Ajker Patrika

স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ঝুলে থাকায় ক্ষোভ-অসন্তোষ

মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ০৬
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ঝুলে থাকায় ক্ষোভ-অসন্তোষ

মেয়াদোত্তীর্ণের এক যুগ পার হলেও নানা জটিলতায় নতুন কমিটি হচ্ছে না মানিকগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের। সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ চান ছাত্রলীগের হাফ ডজনের বেশি সাবেক নেতা। এ জন্য কমিটি দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের।

পদপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, সব প্রস্তুতি থাকার পরও অজ্ঞাত কারণে কমিটি ঘোষণা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সংসদ। দীর্ঘদিন কমিটি ঝুলে থাকায় তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি পালনে তাঁদের মধ্যে অনীহা দেখা যাচ্ছে।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন জেলা যুবলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক খান তুষার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা সেলিম পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী রানা, সাদিকুল ইসলাম সোহা, সাধারণ সম্পাদক মহিদুজ্জামান মহিদ, এনামুল হক রুবেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইনামুল ইসলাম সাকিব।

মানিকগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে কাউন্সিলের মাধ্যমে লিয়াকত আলী ভান্ডারিকে সভাপতি ও হাবিবুর রহমান সেন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর তিন বছর মেয়াদি ওই কমিটি সিলেকশনের মাধ্যমে চলতে থাকে। এ সময়ের মধ্যে কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সেন্টু মারা যান। অসুস্থ হয়ে পড়েন সভাপতি লিয়াকত আলী ভান্ডারি। ২০২১ সালের ২৯ মে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদপ্রত্যাশী বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই দফায় কমিটি ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা ঘোষিত হয়নি। এরপর শোকের মাস আগস্ট শুরু হওয়ায় সেপ্টেম্বর মাসে কমিটি ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল। তবে অক্টোবর চলে যাওয়ার পর নভেম্বরের অর্ধেক চলে গেলেও কমিটি দেওয়া হয়নি।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক খান তুষার বলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি দেওয়ার জন্য গোপনে তাঁরা সার্ভে করছেন। খুব শিগগিরই নতুন কমিটি পাওয়া যাবে।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী রানা বলেন, ‘আগে থেকে যাঁরা ছাত্রলীগ করেছেন, তাঁরাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃত্ব দিয়েছেন। আশা করি, আমাদের জেলা কমিটি এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে।’

অপর সভাপতি প্রার্থী সাদিকুল ইসলাম সোহা বলেন, ‘যোগ্য ও সাংগঠনিক ছাত্রনেতাদের দিয়ে কমিটি দিলে সেই কমিটি শক্তিশালী হয়। অযোগ্য ও নানা অভিযোগে অভিযুক্তদের দিয়ে কমিটি দিলে, সেই কমিটি বিতর্কিত হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বুঝেশুনে এমন এক কমিটি দেবেন, যে কমিটি নিয়ে কোনো বিতর্ক হবে না।’

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী আবুল বাশার বলেন, ‘জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি যাকে দিয়ে করা হবে, আমি তাঁর সঙ্গে থেকে কাজ করব।’

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, শুধু স্বেচ্ছাসেবক লীগ নয়, যেকোনো সংগঠনের কমিটি না থাকলে তার কার্যক্রম ব্যাহত হয়। দলীয় কর্মসূচি পালনে নেতা-কর্মীদের মধ্যে অনীহা দেখা দেয়। যত দ্রুত সম্ভব সবার সঙ্গে সমন্বয় করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, মানিকগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। চলতি বছরের যেকোনো সময় নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করা হবে। সবার সমন্বয়ে এমন এক কমিটি দেওয়া হবে, যা নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে আলোচিত কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

নিজ কার্যালয়ে র‍্যাব কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ লাশ, পাশে চিরকুট

আকাশ প্রতিরক্ষায় কে এগিয়ে, পাকিস্তান কি ভারতের আক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত