Ajker Patrika

মার্চে চালু হবে সেতু

রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ২৫
মার্চে চালু হবে সেতু

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় কুমার নদে সাড়ে ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ২৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু। চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। আগামী মাসে জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে এটি। এতে উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবেন।

খরস্রোতা কুমার নদ নৌকায় পারাপার হতে হয়। সামান্য বৃষ্টিপাত বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্ধ হয়ে যায় নদ পারাপার। ফলে শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ী, রোগীসহ সাধারণ মানুষকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। খেয়া বন্ধ থাকলে জরুরি প্রয়োজনে জেলা কিংবা উপজেলা সদরে যেতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে পৌঁছাতে হয়। এতে কুমার নদে সেতুর অভাবে মাদারীপুর সদর উপজেলার শ্রনদী, সিরখাড়া ও রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর, পাইকপাড়া ও হরিদাসদী-মহেন্দ্রী এলাকার তিন লক্ষাধিক মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। জনভোগান্তি দূর করতে কুমার নদে ২৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। বর্তমানে সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে। মার্চে সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এতে সময় বাঁচবে, কমবে খরচ ও ভোগান্তি।

জানা গেছে, প্রায় ৩১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলার শ্রীনদী জিসি সড়ক থেকে রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর জিসি সড়কের ৪ হাজার ২০০ চেইনেজে কুমার নদে ২৮০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। চলছে ২০০ মিটার আরই ওয়াল ও সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ।

সেতু চালু হলে বদলে যাবে এই জনপদের দৃশ্যপট। ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন কৃষক, প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যে, সহজ হবে যাতায়াত ব্যবস্থা, ভোগান্তি কমবে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের, এমনটাই মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

রানু বেগম জানান, এই সেতু নির্মাণ হওয়ায় এলাকাবাসীর উপকার হবে। অল্প সময়ে নদ পার হওয়া যাবে। রোগী খুব সহজেই রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া যাবে।

কালাম মিয়া বলেন, এত দিন অনেক পথ ঘুরে ওপারে যেতে হতো। আর নৌকায় পারাপার হতে হয় এলাকাবাসীকে। এতে অনেক সময় ও টাকা ব্যয় হয়। সেতুর কাজ শেষ হলে সময় ও টাকা দুটোই কমবে।

শিক্ষার্থী আবিদ জানায়, ‘সেতুটি শেষ হলে সহজেই বিদ্যালয়ে যেতে পারব। আগে একটু বৃষ্টি হলে স্কুল-কলেজে যাওয়া যেত না। সেতু চালু হলে আর এই সমস্যা থাকবে না।’

ইশিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মোল্লা বলেন, সেতু নির্মাণের ফলে প্রত্যন্ত এলাকার কৃষক ফসল সহজে বাজারে নিতে পারবেন। অসুস্থ ও প্রসূতি মায়েরা উপজেলা কিংবা জেলা সদরের হাসপাতালে দ্রুত সেবা নিতে পারবেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, মাদারীপুর বাবুল আক্তার বলেন, সেতু চালুর ফলে শিবচর হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা যেতে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে। এ ছাড়া সেতুর কারণে কৃষক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত