Ajker Patrika

অতিরিক্ত মুনাফার লোভে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ে না

বরগুনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ০৪
অতিরিক্ত মুনাফার লোভে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ে না

বরগুনা-ঢাকা নৌরুটে রোটেশন পদ্ধতিতে মোট ছয়টি লঞ্চ চলাচল করে। প্রতিদিন উভয় প্রান্ত থেকে দুটি লঞ্চ যাতায়াত করে। যাত্রী ও পরিবহনসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, অতিরিক্ত মুনাফার লোভে যাত্রীদের চাপ থাকলেও সিন্ডিকেট করে রোটেশন পদ্ধতিতে তিনটি কোম্পানি লঞ্চ পরিচালনা করে। প্রায় প্রতিদিনই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বরগুনা থেকে ঢাকা যাতায়াত করে এসব লঞ্চ।

বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল কার্যালয়ের তথ্যমতে ঢাকা-বরগুনা নৌরুটে বর্তমানে ছয়টি লঞ্চের রুট পারমিট রয়েছে। মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির এমভি অভিযান-১০ ছাড়া বাকি লঞ্চগুলো হচ্ছে মেসার্স খান ট্রেডার্স ও মেসার্স সুরভী পরিবহনের যৌথ মালিকানায় রাজারহাট-বি, পূবালী-১, শাহরুখ-২ ও রাজহংস-৮, এমভি ফারহান-৮। এমভি ফারহান-৮ লঞ্চের মালিক জাতীয় পার্টির সাংসদ গোলাম কিবরিয়া।

যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং অধিক মুনাফার জন্য মালিকেরা রোটেশন পদ্ধতিতে লঞ্চ পরিচালনা করেন। এ পদ্ধতির কারণে যাত্রীর চাপ থাকলেও প্রতিদিন উভয় প্রান্ত থেকে মাত্র দুটি লঞ্চ চালানো হয়। এ ছাড়া এসব লঞ্চের যাত্রীসেবার মান ও নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। বরগুনা-ঢাকা নৌরুটে নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রী ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আবু তাহের বলেন, বরগুনা-ঢাকা নৌরুটে এমন দিন নেই যে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করে না। প্রতিদিনই এসব লঞ্চ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। ডেক ও ছাদ বোঝাই এমনকি দোতালা ও তিনতলার কেবিনের সামনের ফাঁকা জায়গায়ও বিছানা পেতে মানুষ যেতে বাধ্য হন।

বরগুনা জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, ‘বরগুনা-ঢাকা নৌরুটে যত যাত্রী চলাচল করেন, এতে নিয়মিত তিনটি লঞ্চ চলাচল করতে পারে। এর আগে লক্কড়ঝক্কড় একটি কখনো বা দুটি লঞ্চ চলাচল করত। আমরা আন্দোলন করে বড় লঞ্চ এনেছিলাম। কিন্তু এখনো অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। এই রুটে নিজেদের ইচ্ছেমতো মালিকেরা লঞ্চ পরিচালনা করেন। যাত্রীসেবা বা নিরাপত্তা নিয়ে তাঁদের কখনোই কোনো ভাবনা ছিল না। আমরা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।’

বরগুনা জেলা যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সোহেল হাফিজ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি সেবার মান ও লঞ্চ বাড়ানোর জন্য। কিন্তু কিছুতেই সেটি সম্ভব হয়নি। আমাদের দাবি, বরগুনা-ঢাকা নৌরুটে আরও লঞ্চ বাড়ানো হোক এবং সিন্ডিকেট ভেঙে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করা হোক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত