Ajker Patrika

নলকূপে উঠছে না পানি কষ্টে হাজারো মানুষ

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, ১৫: ৪০
নলকূপে উঠছে না পানি কষ্টে হাজারো মানুষ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় গ্রামাঞ্চলের নলকূপগুলো থেকে পানি উঠছে না। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞেরা। বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার হাজারো মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য অপরিকল্পিতভাবে অসংখ্য সেচযন্ত্র গড়ে উঠেছে। এসব সেচযন্ত্রের পানি কৃষিকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ভূগর্ভস্থ থেকে। ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সাধারণ নলকূপে পানি উঠছে না। এতে এলাকার হাজারো মানুষ খাবার পানির কষ্টে ভুগছেন।

দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা মুহাম্মদ তৌহিদুল আলম বলেন, ‘কৃষিকাজে ব্যবহৃত এসব সেচযন্ত্রের কারণে আমাদের বাড়ির নলকূপসহ এলাকার কোথাও কোনো নলকূপ থেকে পানি উঠছে না। এ ছাড়া পানি তোলার পাম্পেও কোনো পানি উঠছে না। ফলে আমাদের নিত্যব্যবহারে পানির অভাব মারাত্মকভাবে দেখা দিয়েছে। দিনের বেশির ভাগ সময় দূর-দূরান্তের পুকুর থেকে পানি এনে গৃহস্থালির কাজ সারা হচ্ছে।’

আজিমনগর গ্রামের গৃহিণী সাকি আকতার বলেন, ‘এলাকার কয়েকটি সেচযন্ত্রের যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে আমাদের এলাকার কোথার নলকূপের পানি উঠছে না। বিষয়টি এলাকার জনপ্রতিনিধিদের একাধিকবার বলা হলেও তারা কাজের কাজ কিছুই করছেন না। অবিলম্বে সেচযন্ত্রগুলো বন্ধসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি করছি।’

এসব ব্যাপারে রোসাংগিরি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম শোয়েব আল ছালেহীন বলেন, ‘এলাকার সেচযন্ত্রগুলোকে রাতের বেলায় চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা মানছেন না। ফলে এলাকার অনেক নলকূপে পানি উঠছে না। এমতাবস্থায় এলাকার লোকজন পানির কষ্টে ভুগছেন।’

সূত্র জানায়, উপজেলার এসব এলাকায় যত্রতত্র সেচযন্ত্র চালানোর ফলে বর্তমান শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যাওয়ায় শতকরা নব্বই ভাগ নলকূপেই পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক স্থাপিত নলকূপগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশই দীর্ঘদিন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। জনস্বাস্থ্য বিভাগ এসব অকেজো নলকূপ মেরামত বা সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী প্রণবেশ মহাজন বলেন, ‘অকেজো এসব নলকূপ মেরামতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উপজেলার যেসব অঞ্চলে পানির সংকট দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে উত্তর রোসাংগিরি এবং আজিমনগরে স্থাপিত সেচযন্ত্রগুলো তাদের রাতের বেলায় চালাতে লিখিতভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা এসব চালাচ্ছেন। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিনুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেচযন্ত্রের কারণে এলাকার বিভিন্ন স্থানে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। সেচযন্ত্রের কারণে মানুষ কষ্ট পেতে পারে না। এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যানদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর যদি সেচযন্ত্রগুলো দিনের বেলায় চালানো হয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত