Ajker Patrika

শিকারনিষিদ্ধ দুই হাজার কেজি কাঁকড়া জব্দ

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ৪৫
শিকারনিষিদ্ধ দুই হাজার কেজি কাঁকড়া জব্দ

সুন্দরবন থেকে শিকারনিষিদ্ধ দুই হাজার কেজিরও বেশি নিষিদ্ধ কাঁকড়া জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার দুপুরে শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন বাজারের মোড়ল এন্টারপ্রাইজ নামের এক প্রতিষ্ঠান থেকে এসব কাঁকড়া জব্দ করা হয়।

কাঁকড়ার বিশাল এ চালান ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতিকালে তা জব্দ করা হয়। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সুন্দরবন থেকে এ সময় কাঁকড়া শিকার নিষিদ্ধ। তারপরও প্রভাবশালীরা চোরা শিকারি দিয়ে গোপনে সুন্দরবন থেকে ডিমওয়ালা এসব কাঁকড়া শিকার করে আসছিল।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ড কৈখালী কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জহিরুল ইসলাম জানান জব্দ করা কাঁকড়া বন বিভাগের উপস্থিতিতে সুন্দরবন সংলগ্ন মাদার নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। কাঁকড়া জব্দ করা গেলেও কাঁকড়ার মালিকসহ জেলেরা এ সময় পালিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় অনুসন্ধান শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বন বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

এদিকে বন বিভাগের কৈখালী স্টেশন অফিসার হারুন-অর রশিদ জানান, এখন কাঁকড়া শিকার নিষিদ্ধ হওয়ায় সাদা মাছের পাস (অনুমতি) দেওয়া হয়। তবে কিছু জেলে বনে প্রবেশের পর কাঁকড়াও শিকার করছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত ৭–৮ দিন পূর্বে বন বিভাগের নিকট থেকে সাদা মাছের পাস নিয়ে অর্ধশত নৌকায় প্রায় শতাধিক জেলে সুন্দরবনে যায়। এ সময় বন বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় অবস্থান করে। পরে তারা মাছের পাশাপাশি কাঁকড়াও শিকার করে। পরে স্থানীয় কয়েকটি সূত্র বিষয়টি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহিত করে। এরপর প্রায় দুই দিন অভিযান চালিয়ে বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন অফিসারের নেতৃত্বে বনকর্মীরা একটি নৌকাসহ মাত্র ১০ কেজি কাঁকড়া জব্দ করে লোকালয়ে ফিরে আসে।

স্থানীয় আকতার আলী ও রাকিব হোসেন জানান, বন বিভাগের অভিযান পরিচালনাকারী দলের সদস্যরা নদী থেকে উঠে আসার পর সোমবার রাতে চোরা শিকারিরা ভিন্ন পথে এসব কাঁকড়া নিয়ে লোকালয়ে ফিরে আসে। পূর্ব চুক্তি অনুযায়ী এসব কাঁকড়া ওই রাতেই সুন্দরবন বাজারের মোড়ল এন্টারপ্রাইজে হস্তান্তরের পর মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতিকালে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা তা আটক করে।

এ ব্যাপারে মোড়ল এন্টারপ্রাইজের মালিক রাসেল মাহমুদ মোড়ল জানান, জব্দকৃত কাঁকড়া সুন্দরবনের নয়। এসব পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন নার্সিং পয়েন্টের (কাঁকড়া চাষ করার স্থান) কাঁকড়া। জব্দকৃত কাঁকড়ার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা বলে তিনি নিশ্চিত করেন। তিনি স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে।

তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রাসেল এন্টারপ্রাইজসহ সুন্দরবন তীরবর্তী এলাকার অর্ধশত প্রতিষ্ঠান জেলেদের মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে প্রজনন মৌসুমে সাদা মাছের পাসের আড়ালে কাঁকড়া শিকারে সুন্দরবনে পাঠিয়ে থাকে। প্রজনন মৌসুমে অব্যাহতভাবে কাঁকড়া শিকার হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনে কাঁকড়ার উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত