Ajker Patrika

এবার বোরো ধানের ভাল ফলনের আশা

রাসেল আহমেদ, তেরখাদা
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ২৮
এবার বোরো ধানের ভাল ফলনের আশা

এখন পুরোদমে চলছে বোরো চাষাবাদ। মাঠে মাঠে জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-শ্রমিক। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে, তাহলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা।

ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে পানি সেচ, জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণের ব্যস্ততা। কৃষকেরা বলছেন, বিদ্যুৎ নিয়ে এবার কোন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকমতো থাকলে সুষ্ঠুভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।

তেরখাদা উপজেলা সদরের রাজ্জাক মোল্লা বলেন, গভীর নলকূপ দিয়ে আমাদের চাষাবাদ করতে হয়। সবাই একসঙ্গে জমি তৈরি করতে গিয়ে নলকূপের ওপর কিছুটা চাপ পড়েছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর কোন প্রকার বিদ্যুতের ভেলকিবাজি নেই। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিত থাকলে ও প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারব।

কাটেংগা এলাকার বর্গা চাষি মাহিদুল ইসলাম বলেন, সারের খরচ, জমি চাষ, চারা রোপণ, পানি সেচ, ধানকাটা ও মাড়াইসহ এক বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। বিঘাপ্রতি ফলন হয় ২০ থেকে ২৫ মণ ধান।

বর্তমান বাজারে ৬২০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা দরে নতুন বোরো ধান বিক্রি হয়। যাদের নিজস্ব জমি আছে তাদের কিছু লাভ থাকে। কিন্তু যারা আমার মতো বর্গাচাষি তাদের কিছুই থাকে না। এতে করে প্রতিবছর আমাদের লোকসান গুণতে হয়। সরকার যদি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে তাহলে ন্যায্য দাম পাওয়া যাবে। জেলায় চলতি মৌসুমে চাষিদের মধ্যে বোরো চাষে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকায় কৃষকেরা মাঠে অনেক ভালোভাবে কাজ করতে পারছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে তেরখাদা উপজেলায় এবার সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩৭৫ হেক্টর জমি বেশি আবাদ হবে বলে ধরা হচ্ছে। এর মধ্যে ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ২৯, হীরা, হাইব্রিড, উফসি এবং আরও অন্যান্য জাতের ধান রয়েছে।

তেরখাদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের বোরো মৌসুমে সাড়ে ৯০০ কৃষককে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১ বিঘা জমিপ্রতি সার, বীজ সহায়তাসহ বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

কৃষকেরা জানান, প্রতিবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত