মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের সাগর উপকূলে আশির দশকে জেগে ওঠে শত শত একর চর। চরের এসব লোনা মাটির জমিতে একফসলি ধান আর ডাল চাষ করতেন কৃষকেরা। প্রথমবারের মতো এবার এসব জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এখন তরমুজখেতের সবুজ মাঠ। তরমুজ চাষের ভালো ফলনে চাষিরাও খুশি।
জানা গেছে, অধিকাংশ জমি খালি পড়ে থাকলেও চলতি বছর নোয়াখালী জেলার সোনাগাজী এবং সুবর্ণচর উপজেলার ১৫ জন শৌখিন তরমুজচাষি প্রথম চাষ শুরু করেছেন। এখন অধিকাংশ গাছে তরমুজের ফুল।
নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর তোতারবাজার চর ভাটা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম জানান, ১২ বছর ধরে বিভিন্ন উপজেলায় তিন মাসি ফসল তরমুজ চাষ করছেন। প্রথম যাত্রা শুরু করেন সুবর্ণচর থেকে। এরপর দুই বছর সোনাগাজী চাষ করেন। এবার প্রথম বাণিজ্যিকভাবে মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী এলাকায় ১৪৪ একর জমিতে চাষ করেছেন। তারা তিন মাসের জন্য বিভিন্ন মালিক থেকে জমি ইজারা নেন। ৯০ দিনের মধ্যে ফসল বিক্রি শেষ হলে জমির মালিক জমি বুঝিয়ে দেন। আবার পরের বছর নতুন করে লিজ নিয়ে চাষ করেন।
উদ্যোক্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, জানুয়ারি মাসে জমি তৈরি করে বীজ রোপণ করা শুরু হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে ৭০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তরমুজের ফসল তোলা শেষ হয়। প্রতি একরে খরচ হয় প্রায় ১ লাখ টাকা। ফসলের জন্য উপযুক্ত মাটি, পানি, আবহাওয়া, সঠিকভাবে পরিচর্যা পেলে ২ থেকে তিন লাখ টাকা ফসল বিক্রি হয়। এখানের সবকিছু তরমুজ চাষের উপযোগী। আশা করা হচ্ছে ফলনও ভালো হবে। আগামী এপ্রিল মাসের শুরুতে তরমুজ তোলা শুরু হবে। রমজান মাসজুড়ে মিরসরাইয়ের বাজারে তরমুজ পাওয়া যাবে।
সম্প্রতি পূর্ব ইছাখাল গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সবুজ লতার সমারোহ। তরমুজগাছে ফুল আরও মুকুলে সয়লাব।
তরমুজচাষি মো. মুজাব্বির বলেন, তাঁরা ১৫ জন নোয়াখালীর মাইজদী কৃষি অফিস থেকে তরমুজ চাষের প্রশিক্ষণ নেন। এরপর বিগত কয়েক বছর নিজ উপজেলা সুবর্ণচরে তরমুজ চাষ করে সফল হন। মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী, মিঠানালা ও কাটাছরা ইউনিয়নের চরের মাটি ও আবহাওয়া তরমুজ চাষের উপযোগী হওয়ায় তাঁরা এখানে বাণিজ্যিকভাবে চাষের উদ্যোগ নেন। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় কৃষকদের থেকে জমি বর্গা নিয়ে চীন, আমেরিকা ও বাংলাদেশি ৮ প্রজাতির তরমুজ চাষ করেন। ১৪৪ একর জমিতে তাদের অধীনে শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, ‘খেতে জৈব সার ব্যবহার ও রোগ প্রতিরোধের জন্য চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। আবহাওয়া উপযোগী থাকলে ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা বলেন, ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে খালি জমি পড়ে থাকত। এ বছর সুবর্ণচর এলাকার কয়েকজন উদ্যোক্তা সেই জমিতে তরমুজ চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। আগামী বছর থেকে ব্যাপকভাবে তরমুজ চাষ করা সম্ভব। প্রশিক্ষণ পেলে মিরসরাইয়ের বিভিন্ন গ্রামে তরমুজ চাষ করা সম্ভব হবে।
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের সাগর উপকূলে আশির দশকে জেগে ওঠে শত শত একর চর। চরের এসব লোনা মাটির জমিতে একফসলি ধান আর ডাল চাষ করতেন কৃষকেরা। প্রথমবারের মতো এবার এসব জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এখন তরমুজখেতের সবুজ মাঠ। তরমুজ চাষের ভালো ফলনে চাষিরাও খুশি।
জানা গেছে, অধিকাংশ জমি খালি পড়ে থাকলেও চলতি বছর নোয়াখালী জেলার সোনাগাজী এবং সুবর্ণচর উপজেলার ১৫ জন শৌখিন তরমুজচাষি প্রথম চাষ শুরু করেছেন। এখন অধিকাংশ গাছে তরমুজের ফুল।
নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর তোতারবাজার চর ভাটা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম জানান, ১২ বছর ধরে বিভিন্ন উপজেলায় তিন মাসি ফসল তরমুজ চাষ করছেন। প্রথম যাত্রা শুরু করেন সুবর্ণচর থেকে। এরপর দুই বছর সোনাগাজী চাষ করেন। এবার প্রথম বাণিজ্যিকভাবে মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী এলাকায় ১৪৪ একর জমিতে চাষ করেছেন। তারা তিন মাসের জন্য বিভিন্ন মালিক থেকে জমি ইজারা নেন। ৯০ দিনের মধ্যে ফসল বিক্রি শেষ হলে জমির মালিক জমি বুঝিয়ে দেন। আবার পরের বছর নতুন করে লিজ নিয়ে চাষ করেন।
উদ্যোক্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, জানুয়ারি মাসে জমি তৈরি করে বীজ রোপণ করা শুরু হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে ৭০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তরমুজের ফসল তোলা শেষ হয়। প্রতি একরে খরচ হয় প্রায় ১ লাখ টাকা। ফসলের জন্য উপযুক্ত মাটি, পানি, আবহাওয়া, সঠিকভাবে পরিচর্যা পেলে ২ থেকে তিন লাখ টাকা ফসল বিক্রি হয়। এখানের সবকিছু তরমুজ চাষের উপযোগী। আশা করা হচ্ছে ফলনও ভালো হবে। আগামী এপ্রিল মাসের শুরুতে তরমুজ তোলা শুরু হবে। রমজান মাসজুড়ে মিরসরাইয়ের বাজারে তরমুজ পাওয়া যাবে।
সম্প্রতি পূর্ব ইছাখাল গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সবুজ লতার সমারোহ। তরমুজগাছে ফুল আরও মুকুলে সয়লাব।
তরমুজচাষি মো. মুজাব্বির বলেন, তাঁরা ১৫ জন নোয়াখালীর মাইজদী কৃষি অফিস থেকে তরমুজ চাষের প্রশিক্ষণ নেন। এরপর বিগত কয়েক বছর নিজ উপজেলা সুবর্ণচরে তরমুজ চাষ করে সফল হন। মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী, মিঠানালা ও কাটাছরা ইউনিয়নের চরের মাটি ও আবহাওয়া তরমুজ চাষের উপযোগী হওয়ায় তাঁরা এখানে বাণিজ্যিকভাবে চাষের উদ্যোগ নেন। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় কৃষকদের থেকে জমি বর্গা নিয়ে চীন, আমেরিকা ও বাংলাদেশি ৮ প্রজাতির তরমুজ চাষ করেন। ১৪৪ একর জমিতে তাদের অধীনে শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, ‘খেতে জৈব সার ব্যবহার ও রোগ প্রতিরোধের জন্য চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। আবহাওয়া উপযোগী থাকলে ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা বলেন, ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে খালি জমি পড়ে থাকত। এ বছর সুবর্ণচর এলাকার কয়েকজন উদ্যোক্তা সেই জমিতে তরমুজ চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। আগামী বছর থেকে ব্যাপকভাবে তরমুজ চাষ করা সম্ভব। প্রশিক্ষণ পেলে মিরসরাইয়ের বিভিন্ন গ্রামে তরমুজ চাষ করা সম্ভব হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪