Ajker Patrika

অস্বাস্থ্যকর শৌচাগারের ভেতরে-বাইরে সমান দুর্গন্ধ

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ৫২
অস্বাস্থ্যকর শৌচাগারের ভেতরে-বাইরে সমান দুর্গন্ধ

সিরাজদিখান বাজার মুন্সিগঞ্জের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বাজার। এক বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ বাজারে রয়েছে মাত্র দুটি গণশৌচাগার। দুটিই দীর্ঘদিন অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা।

গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজদিখান বাজারে প্রায় দুই হাজার দোকান রয়েছে। এ বিশাল বাজারে রয়েছে মাত্র দুটি গণশৌচাগার। শৌচাগারগুলো জরাজীর্ণ, ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

মাছ বাজারের পাশে শৌচাগারটির পূর্ব পাশেই দোকানিদের কাঁচামালের অবশিষ্ট, মুরগির অবশিষ্ট বিষ্ঠাসহ বর্জ্য, গরু জবাইয়ের বর্জ্যসহ নানা ধরনের বর্জ্য ফেলা হয়েছে। বর্জ্যের দুর্গন্ধে টয়লেটে যাওয়াই যায় না।

সিরাজদিখান বাজারে আসা ক্রেতা মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে এখানে যাওয়ার মতো কোনো শৌচাগার নেই। এত বড় একটি বাজার, কিন্তু এখানে একটি স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নেই। এটা প্রশাসনের গুরুত্বসহকারে দেখা দরকার বলে মনে করি।’

বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সিরাজদিখান বাজারটি অনেক প্রাচীন। কিন্তু বাজারটির পরিবেশ দেখে মনে হয় কোনো উন্নয়নের ছোঁয়াই পায়নি। বাজারে উত্তর ও দক্ষিণ দুই পাশে দুটি পাবলিক শৌচাগার আছে। কিন্তু যে শৌচাগার আছে সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে কয়েক বছর ধরে। বাজার কমিটি এদিকে কোনো নজরই দিচ্ছে না।’

সিরাজদিখান বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী পলাশ পাল বলেন, ‘টয়লেটে যেতে হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মীকে পাঁচ টাকা করে দিতে হয়। কিন্তু শৌচাগার ঠিকমতো পরিষ্কার করে না। তা ছাড়া, টয়লেটের দরজা ভাঙা। টয়লেটের পাশে যে ময়লার স্তূপ রয়েছে, তার দুর্গন্ধে টয়লেটে যাওয়া যায় না। তাই বাজার কমিটি যদি নতুন শৌচাগার নির্মাণ করে দেয়, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়।’

সিরাজদিখান বাজার বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলম খান বলেন, ‘স্বাস্থ্যসম্মত পাবলিক শৌচাগার না থাকায় ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রায় ৩০-৩৫ বছর আগে এই শৌচাগারগুলো নির্মাণ হয়েছে। এখন শৌচাগারগুলো জরাজীর্ণ এবং অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে জানিয়ে নতুন বরাদ্দ এনে নতুন শৌচাগার নির্মাণের জন্য কাজ করছি।’

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারের শৌচাগারগুলো জরাজীর্ণ এবং বাজে অবস্থায় আছে। সে জন্য বরাদ্দের মাধ্যমে নতুন করে নির্মাণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘তুমি ঘুমাও কীভাবে’, সৌদি যুবরাজকে নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়

বিদ্যালয়ে সময় দেন না শিক্ষক, ইউএনওর কাছে অভিযোগ করায় সহকর্মীকে মারধর

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত