Ajker Patrika

বিএনপি নেতাদের লাঠিপেটা

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ০৪
বিএনপি নেতাদের লাঠিপেটা

খুলনা নগরীতে বিএনপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ অন্তত ২০ জন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপির নেতা-কর্মী ছাড়াও কয়েকজন সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্য রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।

চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত সমাবেশ চলাকালে গতকাল সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খুলনা মহানগর বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চল বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি থাকায় সকাল ১০টা থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা আসতে থাকেন।

বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলে দলে আসতে থাকে ও স্লোগান দিতে থাকে। তার আগে সকাল থেকে সমাবেশস্থলে অবস্থান নেয় পুলিশ। দলীয় কার্যালয়ের নিচে সমাবেশ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ে। সমাবেশ চলাকালে পুলিশ বাধা দেয়। দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর শুরু করে লাঠিপেটা। দু-দফায় পুলিশ হামলা চালায়।

এতে নগর বিএনপির সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, নগর বিএনপির সহসভাপতি মীর কায়সেদ আলীসহ দলের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দলটি। এ ছাড়া দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন, দৈনিক জন্মভূমির দেবব্রত রায়, সময় টিভির আব্দুল হালিম, যমুনা টিভির আমির সোহেল ও এসএ টিভির ইব্রাহিম। আহত ব্যক্তিরা খুলনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন বলেন, পূর্বানুমতি ছাড়া রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করছিল বিএনপি। এ সময় পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাজে আচরণ করে। পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে সমাবেশস্থল থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরে পুলিশও তাঁদের ওপর লাঠিপেটা করে। সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

নগর সভাপতি মঞ্জু সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘নেত্রীর মুক্তির জন্য মানবিক কর্মসূচির আয়োজন করে নগর ও জেলা বিএনপি। সকাল থেকে প্রশাসন কার্যালয় ঘিরে রাখে। পুলিশকে তিনি সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পুলিশ তা না করে সাধারণ নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করে। জনতার রোষানলে পড়ে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে আবার তাঁরা সমাবেশ শুরু করেন। পরে সোয়া ১২টার দিকে আবারও হামলা চালায়। নেতা-কর্মীদের সরে যাওয়ার জন্য গুলি করার হুমকি দেয়। আমাকেও গুলি করার হুমকি দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তৃতীয় দফায় এসে তারা আমাকেসহ সিনিয়র নেতাদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন এবং ২৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’

সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, গতকাল বিকেলেও বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের জন্য জড়ো হতে থাকে। বিএনপি নেতারা বলছেন, এখানেও পুলিশ বাধা দিয়েছে। লাঠিপেটা করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত