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল আহম্মেদ বলেন, ‘ধান সংগ্রহ অভিযান এখনো শুরু হয়নি। গ্রামের হাট-বাজারে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিগগিরই ধান সংগ্রহ করা শুরু হবে। এ মৌসুমে প্রতি মণ ধানের দাম ১০৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়ে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

‘মেয়েরা যেন আমার মরা মুখ না দেখে’, চিরকুট লিখে ঠিকাদারের ‘আত্মহত্যা’

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে নিজের রেকর্ড ভাঙল যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত