Ajker Patrika

তৃতীয় এলএনজি টার্মিনালের কাজও পেল সামিট গ্রুপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তৃতীয় এলএনজি টার্মিনালের কাজও পেল সামিট গ্রুপ

কক্সবাজারের মহেশখালীতে তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ) স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ টার্মিনালের সক্ষমতা হবে ৬০০ এমএমসিএফ। এই এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের কাজ পাচ্ছে সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড। এ বিষয়ক প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দেশে বর্তমানে দুটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। মহেশখালীতে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট সক্ষমতার এ দুই টার্মিনাল নির্মাণ করে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলরেট এনার্জি এবং সামিট গ্রুপ।

গতকালের সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি বলেন, কক্সবাজারের মহেশখালীতে পেট্রোবাংলার দৈনিক ৬০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এক্সিলারেট এনার্জি ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট গ্যাস সরবরাহ শুরু করে, চুক্তির মেয়াদ রয়েছে ২০৩৮ সাল পর্যন্ত। অপরদিকে সামিট গ্রুপ ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল গ্যাস সরবরাহ শুরু করে। এ টার্মিনালের মেয়াদ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত।

কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূলে স্থাপিত এ দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের সরবরাহ সক্ষমতা মোট ১ হাজার (৫০০ + ৫০০) এমএমসিএফ। নতুন টার্মিনাল হলে মোট সক্ষমতা হবে ১ হাজার ৬০০ এমএমসিএফ।

যদিও দীর্ঘদিন এলএনজি আমদানি বন্ধ থাকায় বিদ্যমান টার্মিনালের পুরো সক্ষমতা কাজে লাগানো যায়নি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক তথ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘আইএইচএস মার্কিট’র প্রতিবেদন বলছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশ এলএনজি টার্মিনাল সক্ষমতার ৫০ শতাংশই ব্যবহার করতে পারেনি। 

এদিকে গতকাল অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় পেট্রোবাংলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ১ কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। এতে ব্যয় হবে ৫৭৪ কোটি ৬৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩০২ টাকা। তবে গত মাসের চেয়ে এবার দাম বেশি পড়ছে।

একই সভায় টিসিবির জন্য ১৯৩ কোটি টাকায় তেল-চিনি কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনা হবে ৬৪ কোটি ৫২ লাখ টাকায়। আর দেশি প্রতিষ্ঠান সিটি এডিবয়েল লিমিটেড থেকে ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে ১২৯ কোটি ৯ লাখ টাকায়। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৬১ টাকা ৩৭ পয়সা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত