Ajker Patrika

জমির জটিলতায় মডেল মসজিদ নির্মাণ বন্ধ

আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৪৮
জমির জটিলতায় মডেল মসজিদ নির্মাণ বন্ধ

পটুয়াখালীর বাউফলে জমিসংক্রান্ত জটিলতার কারণে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে পুরোনো মসজিদটির সংস্কারের জন্য কোনো বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে পুরোনো মসজিদটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতায় এই প্রকল্পে প্রতিটি মসজিদের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় টেন্ডার আহ্বান করা হলে বাউফল উপজেলায় মসজিদ নির্মাণের কার্যাদেশ পায় পটুয়াখালীর মেসার্স ফরিদ কনস্ট্রাকশন প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের বর্তমান মসজিদের কাছে প্রস্তাবিত জায়গা না-থাকায় বাউফল উপজেলা পরিষদ চত্বরের পাশে একটি পুকুর ভরাট করে মডেল মসজিদ নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা হয়। মসজিদ নির্মাণের জন্য পুকুরটির কিছু অংশ বালি দিয়ে ভরাট করা হলেও পুকুরের পাশে সরকারি কাজ ও একটি পরিত্যক্ত ভবন অপসারণ না করায় মসজিদ নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘দেশের প্রায় সব মডেল মসজিদ উদ্বোধন হয়ে গেছে। অথচ আমাদের মসজিদটির কাজ শুরুই করতে পারেনি, যা সত্যিই দুঃখজনক। মডেল মসজিদ নির্মাণ হবে—এ আশায় উপজেলা পরিষদের বর্তমান জামে মসজিদের কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে না। বর্তমানে মসজিদটির ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। মুসল্লিদের ঝুঁকি নিয়ে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে।’

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ মসজিদের জায়গা বুঝিয়ে না দেওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। জায়গা বুঝিয়ে দিলেই কাজ পুনরায় শুরু করা হবে।’

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পটুয়াখালী জেলা উপপরিচালক মো. মাহাবুব আলম বলেন, ‘একই সঙ্গে টেন্ডার হওয়া পটুয়াখালী জেলাসহ উপজেলার মডেল মসজিদগুলো নির্মাণকাজ পুরোদমে চলছে। বাউফলে জায়গাসংক্রান্ত জটিলতার জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। মসজিদগুলো নির্মাণের মেয়াদ চলতি অর্থবছরের জুনে শেষ হয়েছে, তাই বাজেট বাড়িয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।’

জেলা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সরকারি কিছু গাছ ও একটি পরিত্যক্ত ভবন থাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে। গাছ ও পরিত্যক্ত ভবনটি টেন্ডারের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে এলে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ ও পরিত্যক্ত ভবনটি বিক্রি করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, ‘মসজিদের নির্ধারিত স্থানে উপজেলা পরিষদের গাছ ও পরিত্যক্ত একটি ভবন বিক্রি করতে হলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন। এ ব্যাপারে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে এলে গাছ ও পরিত্যক্ত ভবনটি টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে গেলেই মডেল মসজিদটি নির্মাণকাজে আর কোনো জটিলতা থাকবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত