Ajker Patrika

ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ২০
ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এই দিনে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূল। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বুঝতে না পারার খেসারত হিসেবে দিতে হয়েছে লাখ লাখ নিরক্ষর মানুষের প্রাণ। ভেসে যায় গবাদিপশু, হাঁস–মুরগি আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসল এবং অসংখ্য গাছপালা ও পশু-পাখি।

এতে পটুয়াখালী জেলায় কত মানুষ মারা গিয়েছিলেন তার সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে, ধারণা করা হচ্ছে প্রলয়ংকরী ওই ঘূর্ণিঝড়ে জেলায় অন্তত ৩ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। এই দিনটি উপকূলবাসী আজও ভুলতে পারেনি। তবে এখনো ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত বোঝেন না তাঁরা।

১৯৭০ সালের ৮ নভেম্বর, দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টির কারণে ১২ নভেম্বর সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বিকেলের দিকে বাতাসের গতি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র রুদ্রমূর্তি ধারণ করে। ৭–৮ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায় পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ, বাউফল, দুমকি ও সদর উপজেলাসহ উপকূলীয় বিস্তীর্ণ জনপদ।

রাতের দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রচার করতে থাকে ‘১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ২০–২৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।’ কিন্তু উপকূলবাসীর কানে তখন এ সতর্কবাণী পৌঁছেনি। রাত ৮টার দিকে হারিকেনের রূপ ধারণ করে ঘূর্ণিঝড়টি। রাত সাড়ে ১০টার পর ২২৪ কিলোমিটার বেগে উপকূলে আঘাত হানে।

গভীর রাতে চারদিকে মানুষের আর্তচিৎকার। মানুষ কী করবে ভেবে কোনো কূলকিনারা পায়নি। এদিক–ওদিক ছোটাছুটি করে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নেমে ২৫–৩০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় পটুয়াখালীর উপকূলের বাড়িঘর, হাটবাজার, রাস্তাঘাট, খেতের ফসল ও গাছপালাসহ বিস্তীর্ণ জনপদ।

ভয়াবহ এ ঘটনার অর্ধশত বছর পেরিয়ে গেলেও পর্যাপ্ত বেড়িবাঁধ কিংবা সাইক্লোন শেল্টার গড়ে ওঠেনি উপকূলে। পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

এদিকে এই ভয়াল ১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন সংগঠন। এসব সংগঠনের দাবি, শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এ দিনটি ‘ওয়ার্ল্ড কোস্টাল ডে’ পালন করা উচিত।

সবুজ উপকূল বাংলাদেশ, রাঙ্গাবালী উপজেলার সমন্বয়ক আইয়ুব খান বলেন, ‘বর্তমানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়লেও তা যথেষ্ট নয়। এমনকি বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় এখনো নির্মিত হয়নি প্রয়োজনীয় সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভিসা ছাড়া পাকিস্তান সফরের চুক্তি হতে পারে শিগগির

স্ত্রীকে হতে হবে নোরা ফাতেহির মতো, না খাইয়ে রেখে তিন ঘণ্টা করে ব্যায়াম করান স্বামী

ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুর, আবারও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, পুলিশের টিয়ার শেল-সাউন্ড গ্রেনেড

সাদাপাথর লুট: ৫১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে দুদক

বাংলা বলায় কলকাতার মার্কেটে ছুরি, বন্দুকের বাঁট ও হকিস্টিক নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত