Ajker Patrika

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ঘেরের পাশে আশ্রয়ণের ঘর, কত দিন টিকবে শঙ্কা

আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩, ০৮: ৩৯
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ঘেরের পাশে আশ্রয়ণের ঘর, কত দিন টিকবে শঙ্কা

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় নির্মাণ করা হচ্ছে ১২১টি ঘর। এতে খুশি হয়েছিল ঘর বরাদ্দ পাওয়া উপকারভোগী পরিবারগুলো। কিন্তু ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে মাছের ঘেরের পাশের অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গায়। অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যে কয়েকটি স্থানে ধসের ঘটনায় উপকারভোগীদের আনন্দ অনেকটা উবে গেছে। ঘরের স্থায়িত্ব নিয়ে তাঁরা শঙ্কিত। পাশাপাশি ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতাপনগর ইউনিয়নের ফুলতলা বাজার থেকে অর্ধকিলোমিটার দূরে আব্দারের মোড় নামক এলাকায় ১১ বিঘা জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে ১২১টি ঘর। প্রতি বিঘা জমি কেনা হয়েছে ১২ লাখ টাকায়। প্রতিটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। ঘরের কাজ অর্ধেক শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় প্রতিবছর জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয় প্রতাপনগর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা। সবশেষ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে এই ইউনিয়নের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা ডুবে গিয়েছিল। বর্তমানে যেখানে আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটি মূল সড়ক থেকে ছয় ফুট নিচু। মাটি ভরাটের পর নির্মাণের শুরুতে ঘর ধসে পড়ায় ঘটনাও ঘটেছে।

ফুলতলা বাজারের আবিদার রহমান বলেন, ‘ঘরগুলো অনেক নিচু। সদ্য বালু ভরাট করে ঘর বানানো হচ্ছে। এ ঘর তো টিকবে না। আর কাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। বালুর সঙ্গে সঠিক অনুপাতে সিমেন্ট মেশানো হচ্ছে না।’

কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘মাসখানেক আগে কয়েকটি ঘর ধসে পড়েছিল। নির্মাণের শুরুতেই যদি এই অবস্থা হয়, তবে ভবিষ্যতে কী হবে!’

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী মাসুম বিল্লাহ বলেন, প্রতাপনগর ইউনিয়নে যে ১২১টি ঘর হচ্ছে, তা ঘেরের ভেতরের জমি।

নির্মাণকাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কাজে অনিয়ম হচ্ছে না। নিয়মানুযায়ী সব কাজ করা হচ্ছে।’ 
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, যেখানে ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে, সেই জায়গাটি ৫-৭ ফুট নিচু। বালু ফেলে নিচু জমি উঁচু করা হয়েছে। বছরখানেক পরে ঘর তৈরি করতে পারলে ভালো হতো। সময়ের বাধ্যবাধকতায় টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ঘর তৈরি করা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে কোনোভাবে ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তা ঠিক করে দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত