সম্পাদকীয়
বরগুনার তাসলিমা বেগমকে সাধুবাদ জানাব না তাঁর সমালোচনা করব, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রয়েসয়ে। শুরুতে একটু রসিকতা করে নেওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না। দ্রব্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে, তাতে শিক্ষক তাসলিমা বেগম নতুন ধরনের খাবারদাবারে মাদ্রাসার ছাত্রীদের অভ্যস্ত করার চেষ্টা করছেন কি না, সেটা কে জানে। খাসির মাংসের কেজি যদি ১ হাজার ১৫০ টাকা হয়, গরুর মাংসের কেজি যদি ৮০০ টাকা হয়, পেঁয়াজ কিনতে যদি কেজিতে ১১০ টাকা বেরিয়ে যায়, ব্রয়লার মুরগি যদি ২০০ টাকার নিচে না নামে, তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারদাবারে কিংবা খাদ্যাভ্যাসে একটা পরিবর্তন তো আনাই যায়। ‘তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন’ এই শিক্ষক তাসলিমা বেগম এ কারণেই কি উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রীদের মলমূত্র খাইয়েছেন? তিনি কি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অসহায় সরকারকে একটু স্বস্তি দিতে চেয়েছেন?
রসিকতা থাক। বরগুনার আমতলীতে মাদ্রাসার ১০ ছাত্রীকে মারধর করার পর মলমূত্র খাইয়ে নির্যাতন করেছেন উপজেলার মাদানীনগর জামিয়া সাইয়েদা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুর রশিদ, তাঁর স্ত্রী শিক্ষক তাসলিমা বেগম এবং তাঁদের ছেলে তাইয়েবা ও মেয়ে নুসরাত। ভেবে দেখুন, পুরো পরিবার এই অভিনব শাস্তির সঙ্গে যুক্ত। এই ছাত্রীদের অপরাধ হচ্ছে, তাসলিমা বেগমের মেয়ে নুসরাতের ছবি নাকি তোলা হয়েছিল মোবাইলে। তুলেছে মাদ্রাসারই এক ছাত্রী। নুসরাত সে অভিযোগ করেছে এবং তারপর এই পৈশাচিক কাণ্ডটি ঘটিয়েছে পুরো পরিবার। ১০ ছাত্রীকে মলমূত্র, ড্রেনের পচা পানি এবং হাঁসের মল বালতিতে মিশিয়ে জোর করে খাইয়েছেন তাঁরা। এই নির্যাতনের ফলে অসুস্থ তিন ছাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এই না হলে শিক্ষক! শিক্ষার্থীদের সন্তানের মতো মনে করার এবং তাদের জানার আগ্রহ মেটানোর দায়িত্ব যাঁর, তিনি হাজির হয়েছেন শাস্তিদাতা হিসেবে। কতটা অমানবিক হলে এ রকম কাণ্ড ঘটাতে পারেন একজন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং মাদ্রাসার শিক্ষক, সেটা বলার মতো নয় এবং এই দুষ্কর্মে তাঁরা তাঁদের ছেলে ও মেয়েকেও যুক্ত করেছেন। একটা গোটা পরিবার এ রকম দয়াহীন, অমানবিক কী করে হয়ে উঠতে পারে, সেটা ভাবাও কঠিন।
এ রকম কাণ্ড ঘটানোর পর এই শিক্ষক কি আর শিক্ষক থাকতে পারেন? তাঁর হাতে তো কেউই নিরাপদ নয়। এমনকি তাঁরই যে দুই সন্তান এই নির্যাতনে অংশ নিয়েছে, তারাও তো মানুষের মতো মানুষ হতে পারবে বলে মনে হয় না, কারণ তারা তো আদৌ মনুষ্যত্বের কোনো শিক্ষা পায়নি এই অভিভাবকের কাছ থেকে। শিক্ষালয়ের সঙ্গে আদৌ কি এই শিক্ষক আর যুক্ত থাকতে পারেন?
রসিকতা করে বললে বলতে হয়, এই শিক্ষক নামের কলঙ্ক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও একই উপায়ে মলমূত্র খাইয়ে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু সেটা একই রকম অমানবিক হবে; বরং বলা ভালো, অবশ্যই এই বর্বরোচিত কাণ্ডের বিচার হতে হবে।
বরগুনার তাসলিমা বেগমকে সাধুবাদ জানাব না তাঁর সমালোচনা করব, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রয়েসয়ে। শুরুতে একটু রসিকতা করে নেওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না। দ্রব্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে, তাতে শিক্ষক তাসলিমা বেগম নতুন ধরনের খাবারদাবারে মাদ্রাসার ছাত্রীদের অভ্যস্ত করার চেষ্টা করছেন কি না, সেটা কে জানে। খাসির মাংসের কেজি যদি ১ হাজার ১৫০ টাকা হয়, গরুর মাংসের কেজি যদি ৮০০ টাকা হয়, পেঁয়াজ কিনতে যদি কেজিতে ১১০ টাকা বেরিয়ে যায়, ব্রয়লার মুরগি যদি ২০০ টাকার নিচে না নামে, তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারদাবারে কিংবা খাদ্যাভ্যাসে একটা পরিবর্তন তো আনাই যায়। ‘তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন’ এই শিক্ষক তাসলিমা বেগম এ কারণেই কি উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রীদের মলমূত্র খাইয়েছেন? তিনি কি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অসহায় সরকারকে একটু স্বস্তি দিতে চেয়েছেন?
রসিকতা থাক। বরগুনার আমতলীতে মাদ্রাসার ১০ ছাত্রীকে মারধর করার পর মলমূত্র খাইয়ে নির্যাতন করেছেন উপজেলার মাদানীনগর জামিয়া সাইয়েদা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুর রশিদ, তাঁর স্ত্রী শিক্ষক তাসলিমা বেগম এবং তাঁদের ছেলে তাইয়েবা ও মেয়ে নুসরাত। ভেবে দেখুন, পুরো পরিবার এই অভিনব শাস্তির সঙ্গে যুক্ত। এই ছাত্রীদের অপরাধ হচ্ছে, তাসলিমা বেগমের মেয়ে নুসরাতের ছবি নাকি তোলা হয়েছিল মোবাইলে। তুলেছে মাদ্রাসারই এক ছাত্রী। নুসরাত সে অভিযোগ করেছে এবং তারপর এই পৈশাচিক কাণ্ডটি ঘটিয়েছে পুরো পরিবার। ১০ ছাত্রীকে মলমূত্র, ড্রেনের পচা পানি এবং হাঁসের মল বালতিতে মিশিয়ে জোর করে খাইয়েছেন তাঁরা। এই নির্যাতনের ফলে অসুস্থ তিন ছাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এই না হলে শিক্ষক! শিক্ষার্থীদের সন্তানের মতো মনে করার এবং তাদের জানার আগ্রহ মেটানোর দায়িত্ব যাঁর, তিনি হাজির হয়েছেন শাস্তিদাতা হিসেবে। কতটা অমানবিক হলে এ রকম কাণ্ড ঘটাতে পারেন একজন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং মাদ্রাসার শিক্ষক, সেটা বলার মতো নয় এবং এই দুষ্কর্মে তাঁরা তাঁদের ছেলে ও মেয়েকেও যুক্ত করেছেন। একটা গোটা পরিবার এ রকম দয়াহীন, অমানবিক কী করে হয়ে উঠতে পারে, সেটা ভাবাও কঠিন।
এ রকম কাণ্ড ঘটানোর পর এই শিক্ষক কি আর শিক্ষক থাকতে পারেন? তাঁর হাতে তো কেউই নিরাপদ নয়। এমনকি তাঁরই যে দুই সন্তান এই নির্যাতনে অংশ নিয়েছে, তারাও তো মানুষের মতো মানুষ হতে পারবে বলে মনে হয় না, কারণ তারা তো আদৌ মনুষ্যত্বের কোনো শিক্ষা পায়নি এই অভিভাবকের কাছ থেকে। শিক্ষালয়ের সঙ্গে আদৌ কি এই শিক্ষক আর যুক্ত থাকতে পারেন?
রসিকতা করে বললে বলতে হয়, এই শিক্ষক নামের কলঙ্ক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও একই উপায়ে মলমূত্র খাইয়ে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু সেটা একই রকম অমানবিক হবে; বরং বলা ভালো, অবশ্যই এই বর্বরোচিত কাণ্ডের বিচার হতে হবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫