ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী শহরে গ্যাস-সংকট চরম আকার ধারণ করায় পৌরবাসীকে তীব্র ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কয়েক বছর ফেনীতে গ্যাসসংকট থাকলেও কয়েকদিন ধরে এ সমস্যা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গ্যাসসংকটের কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষেরা পড়েছেন মহাবিপদে। তারা লাইনে সাপ্লাই পাওয়া গ্যাসের পাশাপাশি সিলিন্ডার গ্যাস ক্রয় করায় ভোগান্তির শেষ নেই বলে জানান।
নিম্নবিত্তের বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করে কোনো রকম রান্নাবান্না করতে পারলেও বহুতল ভবন ও দালান ঘরের বাসিন্দারা খড়-লাকড়ি ব্যবহার করতে না পারায় তাদের বাধ্য হয়ে গ্যাস সিলিন্ডার ক্রয় করতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় চাপ কমেছে।
জানা যায়, শহরের মাস্টারপাড়া, উত্তর সহদেবপুর, দক্ষিণ সহদেবপুর, কদল গাজী রোড, একাডেমি, রামপুর, দাউদপুর, আরামবাগ এলাকায় গ্যাসসংকটের পরিমাণ বেশি। প্রতিবছর এসব এলাকায় এ সমস্যা হলেও অন্য বছরের তুলনায় এবার সমস্যা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ‘সকাল ৬টা ৩০ মিনিট থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত পৌর এলাকায় চুলা জ্বলে না। দিনে গ্যাসের প্রেসার না থাকায় গৃহিণীদের গভীর রাতে রান্না করতে হয়। এতে তাদের চরম দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে। তীব্র গ্যাসসংকটের কারণে এসব এলাকার গ্যাস সংযোগ থাকার পরও এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ক্রয় করতে হচ্ছে তাঁদের।
শহরের শান্তিধারা এলাকার গৃহিণী হালিমা বেগম বলেন, ‘রাতের বেলায়ও অনেক সময় চুলায় আগুন মিটমিট করে জ্বলে।’ একই এলাকার গৃহবধূ শাহিনুর ইসলাম জানান, গ্যাস সংযোগ থাকার পরও তাঁরা কয়েক বছর ধরে সিলিন্ডারের গ্যাসই বেশি ব্যবহার করেন। ঠিক সময় খেতে হলে গ্যাস সিলিন্ডারের বিকল্প নেই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল থেকে লালপোল পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন দুটি। দুটির মধ্যে মহিপালের নজির আহম্মদ ফিলিং স্টেশনে গ্যাস পাওয়া গেলেও প্রেসার থাকে অনেক কম। লালপোলের স্টার লাইন সিএনজি ফিলিং স্টেশন প্রায় প্রতিদিন সকাল ৬টা ৩০ মিনিট থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বন্ধই থাকে।
এতে সিএনজিচালিত পরিবহন ব্যবহারকারীরা বিপাকে রয়েছেন।
মহিপালের জসিম নামের এক সিএনজি অটোরিকশাচালক জানান, গেল রোববার তার গাড়িতে সিএনজি শেষ হয়ে যাওয়ায় সোমবার ভোরে অকটেনে গাড়ি চালিয়ে নজির আহম্মদ সিএনজি স্টেশনে যান। গাড়ির বিশাল লাইন দেখে ও প্রেসার কম থাকায় চলে যান লালপোলের স্টার লাইনে।
সেখানে গিয়ে দেখেন সিএনজি স্টেশনটি বন্ধ। আশপাশ এলাকায় আর সিএনজি স্টেশন না থাকায় তিনি বাধ্য হয়ে আবার গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যান পাঁচগাছিয়ার সিএনজি স্টেশনে। সেখানে যাওয়ার আগে অকটেনও শেষ হয়ে যাওয়ায় লোক দিয়ে গাড়ি ধাক্কা দিয়ে তাকে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে যেতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাখরাবাদ গ্যাস ফেনী শাখার ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) বাপ্পি শাহরিয়ার বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির সংকট রয়েছে। বিদ্যুতের জ্বালানি হিসেবে বর্তমানে গ্যাসের ওপর চাপ বেড়েছে। এ মুহূর্তে বিটিসিএল আবাসিক এলাকায় গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস সরবরাহ একটু বেশি করছে। এ কারণে গ্যাসসংকট রয়েছে।’
ফেনী শহরে গ্যাস-সংকট চরম আকার ধারণ করায় পৌরবাসীকে তীব্র ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কয়েক বছর ফেনীতে গ্যাসসংকট থাকলেও কয়েকদিন ধরে এ সমস্যা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গ্যাসসংকটের কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষেরা পড়েছেন মহাবিপদে। তারা লাইনে সাপ্লাই পাওয়া গ্যাসের পাশাপাশি সিলিন্ডার গ্যাস ক্রয় করায় ভোগান্তির শেষ নেই বলে জানান।
নিম্নবিত্তের বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করে কোনো রকম রান্নাবান্না করতে পারলেও বহুতল ভবন ও দালান ঘরের বাসিন্দারা খড়-লাকড়ি ব্যবহার করতে না পারায় তাদের বাধ্য হয়ে গ্যাস সিলিন্ডার ক্রয় করতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় চাপ কমেছে।
জানা যায়, শহরের মাস্টারপাড়া, উত্তর সহদেবপুর, দক্ষিণ সহদেবপুর, কদল গাজী রোড, একাডেমি, রামপুর, দাউদপুর, আরামবাগ এলাকায় গ্যাসসংকটের পরিমাণ বেশি। প্রতিবছর এসব এলাকায় এ সমস্যা হলেও অন্য বছরের তুলনায় এবার সমস্যা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ‘সকাল ৬টা ৩০ মিনিট থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত পৌর এলাকায় চুলা জ্বলে না। দিনে গ্যাসের প্রেসার না থাকায় গৃহিণীদের গভীর রাতে রান্না করতে হয়। এতে তাদের চরম দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে। তীব্র গ্যাসসংকটের কারণে এসব এলাকার গ্যাস সংযোগ থাকার পরও এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ক্রয় করতে হচ্ছে তাঁদের।
শহরের শান্তিধারা এলাকার গৃহিণী হালিমা বেগম বলেন, ‘রাতের বেলায়ও অনেক সময় চুলায় আগুন মিটমিট করে জ্বলে।’ একই এলাকার গৃহবধূ শাহিনুর ইসলাম জানান, গ্যাস সংযোগ থাকার পরও তাঁরা কয়েক বছর ধরে সিলিন্ডারের গ্যাসই বেশি ব্যবহার করেন। ঠিক সময় খেতে হলে গ্যাস সিলিন্ডারের বিকল্প নেই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল থেকে লালপোল পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন দুটি। দুটির মধ্যে মহিপালের নজির আহম্মদ ফিলিং স্টেশনে গ্যাস পাওয়া গেলেও প্রেসার থাকে অনেক কম। লালপোলের স্টার লাইন সিএনজি ফিলিং স্টেশন প্রায় প্রতিদিন সকাল ৬টা ৩০ মিনিট থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বন্ধই থাকে।
এতে সিএনজিচালিত পরিবহন ব্যবহারকারীরা বিপাকে রয়েছেন।
মহিপালের জসিম নামের এক সিএনজি অটোরিকশাচালক জানান, গেল রোববার তার গাড়িতে সিএনজি শেষ হয়ে যাওয়ায় সোমবার ভোরে অকটেনে গাড়ি চালিয়ে নজির আহম্মদ সিএনজি স্টেশনে যান। গাড়ির বিশাল লাইন দেখে ও প্রেসার কম থাকায় চলে যান লালপোলের স্টার লাইনে।
সেখানে গিয়ে দেখেন সিএনজি স্টেশনটি বন্ধ। আশপাশ এলাকায় আর সিএনজি স্টেশন না থাকায় তিনি বাধ্য হয়ে আবার গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যান পাঁচগাছিয়ার সিএনজি স্টেশনে। সেখানে যাওয়ার আগে অকটেনও শেষ হয়ে যাওয়ায় লোক দিয়ে গাড়ি ধাক্কা দিয়ে তাকে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে যেতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাখরাবাদ গ্যাস ফেনী শাখার ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) বাপ্পি শাহরিয়ার বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির সংকট রয়েছে। বিদ্যুতের জ্বালানি হিসেবে বর্তমানে গ্যাসের ওপর চাপ বেড়েছে। এ মুহূর্তে বিটিসিএল আবাসিক এলাকায় গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস সরবরাহ একটু বেশি করছে। এ কারণে গ্যাসসংকট রয়েছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪