Ajker Patrika

চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী

কুড়িগ্রাম, চিলমারী ও রৌমারী প্রতিনিধি
চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী

কুড়িগ্রামের চিলমারী ও রৌমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে গতকাল বুধবার ইভিএমে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এতে ভোটার সংকটে বিভিন্ন কেন্দ্রে অলস সময় পার করেছেন কেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মী ও প্রার্থীদের এজেন্টরা। অনেক কেন্দ্রে একাধিক প্রার্থীর এজেন্ট অনুপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।  চিলমারীতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ২০৬ ভোট, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সোলায়মান আলী সরকার নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৬২ ভোট। রৌমারীতে চেয়ারম্যান হয়েছেন ইমান আলী, তিনি ঘোড়া প্রতীকে ২২ হাজার ২১৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মজিবর রহমান বঙ্গবাসী দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৫৯২ ভোট।

চিলমারীতে মোট ভোটার ১ লাখ ৩৪৩ জন, ভোট পড়েছে ৩৭ শতাংশ। রৌমারীতে মোট ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৫০ জন, ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ।
চিলমারীর থানাহাট এ ইউ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গতকাল বেলা পৌনে একটার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা অলস সময় পার করছেন। কয়েকজন মিলে গল্পে মেতে ওঠেন। ওই কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষে থাকা প্রার্থীদের এজেন্টরাও কক্ষের বাইরে আড্ডায় মাতেন। বেশির ভাগ কক্ষে একাধিক প্রার্থীর এজেন্ট অনুপস্থিত ছিলেন।

এ ইউ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ৪ নম্বর কক্ষে গিয়ে শুধু আনারস প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট সামিউল ইসলামকে পাওয়া গেছে। অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট ওই কক্ষে পাওয়া যায়নি। ২ নম্বর কক্ষে নৌকা ও আনারস প্রতীকের এজেন্ট থাকলেও অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্টকে পাওয়া যায়নি। ১ নম্বর কক্ষে আনারস ও নৌকা প্রতীকের এজেন্ট দেওয়া হলেও শুধু আনারস প্রতীকের এজেন্ট ছিল।

ওই কক্ষের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ওই কক্ষে নৌকা ও আনারস প্রতীকের প্রার্থীরা এজেন্ট দিলেও অন্য কোনো প্রার্থী এজেন্ট দেননি। এ ইউ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের বারান্দায় গল্পে মেতে থাকা এজেন্টরা জানান, ভোটার না থাকায় তাঁরা অলস সময় কাটান। ভোটার এলে তাঁরা কক্ষে ঢুকে পড়েন।

একই চিত্র দেখা গেছে থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। নারী ভোটারদের এই কেন্দ্রের ১১টির মধ্যে শুধু একটি কক্ষের সামনে ভোটারদের ছোট সারি দেখা গেছে। অন্য কক্ষগুলো ভোটারদের লাইন দেখা যায়নি। কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখা গেছে বেশির ভাগ কক্ষে নৌকা, আনারস ও ঘোড়া প্রতীকের এজেন্ট রয়েছেন। তবে কেন্দ্রের ১১ নম্বর কক্ষে কোনো প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া যায়নি।

থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ফিরোজুর রহমান বলেন, বেলা দেড়টা পর্যন্ত তাঁর কেন্দ্রে ২৭ শতাংশ ভোট গ্রহণ হয়েছে। কেন্দ্রে সব প্রার্থীর এজেন্ট দেওয়া হয়নি। ভোটার উপস্থিতি কম হলেও কেন্দ্রে কোনো ঝামেলা নেই।

অপরদিকে রৌমারীতেও চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম পাওয়া গেছে। অনেক ভোটার বলেন, ভোট দিলে ফলাফল ঠিকমতো পাওয়া যায় না। এই জন্য তাঁরা ভোট দিতে যাননি। এ ছাড়া ভোটার তালিকার ক্রমিক নম্বরের মিল না থাকায় অনেকে ভোট দিতে পারেননি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত