Ajker Patrika

পরিবারকল্যাণ সহকারীর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
পরিবারকল্যাণ সহকারীর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে করোনা সুরক্ষা টিকা দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়া এবং সরকারি বিনা মূল্যের ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক পরিবারকল্যাণ সহকারীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত অনামিকা মণ্ডল উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ সহকারী (১-খ এলাকা) হিসেবে নিযুক্ত আছেন। গত জুলাইয়ে ইউএসএআইডির ‘মামনি এমএনসিএসপি’ ইমারজেন্সি রেসপন্স টু করোনা টিমে তিনি স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেন।

জানা গেছে, গত জুলাইতে করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমের সময় টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার কথা বলে শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করেন অনামিকা মণ্ডল। এ ছাড়া সরকারি জন্মবিরতিকরণ পিল ‘সুখী তৃতীয় প্রজন্ম’ বিনা মূল্যে সরবরাহ করার কথা থাকলেও ৫টি প্যাকেটের একটি বান্ডিল ৫০ টাকায় বিক্রি করেন অনামিকা। এমনকি সরকারি জন্মনিরোধক কনডম ১ ডজনের একটি প্যাকেট ১ টাকা ২০ পয়সা বিক্রির কথা থাকলেও ব্যক্তিভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার চর গুলগুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা এক গৃহবধূ বলেন, ‘তিনি (অনামিকা) আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে আমাদের টাকা ফেরত দিয়ে যান এবং কান্নাকাটি করে বলেন, যেন আমরা এ কথা কারও কাছে না বলি।’ চর গুলগুলিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২৬ জুলাই ক্লিনিকে প্রথম ভোজ নিতে আসা কয়েকজন জানান, টিকার কথা বলে অনামিকা তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।’

অনামিকা মণ্ডল বলেন, ‘আমি সেখানে কাজ করতে গেলে এলাকাবাসী আমাকে খাওয়ার জন্য ২০ থেকে ৫০ টাকা করে দেয়, কিন্তু আমি চেয়ে কোনো টাকা আনি নাই। ওষুধ বিক্রিও করি না।’ বাসাইল ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক পীযূষ পাল বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে পারব না।’

জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর (ডিডি) আব্দুস সালাম বলেন, ‘উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত