Ajker Patrika

নিঃসঙ্গ সেতু, নির্মাণ করল কে

মো. ফরিদ রায়হান, ইটনা থেকে ফিরে
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ০৯
নিঃসঙ্গ সেতু, নির্মাণ করল কে

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার ধনপুর বাজারের পূর্ব-দক্ষিণে কাটাখালি খালে ১০ বছর ধরে একটি সেতু দাঁড়িয়ে আছে। সেতুটির সঙ্গে কোনো সড়কের সংযোগ না থাকায় মানুষের কোনো কাজেই আসছে না এই সেতু। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন খাল পারাপারের রাস্তা থেকে অপরিকল্পিতভাবে কয়েক শ মিটার দুরে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সংযোগ সড়কহীন সেতুটি খালের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু সেতুতে চলাচল করতে পারে না মানুষ। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস বলছে, এই সেতু তাদের অধীনে নির্মিত হয়নি। একই কথা বলছে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরও।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ইটনা-ধনপুর- কাঠইর সড়কের দিনেশপুর এলাকায় রয়েছে কাটাখালি খাল। এই খাল গয়ড়া বিল থেকে কুকুর 'মারা হাওর' দিয়ে সুরমা নদীতে যুক্ত হয়েছে। এই সড়কে ধনপুর ইউনিয়নের, বলরামপুর, চাছুয়া, মথুরাপুর, কাঠইর, করন্চা, রমানাথপুর, বিঞ্চুপুর ও সুভদ্রাপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ হাটবাজার ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রনালয়ের অধীনে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর খাল পারাপারের সড়ক থেকে কয়েক শ মিটার দক্ষিণে এই সেতু নির্মাণ করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে, ইটনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান 'মেসার্স মাহবুবুর রহমান' সেতুটি নির্মাণ করে। মুল সড়কের বাহিরে সেতু নির্মাণ করায় সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না। সরকারি টাকায় অপরিকল্পিতভাবে সেতু নির্মাণের দায়ভার কে এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের।

স্থানীয় বাসিন্দা হিতেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, কেন এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল জানি না। সেতুটি মানুষের কোন কাজেই লাগেনি। পানির মধ্যে স্বাক্ষী গোপালের মত দাঁড়িয়ে আছে। সরকারি টাকা এভাবে নষ্ট করার জবাব কে দেবে আর কে নেবে?

ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদীপ চন্দ্র দাস বলেন, 'কাটাখালি খালের সেতুটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। তাই নির্মাণের পর থেকে সেতুটি মানুষের কোনো কাজে আসেনি। আসবেও না। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া উন্নয়ন করলে তা মানুষের কাজে আসে না।'

মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে, ইটনা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খলিলুর রহমান মোল্লা বলেন, সেতুটি ত্রাণ মন্ত্রণালয় বা পিআইও নির্মাণ করেনি।

এই সেতু নিয়ে প্রশ্ন করা হয় উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. রাশেদুল আলমকে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, খাটাখালি খালে ওই সেতুটি এলজিইডি বিভাগের অধীনে নয়।

সেতুটি কোন দপ্তরের অধীনে নির্মাণ করা হয়েছে তা জানতে মোবাইল ফোনে কল করা হয় ঠিকাদার মাহবুবর রহমানকে। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন আগের বিষয়। যতটুকু মনে পরে সেতুটির জন্য সম্ভবত ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। সেতুটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩০মিটার। পিআইও অফিসের অধীনেই আমি সেতুটি নির্মাণ করি’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত