ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
‘নিত্য পণ্যের দাম প্রায় প্রতিদিনই অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। সংসারের খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। মাছ কিনতে গেলে চাল কিনি কম, তেল কিনলে বাচ্চার দুধ কেনার টাকায় টান পড়ে। বিশ হাজার টাকা বেতন পেলেও আসলে অভাব শুরু হয়ে গেছে। তাই সবকিছুতে টানাটানি শুরু হয়েছে। গ্যাসের দাম বেশি হওয়ায় এই মাসে জ্বালানি কাঠ কিনেছি। এতে কিছুটা সাশ্রয়ী হলেও ঝামেলা কম নেই।’
বাজারে প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় এভাবেই নিজের মনের কথা ব্যক্ত করেছেন স্কুলশিক্ষক সাহানা খাতুন। মাগুরায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন তিনি। সাত সদস্যের পরিবার অনেকটাই তাঁর আয়ের ওপরেই নির্ভরশীল। স্বামীর স্বল্প আয়েও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন না বলেও জানান সাহানা খাতুন।
বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করা মামুন হোসেন বলেন, ‘সবজি থেকে শুরু করে চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটাসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এতটাই নিয়ন্ত্রণহীন যে, মোটামুটি বেতন যারা পায় তাদেরও টেনেটুনে সংসার চালাতে হয়। ৮৫০ টাকার গ্যাস এখন নিচ্ছে এক হাজার ৩২০ টাকা। এ কারণে বাড়িতে সিমেন্টের চুলা কিনেছি। ওটাতে খড়ি (কাঠ) দিয়ে রান্না করতে হয়।’
শুধু সাহানা খাতুন কিংবা মামুনই নন, বরং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে নাভিশ্বাস বইছে মাগুরার মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নমধ্যবিত্তসহ অনেক পরিবারে। প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করছে অনেক পরিবার। এ কারণে গ্যাসের তুলনায় কাঠ-খড়িতে তুলনামূলক খরচ হওয়ায় সেদিকেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা। এ কারণে ব্যস্ততা বেড়েছে কাঠ-খড়ির দোকানগুলোতে।
ক্রেতাদের সাশ্রয়ী হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে মাগুরা ওয়েল মিলের পাইকারি দোকানি আব্দুল্লাহ বলেন, যারা আগে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল একবারে কিনত তাঁরা এখন দুই কেজি কখনো বা এক কেজি কিনছেন। আবার বাচ্চাদের খাবার যেমন দুধসহ প্যাকেটজাত পণ্যেরও চাহিদা কম।
এদিকে নিত্য পণ্যের সঙ্গে গত দুই মাস ধরে বেড়ে চলছে এলপি গ্যাসের দাম। বাড়িতে ব্যবহৃত ১২ কেজি একটি গ্যাস সিলিন্ডারের সরকার নির্ধারিত দাম এক হাজার ৩১৩ টাকা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩৪০ টাকায়। এর ফলে গ্যাসের চাহিদা অনেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে সিলিন্ডারে আগ্রহ কমায় কখনো কখনো এক হাজার ২৯০ টাকায়ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
মাগুরা গ্যাস হাউসের মালিক মাহমুদুল হক স্বাক্ষর বলেন, ১০০ জনের ভেতরে এখন গ্যাস নিচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ জন। গত চার মাস আগেও আমরা ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডার ৮৩০ টাকাও বিক্রি করেছি। তখন ভ্যানওয়ালা থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষেরা রান্না করত গ্যাস দিয়ে। এখন তারা তো নেয়ই না, বরং মধ্যবিত্তদের অনেকেই গ্যাস কেনার আগ্রহ হারিয়েছে। বিক্রি না হওয়ায় আমরাও বিপদে আছি।
নতুন বাজারের এলপিজি গ্যাসের পরিবেশক ব্যবসায়ী উত্তম কুমার বলেন, গ্যাস কিছু মাস আগেও নিম্ন আয়ের মানুষের বাড়িতে ব্যবহার হয়েছে। এখন দাম বাড়ায় তারা তো নিতে চাইছে না। এমনকি মোটামুটি অবস্থাসম্পন্ন লোকজনও গ্যাস নিতে পারছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় মানুষ খরচ কমাতে জ্বালানির ব্যবহারেও নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করছে।
এদিকে গ্যাসের ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়লেও কপাল খুলেছে জ্বালানি কাঠের ব্যবসায়ীদের। এ কারণে সম্প্রতি ব্যস্ত সময় পার করছেন কাঠ-খড়ির দোকানিরা। নতুন বাজার এলাকার জ্বালানি কাঠ ব্যবসায়ী নির্মল কুমার জানান, গত কয়েক মাসে কাঠের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়েছে। প্রতি মণ জ্বালানি কাঠ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১৬০ টাকায়। এখন দিনরাত কাঠ জোগাড় করতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, মাস চারেক আগেও বিক্রি হতো না কাঠ। বেকার বসে থাকতাম দোকানে। এখনো অবস্থাসম্পন্ন মানুষ ও দেখছি খড়ি (জ্বালানি কাঠ) কিনছেন।
‘নিত্য পণ্যের দাম প্রায় প্রতিদিনই অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। সংসারের খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। মাছ কিনতে গেলে চাল কিনি কম, তেল কিনলে বাচ্চার দুধ কেনার টাকায় টান পড়ে। বিশ হাজার টাকা বেতন পেলেও আসলে অভাব শুরু হয়ে গেছে। তাই সবকিছুতে টানাটানি শুরু হয়েছে। গ্যাসের দাম বেশি হওয়ায় এই মাসে জ্বালানি কাঠ কিনেছি। এতে কিছুটা সাশ্রয়ী হলেও ঝামেলা কম নেই।’
বাজারে প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় এভাবেই নিজের মনের কথা ব্যক্ত করেছেন স্কুলশিক্ষক সাহানা খাতুন। মাগুরায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন তিনি। সাত সদস্যের পরিবার অনেকটাই তাঁর আয়ের ওপরেই নির্ভরশীল। স্বামীর স্বল্প আয়েও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন না বলেও জানান সাহানা খাতুন।
বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করা মামুন হোসেন বলেন, ‘সবজি থেকে শুরু করে চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটাসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এতটাই নিয়ন্ত্রণহীন যে, মোটামুটি বেতন যারা পায় তাদেরও টেনেটুনে সংসার চালাতে হয়। ৮৫০ টাকার গ্যাস এখন নিচ্ছে এক হাজার ৩২০ টাকা। এ কারণে বাড়িতে সিমেন্টের চুলা কিনেছি। ওটাতে খড়ি (কাঠ) দিয়ে রান্না করতে হয়।’
শুধু সাহানা খাতুন কিংবা মামুনই নন, বরং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে নাভিশ্বাস বইছে মাগুরার মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নমধ্যবিত্তসহ অনেক পরিবারে। প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করছে অনেক পরিবার। এ কারণে গ্যাসের তুলনায় কাঠ-খড়িতে তুলনামূলক খরচ হওয়ায় সেদিকেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা। এ কারণে ব্যস্ততা বেড়েছে কাঠ-খড়ির দোকানগুলোতে।
ক্রেতাদের সাশ্রয়ী হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে মাগুরা ওয়েল মিলের পাইকারি দোকানি আব্দুল্লাহ বলেন, যারা আগে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল একবারে কিনত তাঁরা এখন দুই কেজি কখনো বা এক কেজি কিনছেন। আবার বাচ্চাদের খাবার যেমন দুধসহ প্যাকেটজাত পণ্যেরও চাহিদা কম।
এদিকে নিত্য পণ্যের সঙ্গে গত দুই মাস ধরে বেড়ে চলছে এলপি গ্যাসের দাম। বাড়িতে ব্যবহৃত ১২ কেজি একটি গ্যাস সিলিন্ডারের সরকার নির্ধারিত দাম এক হাজার ৩১৩ টাকা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩৪০ টাকায়। এর ফলে গ্যাসের চাহিদা অনেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে সিলিন্ডারে আগ্রহ কমায় কখনো কখনো এক হাজার ২৯০ টাকায়ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
মাগুরা গ্যাস হাউসের মালিক মাহমুদুল হক স্বাক্ষর বলেন, ১০০ জনের ভেতরে এখন গ্যাস নিচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ জন। গত চার মাস আগেও আমরা ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডার ৮৩০ টাকাও বিক্রি করেছি। তখন ভ্যানওয়ালা থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষেরা রান্না করত গ্যাস দিয়ে। এখন তারা তো নেয়ই না, বরং মধ্যবিত্তদের অনেকেই গ্যাস কেনার আগ্রহ হারিয়েছে। বিক্রি না হওয়ায় আমরাও বিপদে আছি।
নতুন বাজারের এলপিজি গ্যাসের পরিবেশক ব্যবসায়ী উত্তম কুমার বলেন, গ্যাস কিছু মাস আগেও নিম্ন আয়ের মানুষের বাড়িতে ব্যবহার হয়েছে। এখন দাম বাড়ায় তারা তো নিতে চাইছে না। এমনকি মোটামুটি অবস্থাসম্পন্ন লোকজনও গ্যাস নিতে পারছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় মানুষ খরচ কমাতে জ্বালানির ব্যবহারেও নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করছে।
এদিকে গ্যাসের ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়লেও কপাল খুলেছে জ্বালানি কাঠের ব্যবসায়ীদের। এ কারণে সম্প্রতি ব্যস্ত সময় পার করছেন কাঠ-খড়ির দোকানিরা। নতুন বাজার এলাকার জ্বালানি কাঠ ব্যবসায়ী নির্মল কুমার জানান, গত কয়েক মাসে কাঠের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়েছে। প্রতি মণ জ্বালানি কাঠ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১৬০ টাকায়। এখন দিনরাত কাঠ জোগাড় করতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, মাস চারেক আগেও বিক্রি হতো না কাঠ। বেকার বসে থাকতাম দোকানে। এখনো অবস্থাসম্পন্ন মানুষ ও দেখছি খড়ি (জ্বালানি কাঠ) কিনছেন।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
১৫ ঘণ্টা আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
১৭ ঘণ্টা আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫