শিহাব আহমেদ
মেঘের নৌকার পর সুরমা সুরমা গানটিও প্রশংসিত হয়েছে। কেমন লাগছে?
মানুষের ভালোবাসা অকৃত্রিম। এটি কেউ বলেকয়ে নিতে পারে না। পরপর দুটি গানে সাড়া পাওয়াটা আনন্দের। চলচ্চিত্রের মতো বড় একটি মাধ্যমে দর্শকের ভালোবাসা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই গান দুটি গেয়ে ভিডিও আপলোড করছেন। বিষয়টি কেমন উপভোগ করছেন?
ভীষণ উপভোগ করছি। টিকটক, লাইকি, রিলস—সব জায়গাতেই মানুষ ভিডিও আপলোড দিচ্ছে। গান দুটি সারা দেশের মানুষকে কানেক্ট করতে পেরেছে, এটাই তার প্রমাণ। কয়েক দিন আগে আমার আম্মার সঙ্গে মার্কেটে গিয়েছিলাম। দেখলাম এক দোকানি কাপড় ভাঁজ করছে আর সুরমা সুরমা গানটি শুনছেন। এর মানে গানটা ছড়াচ্ছে। আমার মনে হয় গান ছড়ানো উচিত।
দুটি গানেই অভিনয়ে ছিলেন শবনম বুবলী। অনেকেই বলছেন, বুবলীর ঠোঁটে আপনার গান অনেকটাই মিলে যায়। এ বিষয়ে আপনার কী মন্তব্য?
যখন কোনো নায়িকার জন্য গাই, আর দর্শকের যদি মনে হয় গানটি নায়িকা গাইছেন, সেটাই তো সাফল্য। চলচ্চিত্র নির্মাতা, সংগীত পরিচালকেরা তো আমার কাছে সেটাই চান।
প্রশংসিত দুটি গানেই আপনার সহশিল্পী ইমরান। তাঁর সঙ্গে গান করার অভিজ্ঞতা কেমন?
আমরা দুজনেই এক প্ল্যাটফর্ম থেকে উঠে এসেছি। আমাদের বন্ধুত্বটাও অনেক দিনের। একসঙ্গে অনেক গান গেয়েছি। ২০১৯ সালে আমি যে গান দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলাম, সেখানেও আমার সহশিল্পী ছিল ইমরান। ওর সঙ্গে গান করার অভিজ্ঞতা সব সময় ভালো। দীর্ঘদিনের বোঝাপড়ার কারণে একসঙ্গে গান গাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।
যখন আপনি প্লেব্যাক করেন তখন আলাদা কোনো প্রস্তুতি নেন?
গানটি যে মাধ্যমের জন্যই গাই না কেন, সেখানে যদি অন্য কেউ ঠোঁট মেলায় তখন আলাদা প্রস্তুতি নিতেই হয়। আমি কার জন্য গাইছি, গানটি কীভাবে দৃশ্য ধারণ করা হবে—সবকিছুই চিন্তার মধ্যে থাকতে হয়। যেমন রোজার সময় পড়শীর জন্য একটি গান গেয়েছি। সেখানে কিন্তু আমাকে পড়শীর মতো করে গাইতে হয়েছে। পড়শী কীভাবে কথা বলে, গান গায় সেদিকে খেয়াল রেখেই গাইতে হয়েছে। যখন গানটি রেকর্ড হচ্ছিল তখন একটি জায়গায় সংগীত পরিচালককে বলছিলাম এখানে আরেকটু আদর মেখে গাই, কারণ পড়শী তো সব সময় আদর মেখে কথা বলে। আমাকে মাথায় রাখতেই হবে আমি কার জন্য গানটি গাইছি। আর সিনেমা তো সবচেয়ে বড় মাধ্যম। সব সময় জেনে নিই আমি কার জন্য গানটি গাইছি। যখন নিজের সিঙ্গেল গান রেকর্ড করি, আমার গানে অন্য কেউ ঠোঁট মেলাচ্ছে না, তখন আমার স্বাধীনতা।
রেকর্ডিং নাকি স্টেজ শো, কোথায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
কঠিন প্রশ্ন। দুটিই আমার ভালো লাগার জায়গা। রেকর্ডিংয়ের সময় চ্যালেঞ্জ থাকে গানটা কতটা মৌলিকভাবে সুন্দর করে শ্রোতাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারি, যেন গানটা শ্রোতার মনে গেঁথে থাকে। আবার স্টেজে যতটুকু সময় থাকি, সে সময়ের মধ্যে দর্শকের ভালোবাসা নিয়ে আসতে হবে, আবার দিয়েও আসতে হবে। দুটিই চ্যালেঞ্জিং। তবে আমার কাছে স্টেজ শো বেশি ভালো লাগে। সেখানে দর্শকের ভালোবাসা সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়। গাড়ি থেকে নেমে স্টেজে ওঠা আবার স্টেজ থেকে নামা পর্যন্ত দর্শকের যে ভালোবাসা পাওয়া যায়, সেটা আমি খুব উপভোগ করি।
সম্প্রতি আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। গান ও পড়ালেখা দুটি বিষয় কীভাবে মেইনটেইন করেছেন?
গানের পাশাপাশি নয়, আমি পড়ালেখার পাশাপাশি গান করেছি। এর মাঝে আমার বাবা মারা গেছেন। একসময় মা-বাবা দুজনেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে বসেও পড়ালেখা করেছি, ক্লাস করেছি। পড়ালেখার বিষয়ে আমি অনেক সিরিয়াস। বিন্দুমাত্র ছাড় দিইনি। আমার একটা লক্ষ্য ছিল। পড়াশোনার জন্য অনেক রেকর্ডিং, স্টেজ শো ছেড়ে দিয়েছি। আমি মনে করি, যদি আমার কিছু প্রতিকূলতা না থাকত, তাহলে আরও ভালো করতে পারতাম।
পড়ালেখা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
বাবা-মায়ের স্বপ্ন আমি ডক্টরেট হই। আমি নিজেও আরও জানতে চাই। সেই চাওয়াটা পূরণ করতে যা যা করতে হবে, সেটা করতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল করার প্রসেস চলছে। এরপর পিএইচডি করব। আমি আমার লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যেতে চাই। আমি কখনোই তাড়াহুড়ো করি না।
বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
বেশ কিছু সিনেমার গান করেছি। এর মধ্যে রয়েছে অপু বিশ্বাস প্রযোজিত প্রথম সিনেমা লাল শাড়ির টাইটেল গান। এতে আমার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন কিশোর দাস। সিনেমায় বিয়ের গান এই প্রথম গাইলাম। বিয়ে নিয়ে ভীষণ মায়া মাখা গান। ইমন সাহার সুর ও সংগীতে হৃদয় স্পর্শ করার গান। এ ছাড়া নাটক ও ওয়েব সিরিজের জন্য গান গেয়েছি। সেগুলোও প্রকাশ পাবে। আমার নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য কিছু গান করা আছে। আগামীকাল (আজ) একটি গানের মিউজিক ভিডিওর শুট করব।
মেঘের নৌকার পর সুরমা সুরমা গানটিও প্রশংসিত হয়েছে। কেমন লাগছে?
মানুষের ভালোবাসা অকৃত্রিম। এটি কেউ বলেকয়ে নিতে পারে না। পরপর দুটি গানে সাড়া পাওয়াটা আনন্দের। চলচ্চিত্রের মতো বড় একটি মাধ্যমে দর্শকের ভালোবাসা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই গান দুটি গেয়ে ভিডিও আপলোড করছেন। বিষয়টি কেমন উপভোগ করছেন?
ভীষণ উপভোগ করছি। টিকটক, লাইকি, রিলস—সব জায়গাতেই মানুষ ভিডিও আপলোড দিচ্ছে। গান দুটি সারা দেশের মানুষকে কানেক্ট করতে পেরেছে, এটাই তার প্রমাণ। কয়েক দিন আগে আমার আম্মার সঙ্গে মার্কেটে গিয়েছিলাম। দেখলাম এক দোকানি কাপড় ভাঁজ করছে আর সুরমা সুরমা গানটি শুনছেন। এর মানে গানটা ছড়াচ্ছে। আমার মনে হয় গান ছড়ানো উচিত।
দুটি গানেই অভিনয়ে ছিলেন শবনম বুবলী। অনেকেই বলছেন, বুবলীর ঠোঁটে আপনার গান অনেকটাই মিলে যায়। এ বিষয়ে আপনার কী মন্তব্য?
যখন কোনো নায়িকার জন্য গাই, আর দর্শকের যদি মনে হয় গানটি নায়িকা গাইছেন, সেটাই তো সাফল্য। চলচ্চিত্র নির্মাতা, সংগীত পরিচালকেরা তো আমার কাছে সেটাই চান।
প্রশংসিত দুটি গানেই আপনার সহশিল্পী ইমরান। তাঁর সঙ্গে গান করার অভিজ্ঞতা কেমন?
আমরা দুজনেই এক প্ল্যাটফর্ম থেকে উঠে এসেছি। আমাদের বন্ধুত্বটাও অনেক দিনের। একসঙ্গে অনেক গান গেয়েছি। ২০১৯ সালে আমি যে গান দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলাম, সেখানেও আমার সহশিল্পী ছিল ইমরান। ওর সঙ্গে গান করার অভিজ্ঞতা সব সময় ভালো। দীর্ঘদিনের বোঝাপড়ার কারণে একসঙ্গে গান গাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।
যখন আপনি প্লেব্যাক করেন তখন আলাদা কোনো প্রস্তুতি নেন?
গানটি যে মাধ্যমের জন্যই গাই না কেন, সেখানে যদি অন্য কেউ ঠোঁট মেলায় তখন আলাদা প্রস্তুতি নিতেই হয়। আমি কার জন্য গাইছি, গানটি কীভাবে দৃশ্য ধারণ করা হবে—সবকিছুই চিন্তার মধ্যে থাকতে হয়। যেমন রোজার সময় পড়শীর জন্য একটি গান গেয়েছি। সেখানে কিন্তু আমাকে পড়শীর মতো করে গাইতে হয়েছে। পড়শী কীভাবে কথা বলে, গান গায় সেদিকে খেয়াল রেখেই গাইতে হয়েছে। যখন গানটি রেকর্ড হচ্ছিল তখন একটি জায়গায় সংগীত পরিচালককে বলছিলাম এখানে আরেকটু আদর মেখে গাই, কারণ পড়শী তো সব সময় আদর মেখে কথা বলে। আমাকে মাথায় রাখতেই হবে আমি কার জন্য গানটি গাইছি। আর সিনেমা তো সবচেয়ে বড় মাধ্যম। সব সময় জেনে নিই আমি কার জন্য গানটি গাইছি। যখন নিজের সিঙ্গেল গান রেকর্ড করি, আমার গানে অন্য কেউ ঠোঁট মেলাচ্ছে না, তখন আমার স্বাধীনতা।
রেকর্ডিং নাকি স্টেজ শো, কোথায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
কঠিন প্রশ্ন। দুটিই আমার ভালো লাগার জায়গা। রেকর্ডিংয়ের সময় চ্যালেঞ্জ থাকে গানটা কতটা মৌলিকভাবে সুন্দর করে শ্রোতাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারি, যেন গানটা শ্রোতার মনে গেঁথে থাকে। আবার স্টেজে যতটুকু সময় থাকি, সে সময়ের মধ্যে দর্শকের ভালোবাসা নিয়ে আসতে হবে, আবার দিয়েও আসতে হবে। দুটিই চ্যালেঞ্জিং। তবে আমার কাছে স্টেজ শো বেশি ভালো লাগে। সেখানে দর্শকের ভালোবাসা সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়। গাড়ি থেকে নেমে স্টেজে ওঠা আবার স্টেজ থেকে নামা পর্যন্ত দর্শকের যে ভালোবাসা পাওয়া যায়, সেটা আমি খুব উপভোগ করি।
সম্প্রতি আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। গান ও পড়ালেখা দুটি বিষয় কীভাবে মেইনটেইন করেছেন?
গানের পাশাপাশি নয়, আমি পড়ালেখার পাশাপাশি গান করেছি। এর মাঝে আমার বাবা মারা গেছেন। একসময় মা-বাবা দুজনেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে বসেও পড়ালেখা করেছি, ক্লাস করেছি। পড়ালেখার বিষয়ে আমি অনেক সিরিয়াস। বিন্দুমাত্র ছাড় দিইনি। আমার একটা লক্ষ্য ছিল। পড়াশোনার জন্য অনেক রেকর্ডিং, স্টেজ শো ছেড়ে দিয়েছি। আমি মনে করি, যদি আমার কিছু প্রতিকূলতা না থাকত, তাহলে আরও ভালো করতে পারতাম।
পড়ালেখা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
বাবা-মায়ের স্বপ্ন আমি ডক্টরেট হই। আমি নিজেও আরও জানতে চাই। সেই চাওয়াটা পূরণ করতে যা যা করতে হবে, সেটা করতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল করার প্রসেস চলছে। এরপর পিএইচডি করব। আমি আমার লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যেতে চাই। আমি কখনোই তাড়াহুড়ো করি না।
বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
বেশ কিছু সিনেমার গান করেছি। এর মধ্যে রয়েছে অপু বিশ্বাস প্রযোজিত প্রথম সিনেমা লাল শাড়ির টাইটেল গান। এতে আমার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন কিশোর দাস। সিনেমায় বিয়ের গান এই প্রথম গাইলাম। বিয়ে নিয়ে ভীষণ মায়া মাখা গান। ইমন সাহার সুর ও সংগীতে হৃদয় স্পর্শ করার গান। এ ছাড়া নাটক ও ওয়েব সিরিজের জন্য গান গেয়েছি। সেগুলোও প্রকাশ পাবে। আমার নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য কিছু গান করা আছে। আগামীকাল (আজ) একটি গানের মিউজিক ভিডিওর শুট করব।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫