শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের রঞ্জন ছৈয়াল কান্দি গ্রামে পদ্মা নদীর তীরে এই কর্মসূচি পালন করেন ভাঙনের আতঙ্কে থাকা তিন শতাধিক গ্রামবাসী। ‘ত্রাণ নয়, ভাত নয়, বাঁধ চাই, বাঁচতে চাই’-এমন ব্যানার নিয়ে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও গ্রামবাসী জানান, জাজিরা উপজেলার নাওডোবা থেকে গোসাইরহাটের হাটুরিয়া পর্যন্ত ৭১ কিলোমিটার নদীর তীরের অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রয়েছে। এর মধ্যে নড়িয়া ও জাজিরায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প নামে একটি প্রকল্পর কাজ করছে পাউবো। প্রকল্পের ৯ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধ ও ১১ কিলোমিটার নদীর চর খনন কাজ চলছে। গত বছর বর্ষায় জাজিরা উপজেলার পালেরচর, বড়কান্দি, কুন্ডেরচর ও বিলাশপুর ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে পদ্মার ভাঙন ছিল তীব্র। চলতি বছর ভাঙনের কবলে এসব গ্রামের অন্তত দুই শ’ পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
তাৎক্ষণিক ভাঙন ঠেকাতে পাথালিয়াকান্দি, সরদারকান্দি ও খলিফাকান্দি এলাকায় বালু ভর্তি জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলেছে পাউবো। গ্রাম তিনটির ১ হাজার ৮৭০ মিটার এলাকায় জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলা হয়েছে।
গ্রামগুলোর ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী বাঁধের দাবিতে ওই ১০টি গ্রামের মানুষ সংগঠিত হয়। শুক্রবার তারা রঞ্জন ছৈয়াল কান্দি গ্রামে পদ্মা নদীর তীরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এতে কয়ক শ’ মানুষ উপস্থিত হন।
রঞ্জন ছৈয়াল কান্দি গ্ৰামের চাঁন মিয়া শিকদার (৭০) বলেন, ‘নদী ভাঙনের কারণে ৫ বার বাড়িঘর সরিয়ে নিতে হয়েছে। এখন কোনো রকমের অন্যের জমিনে আশ্রয় নিয়েছি। নদী ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির উঠানে চলে এসেছে। বর্ষার আগে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করলে এই জায়গাটুকুও থাকবে না।’
পদ্মাপাড়ে ভাঙন আতঙ্কে থাকা কল্পনা বেগম বলেন, ‘বসতবাড়ি সবই নদীতে গিল্লা খাইছে। অল্প কিছু কৃষি জমি বাকি আছে। সেইখানে চাষবাস কইরা আমরা কোনো রকমের বাইচা আছি। এই বছর ভাঙনে সেই জমির অর্ধেক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধ নির্মাণ না করলে আগামী বর্ষায় পুরা জমি নদীতে চইলা যাইব।’
শরীয়তপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব বলেন, ‘শরীয়তপুরে দুটি বড় নদী থাকায় বিভিন্ন এলাকা ভাঙনপ্রবণ। নড়িয়া, জাজিরায় তীররক্ষা বাঁধের দুটি বড় কাজ চলছে। সদরে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। জাজিরার বিলাশপুর হতে পদ্মা সেতুর জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ চলেছে। প্রতিবেদন পেলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের রঞ্জন ছৈয়াল কান্দি গ্রামে পদ্মা নদীর তীরে এই কর্মসূচি পালন করেন ভাঙনের আতঙ্কে থাকা তিন শতাধিক গ্রামবাসী। ‘ত্রাণ নয়, ভাত নয়, বাঁধ চাই, বাঁচতে চাই’-এমন ব্যানার নিয়ে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও গ্রামবাসী জানান, জাজিরা উপজেলার নাওডোবা থেকে গোসাইরহাটের হাটুরিয়া পর্যন্ত ৭১ কিলোমিটার নদীর তীরের অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রয়েছে। এর মধ্যে নড়িয়া ও জাজিরায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প নামে একটি প্রকল্পর কাজ করছে পাউবো। প্রকল্পের ৯ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধ ও ১১ কিলোমিটার নদীর চর খনন কাজ চলছে। গত বছর বর্ষায় জাজিরা উপজেলার পালেরচর, বড়কান্দি, কুন্ডেরচর ও বিলাশপুর ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে পদ্মার ভাঙন ছিল তীব্র। চলতি বছর ভাঙনের কবলে এসব গ্রামের অন্তত দুই শ’ পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
তাৎক্ষণিক ভাঙন ঠেকাতে পাথালিয়াকান্দি, সরদারকান্দি ও খলিফাকান্দি এলাকায় বালু ভর্তি জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলেছে পাউবো। গ্রাম তিনটির ১ হাজার ৮৭০ মিটার এলাকায় জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলা হয়েছে।
গ্রামগুলোর ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী বাঁধের দাবিতে ওই ১০টি গ্রামের মানুষ সংগঠিত হয়। শুক্রবার তারা রঞ্জন ছৈয়াল কান্দি গ্রামে পদ্মা নদীর তীরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এতে কয়ক শ’ মানুষ উপস্থিত হন।
রঞ্জন ছৈয়াল কান্দি গ্ৰামের চাঁন মিয়া শিকদার (৭০) বলেন, ‘নদী ভাঙনের কারণে ৫ বার বাড়িঘর সরিয়ে নিতে হয়েছে। এখন কোনো রকমের অন্যের জমিনে আশ্রয় নিয়েছি। নদী ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির উঠানে চলে এসেছে। বর্ষার আগে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করলে এই জায়গাটুকুও থাকবে না।’
পদ্মাপাড়ে ভাঙন আতঙ্কে থাকা কল্পনা বেগম বলেন, ‘বসতবাড়ি সবই নদীতে গিল্লা খাইছে। অল্প কিছু কৃষি জমি বাকি আছে। সেইখানে চাষবাস কইরা আমরা কোনো রকমের বাইচা আছি। এই বছর ভাঙনে সেই জমির অর্ধেক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধ নির্মাণ না করলে আগামী বর্ষায় পুরা জমি নদীতে চইলা যাইব।’
শরীয়তপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব বলেন, ‘শরীয়তপুরে দুটি বড় নদী থাকায় বিভিন্ন এলাকা ভাঙনপ্রবণ। নড়িয়া, জাজিরায় তীররক্ষা বাঁধের দুটি বড় কাজ চলছে। সদরে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। জাজিরার বিলাশপুর হতে পদ্মা সেতুর জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ চলেছে। প্রতিবেদন পেলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫