নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী নাকুগাঁওয়ে হানা দিয়ে ফসল নষ্ট করছে বন্য হাতির দল। তাই ফসল রক্ষায় এলাকার কৃষকেরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ অফিস থেকে বলা হয়েছে, তিন দিন ধরে ৪০-৪৫টি বন্য হাতির দল নাকুগাঁও বানেরটিলায় অবস্থান করছে। সন্ধ্যার পর হাতির দলটি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে খেতে নেমে পড়ে। এসব বন্য হাতি কৃষকের ফসলি জমি নষ্ট করছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে।
ময়মনসিংহ বন বিভাগ, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী নাকুগাঁও গ্রামে পাহাড়ের ঢালে শতাধিক প্রান্তিক কৃষকের ১৫০ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। গত সোম ও মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ ৪০-৪৫টি বন্য হাতির পাল নাকুগাওয়ের বানেরটিলা চলে আসে। পরে ২০-২৫টি হাতি নাকুগাঁও গ্রামের ফসলি জমিতে নেমে পরে।
এ সময় নাকুগাঁও গ্রামের ইদ্রিস আলীর ৪০ শতাংশ, আবদুল খালেকের ৩০, ফুলেমা চিসিমের ৫০, সাগর মারাকের ৪০, আলিম উদ্দিনের ৩০, প্রনব চিসিম ৫০, দুলু মিয়ার ৩০ ও তোতা মিয়ার ৪০ শতাংশ আবাদি জমির ফসল খেয়ে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে ফেলে।
হাতির দলটি নাকুগাঁওয়ের বানেরটিলায় সীমান্তবর্তী ১১১৫ নম্বর পিলারের কাছে অবস্থান করায় স্থানীয় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন। গ্রামবাসী হাতি তাড়াতে বন বিভাগ ও সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ইদ্রিস আলী বলেন, আমি নাকুগাঁও স্থলবন্দরে শ্রমিকের কাজ করে বাবা-মাসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চালাতে হয়। ১৬ হাজার টাকা খরচ করে এক একর জমিতে বোরো ধান করেছি। গত সোমবার সন্ধ্যায় বন্যহাতির পালটি খেতে নেমে আমাদের ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। বাকি ফসল রক্ষা না করতে পারলে আমাদের মহাবিপদে পড়তে হবে।
প্রান্তিক কৃষক আলিম উদ্দিন বলেন, ‘ঋণ কইরা ১০ কাডা (৫০ শতক) জমিতে বোরো ধান লাগাইছি। হঠাৎ কইরা হাতির পাল খেতে নাইমা পইড়া দুই কাডা জমি খাইয়া আর পাও (পা) দিয়া ফসল মাডির (মাটির) লগে মিশাইয়া ফালাইছে। গ্রামবাসী সবাই হইহেল্লুর কইরা খেত থাইকা হাতি সড়ানো অইছে। অহন রাইত জাইগা সবাই হাতি পাহারা দিতাছি।’
ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, ‘১০০ একর জমির ফসল নিয়ে স্থানীয় প্রান্তিক কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছে। হাতি প্রতিরোধে লাইট ও মশাল জ্বালাতে তেল প্রয়োজন। ফসল রক্ষায় এলাকাবাসী রাত জেগে পাহারা বসিয়েছেন।’
নয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাতির আক্রমণে কৃষকদের ফসল আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। ফসল রক্ষায় হাতি তাড়াতে মশাল জ্বালাতে তেল কিনতে কিছু অর্থ দেওয়া হয়েছে। প্রতিরাতে হাতি তাড়াতে গ্রামবাসী রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।’
ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জার আবদুল করিম বলেন, ‘তিন দিন ধরে ৪০-৪৫টি বন্যহাতির দল নাকুগাঁও বানেরটিলায় অবস্থান করছে। সন্ধ্যার পর হাতির দলটি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে খেতে নেমে পড়ে ফসলি জমি পা দিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে বলেছি।’
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী নাকুগাঁওয়ে হানা দিয়ে ফসল নষ্ট করছে বন্য হাতির দল। তাই ফসল রক্ষায় এলাকার কৃষকেরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ অফিস থেকে বলা হয়েছে, তিন দিন ধরে ৪০-৪৫টি বন্য হাতির দল নাকুগাঁও বানেরটিলায় অবস্থান করছে। সন্ধ্যার পর হাতির দলটি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে খেতে নেমে পড়ে। এসব বন্য হাতি কৃষকের ফসলি জমি নষ্ট করছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে।
ময়মনসিংহ বন বিভাগ, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী নাকুগাঁও গ্রামে পাহাড়ের ঢালে শতাধিক প্রান্তিক কৃষকের ১৫০ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। গত সোম ও মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ ৪০-৪৫টি বন্য হাতির পাল নাকুগাওয়ের বানেরটিলা চলে আসে। পরে ২০-২৫টি হাতি নাকুগাঁও গ্রামের ফসলি জমিতে নেমে পরে।
এ সময় নাকুগাঁও গ্রামের ইদ্রিস আলীর ৪০ শতাংশ, আবদুল খালেকের ৩০, ফুলেমা চিসিমের ৫০, সাগর মারাকের ৪০, আলিম উদ্দিনের ৩০, প্রনব চিসিম ৫০, দুলু মিয়ার ৩০ ও তোতা মিয়ার ৪০ শতাংশ আবাদি জমির ফসল খেয়ে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে ফেলে।
হাতির দলটি নাকুগাঁওয়ের বানেরটিলায় সীমান্তবর্তী ১১১৫ নম্বর পিলারের কাছে অবস্থান করায় স্থানীয় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন। গ্রামবাসী হাতি তাড়াতে বন বিভাগ ও সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ইদ্রিস আলী বলেন, আমি নাকুগাঁও স্থলবন্দরে শ্রমিকের কাজ করে বাবা-মাসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চালাতে হয়। ১৬ হাজার টাকা খরচ করে এক একর জমিতে বোরো ধান করেছি। গত সোমবার সন্ধ্যায় বন্যহাতির পালটি খেতে নেমে আমাদের ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। বাকি ফসল রক্ষা না করতে পারলে আমাদের মহাবিপদে পড়তে হবে।
প্রান্তিক কৃষক আলিম উদ্দিন বলেন, ‘ঋণ কইরা ১০ কাডা (৫০ শতক) জমিতে বোরো ধান লাগাইছি। হঠাৎ কইরা হাতির পাল খেতে নাইমা পইড়া দুই কাডা জমি খাইয়া আর পাও (পা) দিয়া ফসল মাডির (মাটির) লগে মিশাইয়া ফালাইছে। গ্রামবাসী সবাই হইহেল্লুর কইরা খেত থাইকা হাতি সড়ানো অইছে। অহন রাইত জাইগা সবাই হাতি পাহারা দিতাছি।’
ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, ‘১০০ একর জমির ফসল নিয়ে স্থানীয় প্রান্তিক কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছে। হাতি প্রতিরোধে লাইট ও মশাল জ্বালাতে তেল প্রয়োজন। ফসল রক্ষায় এলাকাবাসী রাত জেগে পাহারা বসিয়েছেন।’
নয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাতির আক্রমণে কৃষকদের ফসল আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। ফসল রক্ষায় হাতি তাড়াতে মশাল জ্বালাতে তেল কিনতে কিছু অর্থ দেওয়া হয়েছে। প্রতিরাতে হাতি তাড়াতে গ্রামবাসী রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।’
ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জার আবদুল করিম বলেন, ‘তিন দিন ধরে ৪০-৪৫টি বন্যহাতির দল নাকুগাঁও বানেরটিলায় অবস্থান করছে। সন্ধ্যার পর হাতির দলটি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে খেতে নেমে পড়ে ফসলি জমি পা দিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে বলেছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪