Ajker Patrika

বায়োপসির পর খালেদা জিয়া আইসিইউতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ৩৬
বায়োপসির পর খালেদা জিয়া আইসিইউতে

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিত থাকুন, খালেদা জিয়া এখন একদম সুস্থ আছেন। তাঁর চিকিৎসকেরা এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কোনো রকম বিপদের কোনো সম্ভাবনাই নেই বলে তাঁরা মনে করেন।’ গত ১২ অক্টোবর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাঁর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল তাঁর বায়োপসি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, গতকাল বায়োপসি করানোর জন্য তাঁকে (খালেদা) অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বায়োপসি করার প্রয়োজন মনে করেছে মেডিকেল বোর্ড। তাঁর শরীরে ছোট্ট একটা লাম্প (চাকা জাতীয়) আছে এক জায়গায়। এ জন্যই তাঁর বায়োপসি করা হয়েছে। এই পরীক্ষার রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে তাঁর পরবর্তী চিকিৎসা কী হবে।

এর আগে করোনায় আক্রান্ত হলে গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫৩ দিনের চিকিৎসা নিয়ে গত ১৯ জুন তিনি বাসায় ফেরেন। বাসায় থাকার সময় করোনার দুই ডোজ টিকাও নেন।

ডা. জাহিদ বলেন, ‘তাঁর (খালেদা জিয়া) সব প্যারামিটার স্টেবল আছে এই মুহূর্তে। তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। ওনার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে একটা ডেভেলপড সেন্টারে চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে বলে মেডিকেল বোর্ড মত দিয়েছে।’

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি
সংবাদ সম্মেলনে সুচিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু হয়ে গেলে তাঁর জন্য সরকারই দায়ী থাকবে। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা তো তাঁকে (খালেদা জিয়া) স্থায়ী জামিন দেন নাই। স্থায়ী মুক্তিও দেন নাই। হয় আপনারা পুরোপুরি মানা করে দেন, অথবা পুরোপুরি মুক্ত করে দেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ চিকিৎসার জন্য এখানে কোনো অ্যাডভান্স সেন্টার নাই। এ জন্য তাঁকে বাইরে নিতে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সরকার তাঁকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। তাঁর যে শারীরিক অবস্থা, এটা সরকারেরই উচিত অবিলম্বে তাঁকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া।

দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড হলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে তাঁকে বাড়িতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে আরও তিনবার তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত