Ajker Patrika

পাঠকপ্রিয়তা

সম্পাদকীয়
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২২, ১০: ০৯
পাঠকপ্রিয়তা

কবি বা লেখক কি পাঠকের দিকে তাকিয়ে লিখবেন, নাকি নিজের যা ভালো লাগে, তা লিখবেন? এ রকম একটি বিষয় নিয়ে বহু আগে থেকেই তর্ক চলছে। কেউ বলছে, লেখা উঠে আসে মনের ভেতর থেকে। পাঠককে খুশি করার জন্য লেখা ঠিক নয়। কিন্তু এ কথাও তো সত্যি, পাঠক চাহিদার দিকে নজর রেখেও কেউ কেউ লিখে থাকেন। তাহলে সত্যিকারের সাহিত্য কি এই প্রশ্ন দিয়ে যাচাইবাছাই করা যায়?

এ রকমই একটা প্রশ্ন ছিল জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের। প্রশ্নটি করেছিলেন শহীদ কাদরীকে। প্রশ্নটা ভাবিয়েছিল কবিকে। তিনি ভেবে দেখলেন, লেখালেখির প্রথম দিকে পাঠকপ্রিয়তার দিকে একেবারেই নজর দেননি তিনি। যা লিখতে ভালো লেগেছে, সেটাই লিখেছেন। কিন্তু লেখালেখির মধ্যপথে এসে একবার ভাবলেন, এমন কিছু কবিতা তো লেখা সম্ভব, যা পাঠকপ্রিয়তা পাবে আবার তার মধ্যে লুকিয়ে থাকবে গভীর বক্তব্যও? লেখাটা হবে হালকা চালে, যেন পাঠকের বুঝতে একেবারেই কষ্ট না হয়।

সে রকমই একটি কবিতা লিখেছিলেন শহীদ কাদরী—‘রাষ্ট্র মানেই লেফট রাইট লেফট।’

এই কবিতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে, গোড়ার গলদ বা সব ধরনের শয়তানির উৎসই হচ্ছে আধুনিক রাষ্ট্র, অরিজিন অব অল ইভিলস।

কবিতাটায় ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের ‘স্টেট অ্যান্ড রেভল্যুশন’ বইটি থেকে কিছু অংশ কোট করা যেত। তাতে ভারিক্কি হতো কবিতাটি। কিন্তু শহীদ কাদরী ভাবলেন, এভাবে সহজ করে লিখেই দেখা যাক না, মানুষ কীভাবে কবিতাটিকে নেয়। একসময় দেখা গেল, মানুষ কবিতাটিকে নিয়েছে। পড়া হচ্ছে কবিতাটি।

পাঠকের ভালো লাগবে, সে রকম কবিতার দাম একেবারে নেই, তা তো নয়। দেখতে হবে কবিতাটি আদতে কবিতা হয়েছে কি না, নাকি তা হয়ে উঠেছে উচ্চকিত স্লোগান। স্লোগানেরও শৈল্পিক প্রকাশ থাকতে পারে। কিন্তু নিরেট স্লোগান তো আর কবিতা হতে পারে না।

সূত্র: জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, শহীদ কাদরী, লেখা না-লেখার গল্প, পৃষ্ঠা ৬৪

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের লাশ মিলল মেঘনায়, শোকাহত আজকের পত্রিকা

‘সামনে চমকপ্রদ বেশ কিছু ঘটনা ঘটবে, অনেক বিষয় আমি জানি’

‘মব’ সৃষ্টি করে ৩ কিশোরকে সেতুর সঙ্গে বেঁধে রাতভর পিটুনি, নিহত ১

সনদ জালিয়াতি: ব্যাংকের চাকরি যাওয়া জাহাঙ্গীরের স্কুল সভাপতির পদও গেল

এনসিটিবি: পাঠ্যবইয়ে আবার পরিবর্তন আসছে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত